মাগুরায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় মামলা, শনাক্ত হয়নি চাপা দেওয়া গাড়িটি

মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৭: ০৫
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৭: ৪১

মাগুরা-যশোর সড়কের সীমাখালী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের ঘটনায় সড়ক আইনে মামলা করেছে মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌতম কুমার। 

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই সড়কে অটোরিকশাটিকে জিএম পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয় বলে জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে পুলিশ বলছে অটোরিকশাকে চাপা দেওয়া পরিবহনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

আজ শনিবার মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের ওসি গৌতম কুমার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে পরিবহনের (বাস) কথা গতকাল থেকে বলা হচ্ছে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এমনকি সেই সময়ের পরিবহনকে শনাক্ত করে কোনো দুর্ঘটনার আলামত পাওয়া যায়নি।’ 

ওসি বলেন, ‘শতখালী এলাকায় গতকাল দুর্ঘটনার সময় অটোরিকশাটি পৌঁছালে সড়কের পাশে মাটির স্তূপে যানটি আটকে যায়। এ সময় পেছন দিক থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে চলে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। কিন্তু আজ শনিবার আমরা কোনো পরিবহনকে ধাক্কা দেওয়ার কোনো প্রমাণ খুঁজে পাইনি।’ 

ওসি বলেন, ‘বাস না হয়ে ভারী অন্য কোনো যান হতে পারে। সে হিসেব করেই আমরা তদন্ত করছি। কারণ, যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে রাতে ওই সময় ভারী যানবাহন ঢাকামুখী যাতায়াত করে।’ 

প্রসঙ্গত, গতকাল মাগুরা-যশোর সড়কের সীমাখালী এলাকায় বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হন। নিহতের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের নিতাই দের স্ত্রী নিরুপমা দে (৪৫) এবং একই গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র দের স্ত্রী পুষ্প রানী দে (৪০)। এ ছাড়া মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান নারিকেলবাড়িয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মধু শিকদার (৫০)।

 এ ঘটনায় আরও ৫-৭ আহত হন। আহতরা মাগুরা সদর হাসপাতাল ও শালিখা উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে বাঘারপাড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে আজ সকালেই বাড়ি ফিরেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত