৪ বছর পর জোড়া খুনের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ৩২

স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নয়ন শেখকে (২৬) একটি বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব জানায়, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার পলাশী গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নয়ন শেখ কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার নজরুল শেখের ছেলে। 

আজ সোমবার দুপুরে র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এক সাংবাদিক সম্মেলন এসব তথ্য জানান। 

ইলিয়াস খান জানান, ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে নামাজ শেষে মসজিদ হতে বাড়ি ফেরার পথে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামের মুজিবর রহমান মাস্টার ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন ও তাঁর সহযোগীরা। এই ঘটনার পরদিন ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামি নয়ন শেখসহ ৪ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, এবং ৭ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ জন আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে নয়ন পালিয়ে যায়। পরে প্রযুক্তির সহযোগিতায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ইলিয়াস খান আরও জানান, নয়ন শেখের বয়স কম হলেও সে এলাকায় নয়ন বন্ড বা নয়ন ডাকাত নামে পরিচিত। হত্যাকাণ্ডের পর সে প্রথমে ঢাকায় পালিয়ে যায়। এর পর কোর্টে আত্মসমর্পণ করে এ 
মামলায় দেড় বছর জেল খাটে। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও পরবর্তীতে জামিন বাতিল হওয়ায় সে ভারতে পালিয়ে যায়। ভারতে থাকা অবস্থায় সে কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর বালুর ইজারাদারদের নিকট হতে বিকাশের মাধ্যমে নিয়মিত চাঁদা আদায় করত। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে নিজস্ব ট্রলার যোগে মাদক ব্যবসাসহ অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

নয়ন শেখের নামে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা ও দৌলতপুর থানায় ১টি অস্ত্র মামলা,১টি ডাকাতি,২টি মারামারি ও ১টি ছিনতাই মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। 
গ্রেপ্তারের পর নয়নকে ভেড়ামারা থানা-পুলিশের সোপর্দ করলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত