সংবাদ প্রকাশের পর টাঙানো ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড সরিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাতরা। গতকাল শনিবার রাতে রাতের আঁধারে সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়। তবে বাদী ইমরুল কায়েস আল রাজি খোকনের দাবি সাইনবোর্ড সরালেও জায়গার দখল পাননি তিনি। 

এর আগে গত শুক্রবার রাতে বিরোধপূর্ণ জমিতে গৌরীপুর বোকাইনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নামের একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। এই সাইনবোর্ডে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সংযুক্ত ছিল। এ বিষয়ে গতকাল শনিবার ‘আজকের পত্রিকা’-এর অনলাইনে ‘গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। 

এদিন সন্ধ্যার পর গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকীর কার্যালয়ে একটি সালিস অনুষ্ঠিত হয়। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং বিরোধে না জড়িয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে অনুরোধ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব মশিউর রহমান কাউসারসহ উভয় পক্ষের লোকজন। 

জায়গাটি মাইজহাটি জামে মসজিদের দাবি করে অভিযুক্ত বদরুল হাসান বাচ্চু জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এ জায়গার তিনটি দোকানের ভাড়া নিচ্ছে মসজিদ কমিটি। এ মসজিদের সভাপতি তিনি। 

জায়গায় অবস্থিত দোকানদার জয়নাল জানান, তিনি হীরা মিয়া নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন। এর জন্য প্রতি মাসে হীরাকে ২০০ ও মসজিদকে ২০০ টাকা ভাড়া দেন। 

জানা যায়, মাইজহাটি মৌজায় ২৭ নম্বর খতিয়ানের ১৮৪ দাগের ১৫ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা চলমান আসছে। গত ৪ জানুয়ারি ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি খারিজ করে দেন। উল্লেখ করা হয় উক্ত ভূমিতে বিবাদী বদরুল হাসান বাচ্চুর কোনো দাবি নেই। 

গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করা হয়েছে। মসজিদের পবিত্রতার স্বার্থে বিতর্কিত জায়গার মালিকানা বিষয়ে কমিটির একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’ 

ফলোআপ: 
গৌরীপুরে ছাত্রলীগের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ