জাককানইবিতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

জাককানইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ৫৬
Thumbnail image

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) এক শিক্ষকের অশোভন মন্তব্যে একই বিভাগের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আজ শনিবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

এর আগে অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন তাঁরা। 

আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীর জন্ম নিয়ে কটাক্ষ করতে পারেন না। এঁরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক এরা নিজেদের বাবাকেই মূল্যায়ন করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের কাছে তিন কর্মদিবস সময় নিয়েছেন। এ জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। 

তারা আরও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক শেখ মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে দাবি আদায় করবেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অন্যায় করে থাকে তাহলে আমি তার শাস্তি চাই। তবে আমি তার সহপাঠীদের কাছে যতটুকু জেনেছি, আমার ছেলের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমার ছেলে যদি মারা যেত আপনারা তাকে ফিরিয়ে দিতে পারতেন? একজন শিক্ষক শাসন করতে পারেন, তবে কখনো ছাত্রকে ছোট বা হেয় প্রতিপন্ন করতে পারেন না। আমি এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হুমায়ুন কবীর জানান, ঘটনা তদন্তে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারীকে প্রধান করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ড. তপন কুমার সরকার ও প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেশের বাইরে আছেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ও উপাচার্য ক্যাম্পাসে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর জন্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন একই বিভাগেরই শিক্ষক শেখ মেহেদী হাসান। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনার ব্যাখ্যা করে ১০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী। পরে তাঁর সহপাঠীরা উদ্ধার করে ত্রিশালের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এই খবর জানার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত