জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙন দেখা দিয়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৩০টি বাড়ি ও ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে মাঝিপাড়া গ্রামের দেড় হাজার পরিবার।
ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, অনেকে বাড়িঘর, ফসলি জমি হারিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকানো না গেলে মাঝিপাড়া গ্রামটিও নদীগর্ভে চলে যাবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি ভাঙন ঠেকাতে সমীক্ষা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করতে পারব।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের চর ডাতাকিয়া, কাজলাপাড়া, মণ্ডল বাজার, বরখাল, হাজারীগ্রাম, খানপাড়া, পলাশপুর, জালিপাড়া ও মাঝিপাড়া গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি। ইতিমধ্যে একটি প্রাইমারি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ডাকাতিয়া গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রামসহ ১০টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৫০ বাড়ি ভেঙে ১ হাজার ২০০ পরিবার ভিটেমাটি হারা হয়েছে।
ভাঙনকবলিতরা জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে ভাঙছে। প্রায় ২০ হাজার বাড়িঘর, হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে গেছে। একসময় এই জমিতে ইরি বোরো ধান, মরিচ, ভুট্টা, আখ, বেগুন, শাকসবজি চাষ হতো। আর পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ছিল এই এলাকা। সবকিছুই নদীতে গেছে। কেউ কেউ ২১ বার বাড়ি বদল করে এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। এখন আর কেউ জায়গা দেয় না। নদীর পারের ভাঙনকবলিত মানুষের দাবি এখন জেলে সম্প্রদায়ের মাঝিপাড়া গ্রামটি হুমকির মুখে। এই গ্রামের দেড় হাজার মানুষের চোখে ঘুম নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকানো না গেলে তাদের সবকিছু হারিয়ে আশ্রয় নিতে হবে অন্যত্র।
চর ডাকাতিয়া গ্রামের ৬৫ বছরের হাবিব বলেন, ‘ছোটবেলায় দাদার সঙ্গে যমুনা নদী দেখার জন্য নৌকায় যেতে ৩ ঘণ্টা লাগত। এখন তো নদীই প্রতিদিন আমগরে দেখতাছে। এই জীবনে ২১ বার বাড়ি বদল করেছি। নদীভাঙন দেখতে দেখতে কালা চুল সাদা হয়ে গেল। অনেক জমিজমা ছিল। বোরো ধানের আবাদ করতাম, পেঁয়াজের আবাদে যে এলাকা বিখ্যাত ছিল; সেটা এখন নদী। মরিচ-ভুট্টা সবই করতাম এখন রাস্তায় থাকি। ১৫-২০ বছর ধরে ভাঙছে। কেউ তো আমাদের দেখে না।’
একই গ্রামের ৬০ বছরের হাবিব মিয়া বাঁশঝাড়ের নিচে পাঁচজন মিলে লবণ দিয়ে চিড়া খাচ্ছেন। এটাই তাঁদের দুপুরের খাবার। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তিনি বলেন, ‘কী আর শুনবেন, সবই তো শেষ। গোয়ালভরা গরু, ফসলি জমি মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল, কবরস্থান সবকিছু নদী খাইছে। সারা রাত চোখে ঘুম নাই। কখন জানি আবার শেষ আশ্রয়ও নদীতে যায়। তিনটি আদর্শ গ্রাম ছিল। প্রায় শতাধিক গ্রাম ছিল সব শেষ। এখন মাঝিপাড়া গ্রামটা আছে। এখানে দেড় হাজার পরিবারের বসবাস। এই গ্রামটা চলে গেলে সবাইকে অন্যত্র যেতে হবে। গত বছর প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছে। সরকার যদি ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই গ্রামটি নদীগর্ভে চলে যাবে।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রয়েছে। আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিদর্শন করি। সেখানে জরুরি কাজ বাস্তবায়ন করে থাকি। বড়খাল ও খোলাবাড়িতে যে ভাঙন রয়েছে, সেখানে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের একটি সমীক্ষা প্রকল্প যমুনার নদীর সিস্টেমে বাম তীরে চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় যে সুপারিশ আসবে, সেই মোতাবেক প্রকল্প দাখিল করতে পারব। এই এলাকায় জরুরিভাবে কাজ বাস্তবায়নের জন্য ৭০০ মিটার অংশে প্রস্তাবনা দাখিল করা আছে। অনুমোদন হলে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
গত এক সপ্তাহে চর ডাকাতিয়া বড়খাল ও মাঝিপাড়া গ্রামের ৩০টি বাড়িসহ কয়েক শ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরও দেড় হাজার পরিবার।
জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙন দেখা দিয়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৩০টি বাড়ি ও ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে মাঝিপাড়া গ্রামের দেড় হাজার পরিবার।
ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, অনেকে বাড়িঘর, ফসলি জমি হারিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকানো না গেলে মাঝিপাড়া গ্রামটিও নদীগর্ভে চলে যাবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি ভাঙন ঠেকাতে সমীক্ষা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করতে পারব।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের চর ডাতাকিয়া, কাজলাপাড়া, মণ্ডল বাজার, বরখাল, হাজারীগ্রাম, খানপাড়া, পলাশপুর, জালিপাড়া ও মাঝিপাড়া গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি। ইতিমধ্যে একটি প্রাইমারি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ডাকাতিয়া গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রামসহ ১০টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৫০ বাড়ি ভেঙে ১ হাজার ২০০ পরিবার ভিটেমাটি হারা হয়েছে।
ভাঙনকবলিতরা জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে ভাঙছে। প্রায় ২০ হাজার বাড়িঘর, হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে গেছে। একসময় এই জমিতে ইরি বোরো ধান, মরিচ, ভুট্টা, আখ, বেগুন, শাকসবজি চাষ হতো। আর পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ছিল এই এলাকা। সবকিছুই নদীতে গেছে। কেউ কেউ ২১ বার বাড়ি বদল করে এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। এখন আর কেউ জায়গা দেয় না। নদীর পারের ভাঙনকবলিত মানুষের দাবি এখন জেলে সম্প্রদায়ের মাঝিপাড়া গ্রামটি হুমকির মুখে। এই গ্রামের দেড় হাজার মানুষের চোখে ঘুম নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকানো না গেলে তাদের সবকিছু হারিয়ে আশ্রয় নিতে হবে অন্যত্র।
চর ডাকাতিয়া গ্রামের ৬৫ বছরের হাবিব বলেন, ‘ছোটবেলায় দাদার সঙ্গে যমুনা নদী দেখার জন্য নৌকায় যেতে ৩ ঘণ্টা লাগত। এখন তো নদীই প্রতিদিন আমগরে দেখতাছে। এই জীবনে ২১ বার বাড়ি বদল করেছি। নদীভাঙন দেখতে দেখতে কালা চুল সাদা হয়ে গেল। অনেক জমিজমা ছিল। বোরো ধানের আবাদ করতাম, পেঁয়াজের আবাদে যে এলাকা বিখ্যাত ছিল; সেটা এখন নদী। মরিচ-ভুট্টা সবই করতাম এখন রাস্তায় থাকি। ১৫-২০ বছর ধরে ভাঙছে। কেউ তো আমাদের দেখে না।’
একই গ্রামের ৬০ বছরের হাবিব মিয়া বাঁশঝাড়ের নিচে পাঁচজন মিলে লবণ দিয়ে চিড়া খাচ্ছেন। এটাই তাঁদের দুপুরের খাবার। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তিনি বলেন, ‘কী আর শুনবেন, সবই তো শেষ। গোয়ালভরা গরু, ফসলি জমি মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল, কবরস্থান সবকিছু নদী খাইছে। সারা রাত চোখে ঘুম নাই। কখন জানি আবার শেষ আশ্রয়ও নদীতে যায়। তিনটি আদর্শ গ্রাম ছিল। প্রায় শতাধিক গ্রাম ছিল সব শেষ। এখন মাঝিপাড়া গ্রামটা আছে। এখানে দেড় হাজার পরিবারের বসবাস। এই গ্রামটা চলে গেলে সবাইকে অন্যত্র যেতে হবে। গত বছর প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছে। সরকার যদি ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই গ্রামটি নদীগর্ভে চলে যাবে।’
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রয়েছে। আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পরিদর্শন করি। সেখানে জরুরি কাজ বাস্তবায়ন করে থাকি। বড়খাল ও খোলাবাড়িতে যে ভাঙন রয়েছে, সেখানে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের একটি সমীক্ষা প্রকল্প যমুনার নদীর সিস্টেমে বাম তীরে চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় যে সুপারিশ আসবে, সেই মোতাবেক প্রকল্প দাখিল করতে পারব। এই এলাকায় জরুরিভাবে কাজ বাস্তবায়নের জন্য ৭০০ মিটার অংশে প্রস্তাবনা দাখিল করা আছে। অনুমোদন হলে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
গত এক সপ্তাহে চর ডাকাতিয়া বড়খাল ও মাঝিপাড়া গ্রামের ৩০টি বাড়িসহ কয়েক শ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরও দেড় হাজার পরিবার।
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
৫ ঘণ্টা আগে