মাদারগঞ্জে ৫ বছরেও সংস্কার হয়নি ব্রিজ, মানুষের দুর্ভোগ

মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ২৪

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বন্যায় ব্রিজসহ দু’পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের দিকপাড়া খালের ওপর নির্মিত ওই ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় প্রায় ৬ হাজার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না। প্রায় ৫ বছর ধরে ব্রিজটি হাজারো মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রিজ দিয়ে লোকজন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের বন্যায় ব্রিজটির দু’পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয় ও ব্রিজটির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙা ব্রিজটির দু’পাশে কাঠের চাটা বসিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেঁটে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করছে। কখনো ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ভ্যান চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে। বিশেষ করে, রাতে ব্রিজটি পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন বেশি। 

স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের বন্যায় পানির তোড়ে ব্রিজটির দু’পাশ ও নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। এরপর গত ৫ বছরেও ব্রিজটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে ব্রিজের দু’পাশে কাঠের চাটা বসিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে পায়ে হেঁটে পারাপারের উপযোগী করা হলেও যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল মাথায় করে ব্রিজটির এক পাশ থেকে অপর পাশে নিতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। 

দিকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম নবী জানান, গত ২০-২২ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু ২০১৭ সালের বন্যায় পানি স্রোত বেশি থাকায় সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় হাট-বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতালে যাতায়াত করছেন। দ্রুত সেতুটি নির্মাণ হলে এই এলাকার মানুষের জীবনমানের ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এস. এম শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি নির্মাণের জন্য এলজিইডির ঢাকা কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেতুটির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত