মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরের জিএইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতক জমি স্ত্রী ও শ্যালক-শ্যালিকা নামে নিবন্ধন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ওই জমিতে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এখন ৭টি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন সভাপতি। এ নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার সরেজমিন তদন্ত করে গেছেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন তিনি।
তবে সভাপতির দাবি, বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তিনি ৮ লাখ টাকায় ৭ শতক জমি স্ত্রীসহ নিকট আত্মীয়দের কাছে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মনিরামপুর-রাজগঞ্জ পাকা সড়কের পাশে বিদ্যালয় চত্বরের ১০ শতক জমি সভাপতি স্ত্রী ও শ্যালক-শ্যালিকার নামে লিখে দিয়েছে। সভাপতি ৮ লাখ টাকা নেওয়ার কথা বললেও আদৌ সে টাকার কোনো খোঁজ নেই। তা ছাড়া ৫০ লাখ টাকার জমি তিনি কীভাবে নামমাত্র মূল্যে স্ত্রী ও তাঁর (স্ত্রীর) ভাই-বোনের নামে লিখে দিলেন এই প্রশ্নও উঠেছে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে ঘুঘুরাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, ‘কামরুজ্জামান উপজেলার ধলিগাতী আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টানা ৫ বারের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুরের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের ৩৬২ খতিয়ানের ১০ শতক জমি সভাপতি নিজের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেবি, শ্যালিকা রেহেনা খাতুন ও শ্যালক বিল্লাল হোসেনের নামে লিখে দিয়েছেন। এ ছাড়া সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন ও সারিবদ্ধ গাছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে।’
ইউনুস আলী বলেন, ২০১৯ সালের দিকে সভাপতি এ জমি নিকট আত্মীয়দের নামে নিবন্ধন করে দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সেখানে দোকান ঘর তোলার কাজ শুরু করায় জমি লিখে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। আমরা বিচার চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন দিয়েছি। আগামী বুধবার ইউএনও অফিসে সভাপতি ও হেডমাস্টারকে ডেকেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি বলেন, ‘২০১৯ সালে জিএইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবনের বরাদ্দ আসে। ভবন নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হয়। বিদ্যালয়ের তহবিলে টাকা ছিল না। এ জন্য তখন বিদ্যালয়ের ডোবা জমি বিক্রির প্রয়োজন হয়। সেখান থেকে ৭ শতক জমি বিক্রির জন্য নোটিশ ঝুলিয়ে দিই। আগ্রহী ক্রেতারা ৫ লাখ টাকার বেশি দাম দিতে চাননি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য ৮ শতক জমি কিনতে ৮ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল।’
সভাপতি বলেন, ‘বাইরের কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না মেলায় আমার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শ্যালক বিল্লাল হোসেনের কাছে ৩ শতক, শ্যালিকা রেহেনার কাছে আড়াই শতক ও আমার স্ত্রী হোসনেয়ারার কাছে দেড় শতক মোট ৭ শতক জমি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।’
এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে সভাপতির বক্তব্যের সত্যতা মেলেনি। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করার সময় পুরোনো ভবন ও মাঠের গাছ বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা পেয়েছে কমিটি। সেখান থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকায় এলাকার বিধানগংদের কাছ থেকে ৮ শতক জমি কেনা হয়েছে। বাকি টাকার কোনো খোঁজ নেই।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে জমি বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় তিনি মোবাইল বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, এক সাক্ষাৎকারে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জমি বিক্রি করা হয়েছে সত্য। তবে কতটাকায় হয়েছে সেটা জানা নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে গতকাল রোববার সরেজমিন তদন্তে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে পাওয়া যায়নি। ৭ শতক জমি বিক্রির সত্যতা পেয়েছি।
বিকাশ সরকার বলেন, এভাবে সভাপতি বা প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের জমি বেচতে পারেন না। জমি বেচতে হলে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুমতি নেওয়া দরকার ছিল।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে ডেকেছি। তারা ব্যাখ্যা দিলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
যশোরের মনিরামপুরের জিএইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতক জমি স্ত্রী ও শ্যালক-শ্যালিকা নামে নিবন্ধন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ওই জমিতে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এখন ৭টি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন সভাপতি। এ নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার সরেজমিন তদন্ত করে গেছেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন তিনি।
তবে সভাপতির দাবি, বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তিনি ৮ লাখ টাকায় ৭ শতক জমি স্ত্রীসহ নিকট আত্মীয়দের কাছে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মনিরামপুর-রাজগঞ্জ পাকা সড়কের পাশে বিদ্যালয় চত্বরের ১০ শতক জমি সভাপতি স্ত্রী ও শ্যালক-শ্যালিকার নামে লিখে দিয়েছে। সভাপতি ৮ লাখ টাকা নেওয়ার কথা বললেও আদৌ সে টাকার কোনো খোঁজ নেই। তা ছাড়া ৫০ লাখ টাকার জমি তিনি কীভাবে নামমাত্র মূল্যে স্ত্রী ও তাঁর (স্ত্রীর) ভাই-বোনের নামে লিখে দিলেন এই প্রশ্নও উঠেছে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে ঘুঘুরাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, ‘কামরুজ্জামান উপজেলার ধলিগাতী আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টানা ৫ বারের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুরের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের ৩৬২ খতিয়ানের ১০ শতক জমি সভাপতি নিজের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেবি, শ্যালিকা রেহেনা খাতুন ও শ্যালক বিল্লাল হোসেনের নামে লিখে দিয়েছেন। এ ছাড়া সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন ও সারিবদ্ধ গাছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে।’
ইউনুস আলী বলেন, ২০১৯ সালের দিকে সভাপতি এ জমি নিকট আত্মীয়দের নামে নিবন্ধন করে দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সেখানে দোকান ঘর তোলার কাজ শুরু করায় জমি লিখে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে গেছে। আমরা বিচার চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন দিয়েছি। আগামী বুধবার ইউএনও অফিসে সভাপতি ও হেডমাস্টারকে ডেকেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতি বলেন, ‘২০১৯ সালে জিএইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবনের বরাদ্দ আসে। ভবন নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত জমির প্রয়োজন হয়। বিদ্যালয়ের তহবিলে টাকা ছিল না। এ জন্য তখন বিদ্যালয়ের ডোবা জমি বিক্রির প্রয়োজন হয়। সেখান থেকে ৭ শতক জমি বিক্রির জন্য নোটিশ ঝুলিয়ে দিই। আগ্রহী ক্রেতারা ৫ লাখ টাকার বেশি দাম দিতে চাননি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য ৮ শতক জমি কিনতে ৮ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল।’
সভাপতি বলেন, ‘বাইরের কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না মেলায় আমার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শ্যালক বিল্লাল হোসেনের কাছে ৩ শতক, শ্যালিকা রেহেনার কাছে আড়াই শতক ও আমার স্ত্রী হোসনেয়ারার কাছে দেড় শতক মোট ৭ শতক জমি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।’
এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে সভাপতির বক্তব্যের সত্যতা মেলেনি। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করার সময় পুরোনো ভবন ও মাঠের গাছ বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা পেয়েছে কমিটি। সেখান থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকায় এলাকার বিধানগংদের কাছ থেকে ৮ শতক জমি কেনা হয়েছে। বাকি টাকার কোনো খোঁজ নেই।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে জমি বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় তিনি মোবাইল বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, এক সাক্ষাৎকারে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জমি বিক্রি করা হয়েছে সত্য। তবে কতটাকায় হয়েছে সেটা জানা নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে গতকাল রোববার সরেজমিন তদন্তে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে পাওয়া যায়নি। ৭ শতক জমি বিক্রির সত্যতা পেয়েছি।
বিকাশ সরকার বলেন, এভাবে সভাপতি বা প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের জমি বেচতে পারেন না। জমি বেচতে হলে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুমতি নেওয়া দরকার ছিল।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে ডেকেছি। তারা ব্যাখ্যা দিলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
২৪ মিনিট আগেরিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
৩০ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৩৮ মিনিট আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
৪২ মিনিট আগে