‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলা আ.লীগ নেতাকে সশরীরে তলব

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩: ২০

‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট চাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদারকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বাগেরহাট-৩ এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বাগেরহাটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ওবায়দা খানমের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার এ তলব আদেশ দেন বাগেরহাট-৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দা খানম। তিনি বলেন, ‘বাগেরহাট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল প্রতীক) পক্ষে প্রচারণায় সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে হাবিবুর নাহারের (নৌকা) বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। নির্বাচনী আচরণ বিধির ১১(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকে (একরাম ইজারদার) বৃহস্পতিবার আমার কার্যালয়ে সশরীরে এসে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচারণ বিধিমালার ১১(ক) ধারা উল্লেখ আছে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরণের তিক্ত (উস্কানিমূলক বা মানহানিকর) বক্তব্য, লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিকে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করিতে পরিবেন না।

সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. একরাম ইজারাদার সম্প্রতি তাঁর ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের এক সভায় বলেন, ‘আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা আমরা বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) দুইবার (ভোট) দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে না। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের কাছে বলে গেলাম। উনি একজন নারী, উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না।’

এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

মোংলা ও রামপাল উপজেলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বগম হাবিবুন নাহার এমপি। এ আসনে মোট প্রার্থী ৭ জন। এর মধ্যে হাবিবুন নাহার এবং নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোংলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইদ্রিস আলীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

একরাম ইজারাদার ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত