রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর)
গরু-মহিষ, লাঙল আর জোয়াল দিয়ে জমি চাষ এক সময় ছিল গ্রাম বাংলার অতি সাধারণ এক চিত্র। কালের বিবর্তনের এই চাষ পদ্ধতি এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। আধুনিক প্রযুক্তি আসার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষকেরা। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী হাঁটে দেদার বিক্রি হতে দেখা যেত লাঙল, জোয়াল। কিন্তু গাংনী উপজেলার সমস্ত হাট খুঁজেও এখন সেই লাঙল ও জোয়াল পাওয়া কঠিন।
ভোর হলেই গরু, লাঙল, জোয়াল নিয়ে বাড়ি থেকে জমি চাষ করার জন্য বেরিয়ে যেতেন কৃষক। কিন্তু গ্রামের মাঠগুলো ঘুরে আর দেখা মেলে না লাঙল দিয়ে জমি চাষের দৃশ্য। স্থানীয়রা জানান, লাঙল দিয়ে জমি চাষের সেই সময়টা ছিল অনেক আনন্দের। লাঙল বাইতে বাইতে গলা ছেড়ে গান গাইতেন চাষিরা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় লাঙলের সঙ্গে হারিয়ে গেছে সে সব আনন্দও। তবে গাংনী উপজেলার হাতে গোনা কিছু চাষি এখনো পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। যেমন, বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই ৪০ বছর ধরে মহিষ ও লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে বেড়াচ্ছেন মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আশ্বব আলী।
উপজেলার ঝোরাঘাট গ্রামের সিপারুল ইসলাম বলেন, ‘২০ বছর আগে আমারও গরু ছিল। কিন্তু যখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলো তখনই পাওয়ার টিলার কিনলাম। লাঙল-গরু দিয়ে চাষের সমাপ্তি ঘটল। কিন্তু সেই স্মৃতিগুলো এখনো সব সময় মনে পড়ে।’
চাষি মো. আশ্বব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রায় ৪০ বছর ধরে মহিষের লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে যাচ্ছি। এটা শুধু আমার কাছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নয়, এটা আমার বাবার স্মৃতিও বহন করে। আল্লাহ যত দিন বাঁচিয়ে রাখবেন লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে যাব। আশপাশের দুই-তিন গ্রামের মধ্যে শুধু আমার কাছে এই লাঙল রয়েছে। দিন দিন একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যগুলো।’
লাঙল, জোয়াল বানানো মোহাম্মদ বদর উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই। এর মধ্যে চার ভাই লাঙল, জোয়াল তৈরি করতাম। এগুলো বামন্দীসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রি করতাম। আজ থেকে ১৫ বছর আগেও এর কদর ছিল। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর এল। এরপর থেকে আস্তে আস্তে প্রায় হারিয়ে গেল লাঙল দিয়ে জমি চাষ। এখন মাঝে মাঝে কয়েকটি গ্রামে দেখা যায়। ইশ, জোয়াল তৈরির কারিগর আমার সেই তিন ভাই অনেক আগে মারা গেছে। আমি এসব কাজ অনেক আগেই বাদ দিয়েছি।’
সাবেক ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার সঙ্গে সঙ্গে হাল চাষের পরিবর্তন ঘটেছে। ১০-১৫ বছর আগেও অনেককেই দেখা যেত গরু, মহিষের লাঙল দিয়ে জমি চাষ দিতে। এখন মাঠে গেলে দেখা যায় ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে। এক সময় মানুষ লাঙল দিয়ে জমি চাষ করার জন্য আলাদা যত্ন নিয়ে গরু পালত। গরুর মুখে ব্যবহার করা হতো ঠুসী। কাঁধে দেওয়া হতো জোয়াল। চাষি মুখে শব্দ করত ও হাট, হাট, ঘোর, ঘোর, হই হই। সেসব স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেলে এখনো আনন্দ লাগে।
গরু-মহিষ, লাঙল আর জোয়াল দিয়ে জমি চাষ এক সময় ছিল গ্রাম বাংলার অতি সাধারণ এক চিত্র। কালের বিবর্তনের এই চাষ পদ্ধতি এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। আধুনিক প্রযুক্তি আসার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষকেরা। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী হাঁটে দেদার বিক্রি হতে দেখা যেত লাঙল, জোয়াল। কিন্তু গাংনী উপজেলার সমস্ত হাট খুঁজেও এখন সেই লাঙল ও জোয়াল পাওয়া কঠিন।
ভোর হলেই গরু, লাঙল, জোয়াল নিয়ে বাড়ি থেকে জমি চাষ করার জন্য বেরিয়ে যেতেন কৃষক। কিন্তু গ্রামের মাঠগুলো ঘুরে আর দেখা মেলে না লাঙল দিয়ে জমি চাষের দৃশ্য। স্থানীয়রা জানান, লাঙল দিয়ে জমি চাষের সেই সময়টা ছিল অনেক আনন্দের। লাঙল বাইতে বাইতে গলা ছেড়ে গান গাইতেন চাষিরা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় লাঙলের সঙ্গে হারিয়ে গেছে সে সব আনন্দও। তবে গাংনী উপজেলার হাতে গোনা কিছু চাষি এখনো পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। যেমন, বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই ৪০ বছর ধরে মহিষ ও লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে বেড়াচ্ছেন মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আশ্বব আলী।
উপজেলার ঝোরাঘাট গ্রামের সিপারুল ইসলাম বলেন, ‘২০ বছর আগে আমারও গরু ছিল। কিন্তু যখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলো তখনই পাওয়ার টিলার কিনলাম। লাঙল-গরু দিয়ে চাষের সমাপ্তি ঘটল। কিন্তু সেই স্মৃতিগুলো এখনো সব সময় মনে পড়ে।’
চাষি মো. আশ্বব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রায় ৪০ বছর ধরে মহিষের লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে যাচ্ছি। এটা শুধু আমার কাছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নয়, এটা আমার বাবার স্মৃতিও বহন করে। আল্লাহ যত দিন বাঁচিয়ে রাখবেন লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে যাব। আশপাশের দুই-তিন গ্রামের মধ্যে শুধু আমার কাছে এই লাঙল রয়েছে। দিন দিন একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যগুলো।’
লাঙল, জোয়াল বানানো মোহাম্মদ বদর উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই। এর মধ্যে চার ভাই লাঙল, জোয়াল তৈরি করতাম। এগুলো বামন্দীসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রি করতাম। আজ থেকে ১৫ বছর আগেও এর কদর ছিল। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর এল। এরপর থেকে আস্তে আস্তে প্রায় হারিয়ে গেল লাঙল দিয়ে জমি চাষ। এখন মাঝে মাঝে কয়েকটি গ্রামে দেখা যায়। ইশ, জোয়াল তৈরির কারিগর আমার সেই তিন ভাই অনেক আগে মারা গেছে। আমি এসব কাজ অনেক আগেই বাদ দিয়েছি।’
সাবেক ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার সঙ্গে সঙ্গে হাল চাষের পরিবর্তন ঘটেছে। ১০-১৫ বছর আগেও অনেককেই দেখা যেত গরু, মহিষের লাঙল দিয়ে জমি চাষ দিতে। এখন মাঠে গেলে দেখা যায় ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে। এক সময় মানুষ লাঙল দিয়ে জমি চাষ করার জন্য আলাদা যত্ন নিয়ে গরু পালত। গরুর মুখে ব্যবহার করা হতো ঠুসী। কাঁধে দেওয়া হতো জোয়াল। চাষি মুখে শব্দ করত ও হাট, হাট, ঘোর, ঘোর, হই হই। সেসব স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেলে এখনো আনন্দ লাগে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহপরান এলাকার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেই সংঘর্ষে যুক্ত হয় আরও তিন গ্রামের মানুষ। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আড়াই ঘণ্টা। এই সংঘর্ষে পাঁচ গ্রামের কয়েক শ মানুষ জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ...
৩ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার আদমজী ইপিজেডে এই ঘটনা ঘটে।
১৩ মিনিট আগেশৈলকুপায় মসজিদে তারাবির নামাজের সময় জুতা হারানো নিয়ে দুই দল মুসল্লির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২৪ মিনিট আগেঅন্য বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগের আদেশ বাতিল এবং নিজ বিভাগ থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সভাপতি নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পাঁচ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
৩২ মিনিট আগে