কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার কয়রায় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনার ফলে শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টানা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কোন শামিয়ানা কিংবা বসার ব্যবস্থা ছিল না। মূল ভবনের ২য় তলা ও ৩য় তলার চারটি রুমে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। অনেকেই ৩০ কিলোমিটার দূরের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন থেকে আসতে দেখা গেছে। ২০ / ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে আসা হাজারো শিক্ষার্থী টানা রোদে মূল ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে টিকা দেওয়ার জন্য। মাঝেমধ্যে পুলিশ তাদেরকে লাঠিপেটার ভয় দেখিয়ে তাড়া করছে। আবার কারও শরীরে আঘাতও করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মারপিটের কারণে তারা মিছিল শুরু করে। খবর পেয়ে কয়রা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনাস্থল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করেন।
টিকা নিতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা শিক্ষকদের মাধ্যমে জানতে পেরে ২য় ডোজের টিকা দিতে আসেন। লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একপর্যায়ে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা শুধুমাত্র ছাত্রীদের আগে টিকা দিয়ে বিদায় করবে এমনটি জানায়। এ সময় ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কথা-কাটাকাটি হয় হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে। একপর্যায়ে কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে মারার জন্য হাত ওঠালে সামনে থাকা শিক্ষার্থীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করেন। এ সময় তাদেরকে কর্মীরা লাঠি ও হাত দিয়ে আঘাত করেন। এমনকি হাসপাতালের কর্মীরা জুতা দিয়েও তাদেরকে মারপিট করেন বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীব বালা বলেন, শিক্ষার্থীরা এক কর্মীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে চেয়ার তুলে ছুড়ে মারতে উদ্যত হয়। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পুলিশে খবর দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, হাসপাতালে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর টিকা দিতে আসতে বলার পরেও তেমন কোন প্রস্তুতি ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দূর থেকে শিক্ষার্থীদের এসে রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নিতে হচ্ছে। আবার টিকা গ্রহণের পরেও তাদের সঙ্গে সঙ্গে রুম থেকে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। টিকা গ্রহণের পরে ন্যূনতম ২ / ৩ মিনিট বসে বিশ্রাম নেওয়ার কোন পরিবেশ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা ১৯ হাজার ৮৫০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে ২য় ডোজের টিকা দেওয়া হয়। আজ ৪ হাজার ৮৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ চলাকালীন ১ মাস আগের একই সময়ে এক সঙ্গে ৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, আজ ৬টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম চলার কথা ছিল। কিন্তু বেশি স্কুলের শিক্ষার্থী চলে এসে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
কয়রা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল হোসেনে বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে ও ইউএনওকে কোনোরকম অবহিত করেননি। টিকা নেওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসে ভিড় করে। এই টিকা নিতে হবে এসি রুমে। সেই জন্য চারটি বুথ করা হয়েছিল। কিন্তু ৪টি বুথে এত শিক্ষার্থীরা কীভাবে টিকা দেবে, তখন শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। বিশৃঙ্খলা থামাতে হাসপাতাল থেকে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দেয়। তখন শিক্ষার্থীরা আরও রেগে যায়। এই ঘটনা আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। কর্তৃপক্ষ পরে ভুল স্বীকার করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, টিকা দেওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রথম শুনলাম। তবে অব্যবস্থাপনার জন্য এ রকম ঘটনা ঘটলে তা অবশ্যই লজ্জাজনক। বিষয়টি আসলে কি ঘটছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
খুলনার কয়রায় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনার ফলে শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টানা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কোন শামিয়ানা কিংবা বসার ব্যবস্থা ছিল না। মূল ভবনের ২য় তলা ও ৩য় তলার চারটি রুমে টিকা দেওয়া হচ্ছিল। অনেকেই ৩০ কিলোমিটার দূরের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন থেকে আসতে দেখা গেছে। ২০ / ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে আসা হাজারো শিক্ষার্থী টানা রোদে মূল ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে টিকা দেওয়ার জন্য। মাঝেমধ্যে পুলিশ তাদেরকে লাঠিপেটার ভয় দেখিয়ে তাড়া করছে। আবার কারও শরীরে আঘাতও করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মারপিটের কারণে তারা মিছিল শুরু করে। খবর পেয়ে কয়রা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনাস্থল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করেন।
টিকা নিতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা শিক্ষকদের মাধ্যমে জানতে পেরে ২য় ডোজের টিকা দিতে আসেন। লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একপর্যায়ে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা শুধুমাত্র ছাত্রীদের আগে টিকা দিয়ে বিদায় করবে এমনটি জানায়। এ সময় ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কথা-কাটাকাটি হয় হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে। একপর্যায়ে কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে মারার জন্য হাত ওঠালে সামনে থাকা শিক্ষার্থীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করেন। এ সময় তাদেরকে কর্মীরা লাঠি ও হাত দিয়ে আঘাত করেন। এমনকি হাসপাতালের কর্মীরা জুতা দিয়েও তাদেরকে মারপিট করেন বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীব বালা বলেন, শিক্ষার্থীরা এক কর্মীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে চেয়ার তুলে ছুড়ে মারতে উদ্যত হয়। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পুলিশে খবর দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, হাসপাতালে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর টিকা দিতে আসতে বলার পরেও তেমন কোন প্রস্তুতি ছিল না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দূর থেকে শিক্ষার্থীদের এসে রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নিতে হচ্ছে। আবার টিকা গ্রহণের পরেও তাদের সঙ্গে সঙ্গে রুম থেকে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। টিকা গ্রহণের পরে ন্যূনতম ২ / ৩ মিনিট বসে বিশ্রাম নেওয়ার কোন পরিবেশ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা ১৯ হাজার ৮৫০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে ২য় ডোজের টিকা দেওয়া হয়। আজ ৪ হাজার ৮৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ চলাকালীন ১ মাস আগের একই সময়ে এক সঙ্গে ৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, আজ ৬টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম চলার কথা ছিল। কিন্তু বেশি স্কুলের শিক্ষার্থী চলে এসে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
কয়রা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল হোসেনে বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে ও ইউএনওকে কোনোরকম অবহিত করেননি। টিকা নেওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসে ভিড় করে। এই টিকা নিতে হবে এসি রুমে। সেই জন্য চারটি বুথ করা হয়েছিল। কিন্তু ৪টি বুথে এত শিক্ষার্থীরা কীভাবে টিকা দেবে, তখন শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। বিশৃঙ্খলা থামাতে হাসপাতাল থেকে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দেয়। তখন শিক্ষার্থীরা আরও রেগে যায়। এই ঘটনা আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরে শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। কর্তৃপক্ষ পরে ভুল স্বীকার করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, টিকা দেওয়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রথম শুনলাম। তবে অব্যবস্থাপনার জন্য এ রকম ঘটনা ঘটলে তা অবশ্যই লজ্জাজনক। বিষয়টি আসলে কি ঘটছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় মো. ফটিক ইসলাম (৩৫) নামে পথচারী এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
৩৪ মিনিট আগেকক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সোয়া দশটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকার আজিজনগর নুরু চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে। নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
৯ ঘণ্টা আগে