শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে এক শিক্ষার্থী ‘সুপার গ্লু’ লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই চেয়ারে শিক্ষকের প্যান্ট আটকে গেলে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতে পরেন এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর দিয়ে শাসন করেন বলে জানা গেছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মারধরের কারণে রাস্তায় ওই শিক্ষককে আটকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে আলম হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এসব ঘটনায় পরবর্তীতে দু-পক্ষই আইনগত প্রতিকার দাবি করে শ্যামনগর থানাসহ জেলা এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর ৭৪ নং গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এ বিষয়ে আজ সোমবার উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই শিক্ষক এ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় আগামীকাল মঙ্গলবার একই বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে জানিয়েছেন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ।
ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, ভুক্তভোগী শিক্ষক এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার বেলা ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম ৫ম শ্রেণির ক্লাস নিতে শ্রেণিকক্ষে যান। ওই শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে শিক্ষা সহায়ক বিষয় লেখার সুযোগে শিক্ষার্থীদের একজন কৌশলে তাঁর চেয়ারে ‘সুপার গ্লু’ (আঠা) ঢেলে দেয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী কৌশলে শিক্ষক আবুল কাশেমকে ওই চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করে। একপর্যায়ে তিনি পুনরায় ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার পরনের প্যান্ট চেয়ারের সঙ্গে আটকে গেলে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ব্যঙ্গ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে অসদাচরণের অভিযোগে শিক্ষক আবুল কাশেম শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত ৫ শিক্ষার্থীকে একই সময় শাসন করেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে প্রধান শিক্ষকের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। একপর্যায়ে সন্তানদের শাসনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে আলম হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন গতকাল রোববার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষক আবুল কাশেমকে বেপরোয়াভাবে মারধর করে।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, বসার চেয়ারে সুপার গ্লু আঠা লাগিয়ে তাঁকে অপদস্থ করার অপরাধে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। বিষয়টিকে পুঁজি করে আগে থেকে বিরোধিতাকারী আলম হোসেন লোকজন নিয়ে রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারধর করে। আহত হয়ে দুদিন শ্যামনগর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাড়িতে ফিরে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা আলম হোসেন জানান, অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চেয়ারে চুইংগাম ফেলে রাখে। ক্লাস নেওয়ার একপর্যায়ে চেয়ারে বসতে গিয়ে প্যান্ট আটকে যাওয়ায় শিক্ষক আবুল কাশেম তাঁর সন্তানসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে মারাত্মক নির্যাতন করেছে। তাই তারা ওই শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। তিনি জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাফিজ মিয়া জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যায়ভাবে মারধরের অভিযোগে শিক্ষক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন অভিভাবক। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ দুটি পৃথক অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সম্পর্কিত। সে কারণে উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে আজ (সোমবার) বৈঠক করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার একই বিষয়ে বৈঠকের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে সোমবারের বৈঠকে ওই শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। তার সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে এক শিক্ষার্থী ‘সুপার গ্লু’ লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই চেয়ারে শিক্ষকের প্যান্ট আটকে গেলে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতে পরেন এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর দিয়ে শাসন করেন বলে জানা গেছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মারধরের কারণে রাস্তায় ওই শিক্ষককে আটকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে আলম হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এসব ঘটনায় পরবর্তীতে দু-পক্ষই আইনগত প্রতিকার দাবি করে শ্যামনগর থানাসহ জেলা এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর ৭৪ নং গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এ বিষয়ে আজ সোমবার উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই শিক্ষক এ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় আগামীকাল মঙ্গলবার একই বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে জানিয়েছেন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ।
ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, ভুক্তভোগী শিক্ষক এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার বেলা ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম ৫ম শ্রেণির ক্লাস নিতে শ্রেণিকক্ষে যান। ওই শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে শিক্ষা সহায়ক বিষয় লেখার সুযোগে শিক্ষার্থীদের একজন কৌশলে তাঁর চেয়ারে ‘সুপার গ্লু’ (আঠা) ঢেলে দেয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী কৌশলে শিক্ষক আবুল কাশেমকে ওই চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করে। একপর্যায়ে তিনি পুনরায় ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার পরনের প্যান্ট চেয়ারের সঙ্গে আটকে গেলে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ব্যঙ্গ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে অসদাচরণের অভিযোগে শিক্ষক আবুল কাশেম শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত ৫ শিক্ষার্থীকে একই সময় শাসন করেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে প্রধান শিক্ষকের হাতে মারধরের শিকার হওয়ার বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। একপর্যায়ে সন্তানদের শাসনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে আলম হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন গতকাল রোববার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষক আবুল কাশেমকে বেপরোয়াভাবে মারধর করে।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, বসার চেয়ারে সুপার গ্লু আঠা লাগিয়ে তাঁকে অপদস্থ করার অপরাধে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। বিষয়টিকে পুঁজি করে আগে থেকে বিরোধিতাকারী আলম হোসেন লোকজন নিয়ে রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারধর করে। আহত হয়ে দুদিন শ্যামনগর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর বাড়িতে ফিরে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা আলম হোসেন জানান, অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চেয়ারে চুইংগাম ফেলে রাখে। ক্লাস নেওয়ার একপর্যায়ে চেয়ারে বসতে গিয়ে প্যান্ট আটকে যাওয়ায় শিক্ষক আবুল কাশেম তাঁর সন্তানসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে মারাত্মক নির্যাতন করেছে। তাই তারা ওই শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। তিনি জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাফিজ মিয়া জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যায়ভাবে মারধরের অভিযোগে শিক্ষক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন অভিভাবক। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ দুটি পৃথক অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সম্পর্কিত। সে কারণে উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে আজ (সোমবার) বৈঠক করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার একই বিষয়ে বৈঠকের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে সোমবারের বৈঠকে ওই শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। তার সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কোচিং সেন্টারে পড়া অবস্থায় ৯ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের রহমতপুর জিএমএস টিচিং হোম কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদের জলাবাড়ি ইউনিয়নে প্রায় সাত কিলোমিটার খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব খালের বেশির ভাগ স্থানে পাড় ড্রেসিং (ছেঁটে ফেলানো) করা হলেও ওপরে কোনো মাটি ওঠানো হয়নি।
৩৪ মিনিট আগেঢাকার মাতুয়াইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ডেমরা অংশের পাশেই ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ। গত সোমবার সকালে কলেজটিতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ নানা তাণ্ডব চালানো হয়। এতে কলেজটির ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে...
৩৯ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর আকার বৃদ্ধি এবং সংস্কারকাজ চলছে ধীরগতিতে। এদিকে নদী পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ পথে চলাচলকারী তিনটি ইউনিয়নের মানুষ। বিকল্প হিসেবে কাঠের মই ব্যবহার করে সেতুতে উঠে হেঁটে পার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
৪০ মিনিট আগে