দম ফেলার সময় নেই শালিখার কামারিদের

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২২, ১২: ৩২
Thumbnail image

ঈদুল আজহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। ঈদ সামনে রেখে শালিখার কামারপল্লিতে বেড়েছে কাজের চাপ। কামারদের যেন দম ফেলার সময় নেই। এ বছর কোরবানির পশু কাটার সরঞ্জাম তৈরির চাপ একটু বেশি রয়েছে। একই সঙ্গে পাট কাটার কাস্তে তৈরির চাপও রয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বুনাগাতী, আড়পাড়া, গঙ্গারামপুরসহ বিভিন্ন স্থানের কামারশালায় গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কামারেরা বড় ছুরি, ছোট কাটারি, বঁটি, দা, চাপাতিসহ মাংস কাটার নানা ধরনের সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ আগুন ধরাচ্ছেন, কেউ আবার বড় হামান দিয়ে সজোরে জ্বলন্ত লোহার অগ্নিপিণ্ডে আঘাত করছেন। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন দা, বঁটি, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামে শাণ দিতে ভিড় জমাচ্ছেন কামারপল্লিতে। সেখানে কেজিপ্রতি দা ৫০০ টাকা, বটি ৬০০ টাকা, চাপাতি ৭০০ টাকায় তৈরি করা হচ্ছে। পোড়াতে খরচ হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। 

উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের কামার প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, গত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর কোরবানির পশু কাটার সরঞ্জাম তৈরির চাপটা একটু বেশি। পাশাপাশি পাট কাটার কাস্তে তৈরির চাপও রয়েছে। 

ঈদকে সামনে রেখে কামারপল্লিতে বেড়েছে কাজের চাপকোরবানির পশু কাটার সরঞ্জাম তৈরি করতে আসা কয়েকজন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি সরঞ্জাম তৈরি ও পোড়াতে দাম একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র গোস্বামী বলেন, এ বছর কোরবানির জন্য গরু ১ হাজার ৯৩৯টি ও ছাগল ৩ হাজার ৩৫৮টি প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে। 

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, মানুষ যাতে সুস্থ ও সবল পশু কোরবানি দিতে পারে, সে জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে একটি মেডিকেল টিম উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে গরু-ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ওষুধ বিতরণ করছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত