Ajker Patrika

জাককানইবি শিক্ষার্থীকে রোলিং চেয়ারে ঘুরিয়ে নির্যাতন, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

জাককানইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ১৪: ৩১
জাককানইবি শিক্ষার্থীকে রোলিং চেয়ারে ঘুরিয়ে নির্যাতন, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সিনিয়রের কাছে জুনিয়র নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত জুনিয়র শিক্ষার্থী সংগীত বিভাগের সাগর চন্দ্র দে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন চারুকলা বিভাগের সৌমিক জাহান। 

এ কারণে আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন একদল শিক্ষার্থী। 

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দোষীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করছি। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনায় প্রশাসনের যে বিচার দেখলাম, তা খুবই দুঃখজনক। এ জন্য স্থায়ী বহিষ্কার করলে পরে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। আর সাগর চন্দ্রের সব চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে।’ 

আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু বিচার না করবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব। আর কোনো রকম ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না।’ সকাল থেকেই কলা অনুষদের সব ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার বলেন, ‘স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা যায় না। আইনগতভাবে অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। তা ছাড়া এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’ 

জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে সাগর চন্দ্রকে নির্যাতন করা হয়েছে। পরে তাঁর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

শনিবার রাতে হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সাগর চন্দ্র বলেন, এদিন বিকেলে ওই কক্ষে সাগরকে রোলিং চেয়ারে জোর করে বসানো হয়। এরপর তাঁকে ঘোরাতে থাকেন চারুকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌমিক জাহান। এ সময় বারবার থামাতে বললেও অনবরত চেয়ারটি জোরে ঘোরাতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে চেয়ারটি উল্টে গিয়ে পড়ে যান সাগর। এতে মাথায়, নাকেমুখে মারাত্মক আঘাত পান তিনি। এ সময় দুটি দাঁত ভেঙে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে এ অবস্থায়ও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে জেতে বাধা দেন সৌমিক। এমনকি সাগরের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রাখেন তিনি। 

ভুক্তভোগী সাগর আরও বলেন, “আমাকে অত্যাচার করার পর আমার মোবাইলটি বারবার চাইলেও আমাকে দিতে চায়নি। তবু অনেক চেষ্টার পর মোবাইলটি নিয়ে হাশর ভাইকে মেসেঞ্জারে একটি ছবি পাঠাই এবং লিখি, ‘ভাই আমি তো শেষ, রুম নম্বর ২০৪, অগ্নিবীণা হল। তাড়াতাড়ি আসেন।’ এরপর ৫ মিনিট পর এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।” 

তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সৌমিক জাহানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এদিকে, নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অগ্নিবীণা হল প্রশাসন। ইরফান আজিজকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব হীরক মুশফিক ও সদস্য মো. আলিম। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হলের প্রাধ্যক্ষ কল্যাণাংশু নাহা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

খামেনিকে চিঠি দিয়ে যে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত