দৌলতপুরে ৫ জন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭: ০০
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭: ১৭

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে অন্তত পাঁচজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন এ রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

স্থানীয়রা জানান, এলাকার বেশ কিছু গরু একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লে তা স্থানীয় বাজারে জবাই করে বিক্রি করা হয়। সেই সব গরুর মাংস খেয়েই পাঁচজন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। তা ছাড়া তিনজন কৃষকের তিনটি গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। 

আক্রান্তরা হলেন প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ফকির মণ্ডলের ছেলে সজীব (২৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে নামাজ (২৮), নয়ন আলীর ছেলে রমজান আলী (৪৮), মতিয়ার রহমানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫) এবং মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সুজিনা খাতুন (৪০)। 

আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ থেকে ১২ দিন আগে বাজার থেকে আনা গরুর মাংস খেয়ে তাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা গ্রামের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

এ বিষয়ে প্রাগপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, `অ্যানথ্রাক্স রোগীদের বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। তবে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।' 

অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, প্রাথমিক লক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কয়েকজনের অ্যানথ্রাক্স রোগ নির্ণয় করা হয়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবাও দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ‘অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর আমার জানা নেই। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে, তবে ওই এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক জানান, প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে কিছু গরু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে শুনে গত সপ্তাহ থেকে ওই এলাকার পশুগুলোকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত পশুর স্যাম্পল ল্যাবটেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ রোগের যাতে বিস্তার না ঘটে, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকার আক্রান্ত পশু থেকে মানুষ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান এই কর্মকর্তা, তবে কোনো মানুষ যদি আক্রান্ত হয়, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন।

ডা. আব্দুল মালেক আরও বলেন, গবাদিপশু থেকে অ্যানথ্রাক্স রোগ মানুষের মাঝে ছড়ায়। গবাদিপশু থেকে যে কটি রোগে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তার মধ্যে অ্যানথ্রাক্স উল্লেখযোগ্য। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত