জুবাইদুল ইসলাম
শেরপুর: যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তার পরিবারসহ শেরপুর জেলার সর্বস্তরের মানুষ। তাদের প্রত্যাশা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পুরস্কার পাওয়া জহির এবার টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবে।
জহিরের পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের দীঘলদি গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ও শিখা বেগম দম্পতির চার পুত্র সন্তানের মধ্যে জহির রায়হান দ্বিতীয়। বড় ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ রাসেল এবং জহিরের ছোট জামিল ও যিদনী। রাসেল ও জহির যখন ছোট, তখন তাদের পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরের বাড়ইপাড়া মহল্লায় বসবাস শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করান রাসেল ও জহিরকে।
রাসেল নিয়মিত স্কুল করলেও ৩য় শ্রেণিতে ওঠার পর খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন জহির। এ জন্য স্কুলেও সে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তা নিয়ে প্রথমে বাবা-মা বকাবকি করলেও বাবা আব্দুর রাজ্জাক শরীরচর্চার শিক্ষক হওয়ায় তারও খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিল। শেষ পর্যন্ত জহিরকে তিনি ফুটবল অনুশীলন করার জন্য শেরপুরের স্থানীয় ক্লাব ‘ফর ফুটবল শেরপুর’ এর কোচ সাধন বসাকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সে ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়। ফুটবল খেলার সময় তার দৌড়ের ক্ষিপ্রতা দেখে অবাক হয়েছিলেন কোচ সাধন বসাক।
পরবর্তীতে শেরপুরে বিকেএসপির প্রতিভা অন্বেষণ টিম আসে খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য। প্রথমবার সেখানে অংশ নিয়ে জায়গা না করতে পারলেও পরেরবার ২০১২ সালে অ্যাথলেটিক খেলোয়াড় হিসেবে বিকেএসপিতে জায়গা করে নেন জহির। সেখানে প্রথমে এক মাস প্রশিক্ষণ করে বাছাইয়ে টিকে যান এবং আবারও পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পান জহির। এরপর থেকেই শুরু হয় তার সামনে এগিয়ে চলা।
জহির রায়হান দেশের বড় বড় আসরে অনেক পুরস্কার জিতেছেন। ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে ৪৬.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেশীয় আসরে ৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ, নাইরোবি, কেনিয়া ও এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ থাইল্যান্ডে ৪০০ মিটার ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে হিটে উত্তীর্ণ হয়ে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় সাউথ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৯ সালে কাতারে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস, ২৩ তম এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ এবং নেপালে ১৩ তম সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন জহির।
জহিরের সাফল্য দেখে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে তাকে পেটি অফিসার হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন একজন অ্যাথলেট মনোনয়নের জন্য অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে চিঠি দেয়। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সিলেকশন কমিটি মনোনয়নের জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করলে সেখান থেকে জহির রায়হানের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো পারফরমেন্সের ভিত্তিতে টোকিও অলিম্পিকের জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এদিকে জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণের খবর শোনার পর থেকেই তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন শেরপুরের ক্রীড়ামোদীসহ সর্বস্তরের মানুষ। তার এ কৃতিত্বের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী, জেলা প্রশাসনসহ হুইপ আতিউর রহমান আতিক তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দিয়েছেন। সেই সাথে তাকে উৎসাহ দিতে হুইপ আতিক এক লাখ টাকা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
ছেলের সাফল্যে বেজায় খুশি বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ছোট থেকেই জহিরের খেলার প্রতি টান ছিলো বেশি। তাই আমার বড় ছেলের পরামর্শে আমি তাকে খেলাধুলার চর্চা করাতে আগ্রহী হয়ে ওঠি। আমার ছেলে শেরপুরের সুনাম দেশে ছড়িয়েছে। আমি চাই এবার যাতে সে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান বয়ে আনতে পারে। মা শিখা বেগমও ছেলের সাফল্যের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
অ্যাথলেট জহির রায়হান জানান, আমি ছোট থেকেই খেলা পাগল ছিলাম। প্রথমে ফুটবল দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে আমার বাবার ইচ্ছেতেই আমি অ্যাথলেটিকসে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে সক্ষম হই। আজ আমি আমার বাবা-মার আশা পূরণ করতে পেরেছি। এ জন্য আমার বর্তমান ও সাবেক কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর আমার সংস্থা নৌ-বাহিনী আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে। সেই সাথে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনও আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। আমি দেশবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চাই। আমি যেন টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।
জহির রায়হানের প্রথম কোচ সাধন বসাক জানান, জহির প্রথমে আমার কাছে ফুটবল অনুশীলন করেছে। তার অনুশীলন ও তার গতি দেখে প্রথম থেকেই আমি ভেবেছি, সে একদিন বড় কিছু করতে পারবে। আজ সেটাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।'
জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত জানান, টোকিও অলিম্পিকে জহির ভালো করবে বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আশাবাদী। মাশরাফিকে দিয়ে যেমন দেশবাসী নড়াইলকে আলাদা করে চেনে, ঠিক তেমনি শেরপুর জেলাকেও জহিরকে নিয়ে ভিন্নভাবে চিনবে বলে আশা করছি।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, জহির শেরপুর জেলার অহংকার। সে শুধু শেরপুর নয় সারা দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক বলেন, জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ অবশ্যই শেরপুরবাসীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমি আশা করব, শেরপুরের কৃতি সন্তান জহির টোকিও অলিম্পিকেও সফল হবে এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।
শেরপুর: যাত্রা শুরু করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অ্যাথলেট! শেরপুরের অজপাড়াগাঁয়ের সন্তান ৪০০ মিটার দৌড়ে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির রায়হানের গল্পটা এমনই। এবার তিনি জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জহির অলিম্পিকে দৌড়াবে জেনে আনন্দে আত্মহারা তার পরিবারসহ শেরপুর জেলার সর্বস্তরের মানুষ। তাদের প্রত্যাশা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পুরস্কার পাওয়া জহির এবার টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবে।
জহিরের পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের দীঘলদি গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ও শিখা বেগম দম্পতির চার পুত্র সন্তানের মধ্যে জহির রায়হান দ্বিতীয়। বড় ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ রাসেল এবং জহিরের ছোট জামিল ও যিদনী। রাসেল ও জহির যখন ছোট, তখন তাদের পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরের বাড়ইপাড়া মহল্লায় বসবাস শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করান রাসেল ও জহিরকে।
রাসেল নিয়মিত স্কুল করলেও ৩য় শ্রেণিতে ওঠার পর খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন জহির। এ জন্য স্কুলেও সে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তা নিয়ে প্রথমে বাবা-মা বকাবকি করলেও বাবা আব্দুর রাজ্জাক শরীরচর্চার শিক্ষক হওয়ায় তারও খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিল। শেষ পর্যন্ত জহিরকে তিনি ফুটবল অনুশীলন করার জন্য শেরপুরের স্থানীয় ক্লাব ‘ফর ফুটবল শেরপুর’ এর কোচ সাধন বসাকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সে ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়। ফুটবল খেলার সময় তার দৌড়ের ক্ষিপ্রতা দেখে অবাক হয়েছিলেন কোচ সাধন বসাক।
পরবর্তীতে শেরপুরে বিকেএসপির প্রতিভা অন্বেষণ টিম আসে খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য। প্রথমবার সেখানে অংশ নিয়ে জায়গা না করতে পারলেও পরেরবার ২০১২ সালে অ্যাথলেটিক খেলোয়াড় হিসেবে বিকেএসপিতে জায়গা করে নেন জহির। সেখানে প্রথমে এক মাস প্রশিক্ষণ করে বাছাইয়ে টিকে যান এবং আবারও পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পান জহির। এরপর থেকেই শুরু হয় তার সামনে এগিয়ে চলা।
জহির রায়হান দেশের বড় বড় আসরে অনেক পুরস্কার জিতেছেন। ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে ৪৬.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেশীয় আসরে ৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ, নাইরোবি, কেনিয়া ও এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ থাইল্যান্ডে ৪০০ মিটার ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে হিটে উত্তীর্ণ হয়ে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় সাউথ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৯ সালে কাতারে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস, ২৩ তম এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ এবং নেপালে ১৩ তম সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন জহির।
জহিরের সাফল্য দেখে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে তাকে পেটি অফিসার হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন একজন অ্যাথলেট মনোনয়নের জন্য অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনকে চিঠি দেয়। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সিলেকশন কমিটি মনোনয়নের জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করলে সেখান থেকে জহির রায়হানের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো পারফরমেন্সের ভিত্তিতে টোকিও অলিম্পিকের জন্য তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এদিকে জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণের খবর শোনার পর থেকেই তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন শেরপুরের ক্রীড়ামোদীসহ সর্বস্তরের মানুষ। তার এ কৃতিত্বের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী, জেলা প্রশাসনসহ হুইপ আতিউর রহমান আতিক তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দিয়েছেন। সেই সাথে তাকে উৎসাহ দিতে হুইপ আতিক এক লাখ টাকা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
ছেলের সাফল্যে বেজায় খুশি বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ছোট থেকেই জহিরের খেলার প্রতি টান ছিলো বেশি। তাই আমার বড় ছেলের পরামর্শে আমি তাকে খেলাধুলার চর্চা করাতে আগ্রহী হয়ে ওঠি। আমার ছেলে শেরপুরের সুনাম দেশে ছড়িয়েছে। আমি চাই এবার যাতে সে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান বয়ে আনতে পারে। মা শিখা বেগমও ছেলের সাফল্যের জন্য সবার দোয়া কামনা করেন।
অ্যাথলেট জহির রায়হান জানান, আমি ছোট থেকেই খেলা পাগল ছিলাম। প্রথমে ফুটবল দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে আমার বাবার ইচ্ছেতেই আমি অ্যাথলেটিকসে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে সক্ষম হই। আজ আমি আমার বাবা-মার আশা পূরণ করতে পেরেছি। এ জন্য আমার বর্তমান ও সাবেক কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর আমার সংস্থা নৌ-বাহিনী আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে। সেই সাথে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনও আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। আমি দেশবাসীসহ সবার কাছে দোয়া চাই। আমি যেন টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।
জহির রায়হানের প্রথম কোচ সাধন বসাক জানান, জহির প্রথমে আমার কাছে ফুটবল অনুশীলন করেছে। তার অনুশীলন ও তার গতি দেখে প্রথম থেকেই আমি ভেবেছি, সে একদিন বড় কিছু করতে পারবে। আজ সেটাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।'
জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত জানান, টোকিও অলিম্পিকে জহির ভালো করবে বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আশাবাদী। মাশরাফিকে দিয়ে যেমন দেশবাসী নড়াইলকে আলাদা করে চেনে, ঠিক তেমনি শেরপুর জেলাকেও জহিরকে নিয়ে ভিন্নভাবে চিনবে বলে আশা করছি।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, জহির শেরপুর জেলার অহংকার। সে শুধু শেরপুর নয় সারা দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক বলেন, জহিরের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ অবশ্যই শেরপুরবাসীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমি আশা করব, শেরপুরের কৃতি সন্তান জহির টোকিও অলিম্পিকেও সফল হবে এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
১২ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
১৬ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগে