Ajker Patrika

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ছাত্রফ্রন্টের বিক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি
বাকৃবিতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ছাত্রফ্রন্টের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রফ্রন্ট নেতাকে মারধরের ঘটনায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রফ্রন্ট এই বিক্ষোভ মিছিল করে।

ছাত্রলীগের আশরাফুল হক হল ইউনিটের পরিবেশ সম্পাদক তামিম মাহমুদ আকাশ, দ্বিতীয় বর্ষের ইরফান আকবর ও মামুনুর রশিদ ফাহিমের বিরুদ্ধে হামলার এ অভিযোগ উঠেছে। হামলার শিকার হন বাকৃবির সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) শাখার সহসভাপতি পৃথ্বীরাজ দাশ। তাঁকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে হল সংগঠক মাহিদুজ্জামান শোভনও আহত হন।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পৃথ্বীরাজ দাশ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে হলের ডি-ব্লকে সাধারণ ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ ওয়াইফাই রাউটার আশরাফুল হক হল ছাত্রলীগের পরিবেশ সম্পাদক তামিম মাহমুদ আকাশের নির্দেশে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা নিজ কক্ষে নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হই।’

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের হল শাখার নেতা আকাশের নেতৃত্বে ইরফান আকবর, মামুনুর রশিদ ফাহিমসহ ২৫-৩০ জন দফায় দফায় হামলা চালায়। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে ছাত্রফ্রন্টের আশরাফুল হক হলের সংগঠক মাহিদুজ্জামান শোভনও আহত হন।’

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পৃথ্বীরাজ দাশ বলেন, আকাশ, ইরফান, ফাহিমসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ হলগুলোতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। 

তবে ছাত্রলীগ নেতা তামিম মাহমুদ আকাশ বলেন, ‘ওয়াইফাইয়ের রাউটার নিয়ে হলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আমি ও হলের সিনিয়র ভাইয়েরা গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করি। তবে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।’

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ফাহিম ও ইরফান এ বিষয়ে বলেন, ‘হলের জুনিয়রদের সঙ্গে পৃথ্বীরাজ খারাপ ব্যবহার করলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে আনা হামলার অভিযোগ সত্য নয়। সেখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।’ 

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. তাজ উদ্দিন বলেন, ‘এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। দুই পক্ষের সঙ্গে বসে কথা বলে পরে জানাব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি যেহেতু হলকেন্দ্রিক, তাই হল প্রভোস্ট দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত