সাহ্‌রিতে মাইকে ডাকায় ৫ যুবককে পুলিশের হেনস্তা, আপস করে দিলেন ধর্মমন্ত্রী

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯: ৫৩
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪, ২০: ৩২

জামালপুরের ইসলামপুরে রমজানে সাহ্‌রি খেতে লোকজনকে মাইকে ডাকাডাকি করায় পুলিশের হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন পাঁচ যুবক। এ ঘটনার বিচার দাবি করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। পরে ধর্মমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট পুলিশসহ ওই যুবকদের ডেকে আপস করে দিয়েছেন।

ইসলামপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহন মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোরে থানায় যাই। তখন সম্ভবত ফজরের নামাজের আজান হয়েছে। পরে ওসি সাহেব আমার জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দেন। পরে তাঁরা পুলিশি নির্যাতনের বিষয়টি ধর্মমন্ত্রীকে জানান। ডাকবাংলোতে এএসপি অভিজিত দাসসহ ওই যুবকদের ডেকে মন্ত্রী মহোদয় মীমাংসা করে দিয়েছেন।’ 

ভুক্তভোগী আক্তার মিয়া বলেন, ‘আমরা কয়েকজন সাহ্‌রি খেতে লোকজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে গত ১৪ মার্চ রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু মোড় এলাকায় মাইকিং করি। এ সময় গাড়ি থেকে বের হয়ে এএসপি অভিজিত দাস আমাদের গালাগালসহ মারধর করে থানা হাজতে নিয়ে আটকে রাখেন। আমাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। আমাদের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। থানা হাজতে আমাদের সাহ্‌রি খেতে দেয়নি। ভোরে পৌর কাউন্সিলর মোহন মিয়ার হস্তক্ষেপে আমরা মুক্তি পাই।’ 

জনি মিয়া বলেন, ‘টিঅ্যান্ডটি অফিসসংলগ্ন সড়ক থেকে রাত আড়াইটার দিকে আমাকে এবং মন্তু শেখকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। প্রথমে নারী ও শিশু ডেস্কে আমাদের রাখা হয়। পরে এএসপি অভিজিতের নির্দেশে আমাদের হাজতে রাখা হয়। বিনা অপরাধে আমার গায়ে পুলিশ হাত তুলেছে। সাহ্‌রি না খেতে পেরে আমরা রোজা রাখতে পারিনি।’ 

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, ‘ভোরে কাউন্সিলর মোহন মিয়ার জিম্মায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সাহ্‌রি খেতে বলা হলে তারা খেয়েছে বলে জানিয়েছিল।’

তবে ইসলামপুর সার্কেলের এএসপি অভিযুক্ত অভিজিত দাস তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রাত ২টার থেকে উচ্চ শব্দে মাইকে মিউজিকের আওয়াজ শুনি। পরে তাদের থানায় আনি। তাদের রাত ৩টার পর থেকে কম সাউন্ডে মাইকিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কাউকে মারধর বা নির্যাতন করা হয়নি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত