সড়কের পাশে মিলল নবজাতক, কোলে তুলে নিলেন পথচারী

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৩: ৫৭
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৩: ১৪

সকালে হাঁটতে বের হন দুই বোন। এ সময় চোখ পড়ে সড়কে পাশে কাপড়ে জড়ানো কোনো বস্তুর দিকে। কিছুটা এগোতে তাঁরা দেখেন এটি কোনো বস্তু নয়, এক দিনের নবজাতক। পরে নবজাতকটিতে কোলে তুলে নেন সোনিয়া খাতুন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কোটচাঁদপুর-তালসার সড়কের বটগাছের সামনে নবজাতকটিকে পাওয়া যায়। নবজাতকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

কুশনা গ্রামের পলাশ মন্ডল বলেন, সোনিয়া খাতুন ও জিনিয়া খাতুন দুই বোন। আজ সকালে তাঁরা হাঁটতে বের হন সড়কে। কিছু দূর যাওয়ার পর কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় চোখে পড়ে বাচ্চাটি। এরপর সোনিয়া নবজাতকটিকে কোলে তুলে নেন।

পলাশ মন্ডল বলেন, দেখে মনে হচ্ছে নবজাতটি একদিনের। নবজাতটি অবস্থা একটু খারাপ ছিল, এখন ভালো বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর সোনিয়ার বাড়িতে শতাধিক মানুষের ভিড় জমে।

এদিকে নবজাতকটির স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান সোনিয়া। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নবজাতকটিকে দেখে ভালো আছে বলে জানান। এরপর তারা নবজাতকটিকে নিয়ে বাসায় চলে যান। আইনগত সমস্যার কারণে আবারও নবজাতকটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারা।

খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। বাচ্চাটিকে না পেয়ে ওই পরিবারটিকে আবারও স্বাস্থ্য নিয়ে এসে ভর্তি রাখার কথা জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তারুনী পাশা বলেন, ‘বাচ্চাটি তারা নিয়ে আসেন। এরপর দেখে তাঁদের ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারা ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যান। কবে ওই নবজাতকটি সুস্থ আছে।’

সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় শিশু কল্যাণ বোর্ড আছে। নবজাতককে কাউকে নিতে হলে ওই বোর্ডে আবেদন করতে হয়। আইন মেনেই নিতে হবে। যাঁরা নবজাতকটি পেয়েছেন তাঁরা ইচ্ছে করলেই রাখতে পারবেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উছেন মে বলেন, এই নবজাতককে নিতে হলে আইনগত ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত