ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালে ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়া হয় লুৎফুর রহমানের (৪২)। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের করা নাশকতার মামলায় বেশ কয়েক মাস জেলও খাটেন তিনি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামি হয়েছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের টানা তিনবারের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য লুৎফুর।
নাশকতার অভিযোগ এনে গত ৩০ আগস্ট মুক্তাগাছা থানায় সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০০-১৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম। এ মামলায় ২২ নম্বর আসামি বুলবুল (৪৫), ৮৪ নম্বর আসামি লুৎফর রহমান (৪৫) এবং ৯০ নম্বর আসামি মুন্নাফ মিয়া কামাল (৪০) বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা সবাই উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপির কর্মী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাঁরা মামলা, হামলা, জেল খাটানোসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ঘোগা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় তাঁদের আসামি করেছেন। এমন বিষয়ে দলের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
তবে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবু দাবি করেন, লুৎফরসহ অন্যরা কখনো বিএনপি করেননি। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি টানা তিনবারের ঘোগা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ২০১০ সালে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক দুলাল আমার একটি কেটে ফেলে, অন্যটি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এখনো বাঁ হাতটি স্বাভাবিক হয়নি। অন্যের সহযোগিতায় চলতে হয়। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মনি বাদী হয়ে আমাকে প্রধান আসামি করে নাশকতার মামলায় আসামি করে। ছাত্ররা একটি নতুন দেশ উপহার দেওয়ার পর ভেবেছিলাম একটু নিজের দুঃখ ঘুচাব। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবুর পক্ষ না নেওয়ায় আমাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে মামলার আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এখন বাড়িছাড়া। এমন পরিস্থিতির শিকার হব কখনো ভাবিনি।’
আরেক ভুক্তভোগী মুন্নাফ মিয়া কামাল বলেন, ‘ঘোগা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কামরুজ্জামান লেবুর পক্ষে অবস্থান না নেওয়ায় আমাদের নাশকতার মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ, বিষয়টি তদন্ত করে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
কামরুজ্জামান লেবু চেয়ারম্যান পদে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে বিএনপির করা নাশকতার মামলায় আসামি হয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগী বুলবুল বলেন, ‘আমি ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। নির্বাচনে আমার ভাই মোশারফ হোসেন মুকুল লেবুর পক্ষে অবস্থান নিলেও তিনি ফেল করেন। তাঁর ধারণা, আমার ভাই পক্ষে কাজ করলেও ভোট দেয়নি। তাই মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
নাশকতা মামলার বাদী দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশে এই মামলায় সবাইকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় বিএনপির তিনজন থাকার বিষয়ে আমি অবগত নই। কী কারণে এমন হয়েছে সাক্ষাতে সরাসরি বলব।’
মামলায় বিএনপির তিনজনকে আসামি করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য জাকারিয়া হারুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লুৎফর, বুলবুল ও কামাল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সবাই জানে। মামলা হওয়ার পর তারা আমার কাছে এসেছিল, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি, তারেক রহমান এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১০ সালে ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়া হয় লুৎফুর রহমানের (৪২)। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের করা নাশকতার মামলায় বেশ কয়েক মাস জেলও খাটেন তিনি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামি হয়েছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের টানা তিনবারের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য লুৎফুর।
নাশকতার অভিযোগ এনে গত ৩০ আগস্ট মুক্তাগাছা থানায় সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০০-১৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম। এ মামলায় ২২ নম্বর আসামি বুলবুল (৪৫), ৮৪ নম্বর আসামি লুৎফর রহমান (৪৫) এবং ৯০ নম্বর আসামি মুন্নাফ মিয়া কামাল (৪০) বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা সবাই উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপির কর্মী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাঁরা মামলা, হামলা, জেল খাটানোসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ঘোগা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় তাঁদের আসামি করেছেন। এমন বিষয়ে দলের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
তবে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবু দাবি করেন, লুৎফরসহ অন্যরা কখনো বিএনপি করেননি। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি টানা তিনবারের ঘোগা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ২০১০ সালে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক দুলাল আমার একটি কেটে ফেলে, অন্যটি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এখনো বাঁ হাতটি স্বাভাবিক হয়নি। অন্যের সহযোগিতায় চলতে হয়। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মনি বাদী হয়ে আমাকে প্রধান আসামি করে নাশকতার মামলায় আসামি করে। ছাত্ররা একটি নতুন দেশ উপহার দেওয়ার পর ভেবেছিলাম একটু নিজের দুঃখ ঘুচাব। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবুর পক্ষ না নেওয়ায় আমাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে মামলার আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এখন বাড়িছাড়া। এমন পরিস্থিতির শিকার হব কখনো ভাবিনি।’
আরেক ভুক্তভোগী মুন্নাফ মিয়া কামাল বলেন, ‘ঘোগা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কামরুজ্জামান লেবুর পক্ষে অবস্থান না নেওয়ায় আমাদের নাশকতার মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ, বিষয়টি তদন্ত করে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
কামরুজ্জামান লেবু চেয়ারম্যান পদে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে বিএনপির করা নাশকতার মামলায় আসামি হয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগী বুলবুল বলেন, ‘আমি ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। নির্বাচনে আমার ভাই মোশারফ হোসেন মুকুল লেবুর পক্ষে অবস্থান নিলেও তিনি ফেল করেন। তাঁর ধারণা, আমার ভাই পক্ষে কাজ করলেও ভোট দেয়নি। তাই মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
নাশকতা মামলার বাদী দাওগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশে এই মামলায় সবাইকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় বিএনপির তিনজন থাকার বিষয়ে আমি অবগত নই। কী কারণে এমন হয়েছে সাক্ষাতে সরাসরি বলব।’
মামলায় বিএনপির তিনজনকে আসামি করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য জাকারিয়া হারুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লুৎফর, বুলবুল ও কামাল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সবাই জানে। মামলা হওয়ার পর তারা আমার কাছে এসেছিল, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি, তারেক রহমান এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
১ ঘণ্টা আগে