ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হওয়া আবীর হোসেনের মায়ের আহাজারি থামছেই না। সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন মা আঞ্জুয়ারা বেগম। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই অতি দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ দেশে ফেরত চান স্বজনেরা।
আজ রোববার সকালে সাতক্ষীরা কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাঁপাঘাট শেখপাড়া গ্রামে আবীর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আবীরের মা আঞ্জুয়ারা বেগম ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদছেন। পাশে আবীরের ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা মলিন মুখে বসে রয়েছেন।
নিহত আবীর হোসেন (৩৮) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাঁপাঘাট শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছোট ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। আমেরিকাতে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি আইফোন সেলস সেন্টার ও ‘ক্রিস ফুড মার্ট’ নামের একটি কফি শপে পার্টটাইম চাকরি করতেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবীর হোসেনের কফি শপে টাকা ও মালামাল লুট করার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীদের বাধা দিয়ে মালিকের কাছে ফোন করার চেষ্টা করছিলেন আবীর। এ সময় ডাকাতদের একজন তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা। গুলিবিদ্ধ আবীর হোসেন সেখানেই মারা যান। আবীরের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিবেশী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আবীরের মৃত্যুর ঘটনা জেনেছেন তাঁরা। মৃতদেহটি অতি দ্রুত ফিরে পেলে তাঁর নিজ বাড়ি কলারোয়ার ঝাঁপাঘাট গ্রামের শেখপাড়ায় দাফন করা হবে।
আবীরের বড় বোন আয়েশা খাতুন বলেন, আবীর হোসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্র্যাজুয়েট গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। সেখানে স্ত্রী ও তিন বছরের কন্যাসন্তান নিয়ে বাস করতেন। সরকারের কাছে তিনি আবীরের মা, স্ত্রী ও তিন বছরের শিশুসন্তানের দেখাশোনা করার জন্য ক্ষতিপূরণ এবং ভাই হত্যার অতি দ্রুত বিচার দাবি জানান।
আবীরের মেজো ভাই জাকির হোসেন বলেন, ‘অন্য দেশের আইন ও বিচার বিভাগের প্রতি নাক গলায় আমেরিকা। সেই আমেরিকার মতো একটা দেশে পড়তে যাওয়া আমার ভাইকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুজনকে আটক করে একজনকে ছেড়ে দিয়েছে।’
কোনো হয়রানি ছাড়াই আবীরের মরদেহ অতি দ্রুত ফেরত এবং আবীর হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি ও তাঁর পরিবার।
উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হওয়া আবীর হোসেনের মায়ের আহাজারি থামছেই না। সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখতে অপেক্ষায় রয়েছেন মা আঞ্জুয়ারা বেগম। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই অতি দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ দেশে ফেরত চান স্বজনেরা।
আজ রোববার সকালে সাতক্ষীরা কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাঁপাঘাট শেখপাড়া গ্রামে আবীর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আবীরের মা আঞ্জুয়ারা বেগম ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদছেন। পাশে আবীরের ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা মলিন মুখে বসে রয়েছেন।
নিহত আবীর হোসেন (৩৮) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাঁপাঘাট শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছোট ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। আমেরিকাতে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি আইফোন সেলস সেন্টার ও ‘ক্রিস ফুড মার্ট’ নামের একটি কফি শপে পার্টটাইম চাকরি করতেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে আবীর হোসেনের কফি শপে টাকা ও মালামাল লুট করার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীদের বাধা দিয়ে মালিকের কাছে ফোন করার চেষ্টা করছিলেন আবীর। এ সময় ডাকাতদের একজন তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা। গুলিবিদ্ধ আবীর হোসেন সেখানেই মারা যান। আবীরের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিবেশী শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আবীরের মৃত্যুর ঘটনা জেনেছেন তাঁরা। মৃতদেহটি অতি দ্রুত ফিরে পেলে তাঁর নিজ বাড়ি কলারোয়ার ঝাঁপাঘাট গ্রামের শেখপাড়ায় দাফন করা হবে।
আবীরের বড় বোন আয়েশা খাতুন বলেন, আবীর হোসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্র্যাজুয়েট গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। সেখানে স্ত্রী ও তিন বছরের কন্যাসন্তান নিয়ে বাস করতেন। সরকারের কাছে তিনি আবীরের মা, স্ত্রী ও তিন বছরের শিশুসন্তানের দেখাশোনা করার জন্য ক্ষতিপূরণ এবং ভাই হত্যার অতি দ্রুত বিচার দাবি জানান।
আবীরের মেজো ভাই জাকির হোসেন বলেন, ‘অন্য দেশের আইন ও বিচার বিভাগের প্রতি নাক গলায় আমেরিকা। সেই আমেরিকার মতো একটা দেশে পড়তে যাওয়া আমার ভাইকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুজনকে আটক করে একজনকে ছেড়ে দিয়েছে।’
কোনো হয়রানি ছাড়াই আবীরের মরদেহ অতি দ্রুত ফেরত এবং আবীর হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি ও তাঁর পরিবার।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১৪ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
২৯ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
৩২ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
৪২ মিনিট আগে