আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হলেও গৌরীপুরের শালিহর বধ্যভূমিতে গণহত্যায় নিহতদের পরিবার আজও কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ। ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে এসে গ্রামের নিরীহ মানুষদের ধরে ধরে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। গণকবর দেয় শালিহর গ্রামের কদমতলীতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের ১৭ খণ্ডের ইতিহাসে এই নির্মম ঘটনার উল্লেখ নেই কোথাও। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও কোনো স্বীকৃতি পায়নি বধ্যভূমিতে প্রাণ হারানো গ্রামবাসী। সেদিন পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ জনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে থাকা আবুল হাশিমের বাবা ছাবেদ আলী ব্যাপারীকে ধরে নিয়ে যায়, যাঁর সন্ধান আর পাওয়া যায়নি।
বধ্যভূমিতে পাথরে খোদাই করা তালিকা থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় শালিহরে নমঃশূদ্রপাড়া, নাথপাড়া ও কায়স্থপাড়ার মানুষ। মোহিনী কর, জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর, যোগেশ চন্দ্র পণ্ডিত, নবর আলী, ক্ষিরদা সুন্দরী, শচীন্দ্র চন্দ্র দাস, তাড়িনী মোহন দাস, কৈলাশ চন্দ্র দাস, শত্রুঘ্ন দাস, রামেন্দ্র চন্দ্র দাস, কর মোহন সরকার, দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস ও কামিনী মোহন দাসসহ ১৪ জনকে হত্যা করে গণকবর দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।
প্রবীণ সাংবাদিক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু বলেন, ‘২১ আগস্ট গণহত্যার পূর্বে ১৬ মে প্রথম পাকিস্তানি বাহিনী হানা দেয় শালিহর গ্রামে। অগ্নিসংযোগের পর ব্যবসায়ী মধু সুদন ধর ও প্রতিমা (পরবর্তী সময়ে ঝলমল) সিনেমা হলের মালিক কৃষ্ণলাল সাহাকে ধরে নিয়ে যায় তারা। কিশোরগঞ্জের নীলগঞ্জ উপজেলার মুসল্লি ব্রিজের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁদের।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রথম স্থানটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির। জেলা পরিষদের অর্থায়নে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় বধ্যভূমিতে। চলতি বছর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
গণহত্যায় নিহত জ্ঞানেন্দ্র মোহন করের ছেলে শীতাংশু কর জানান, ‘২১ আগস্ট ও ১৪ ডিসেম্বর বছরে দুই দিন প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। আর সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে বধ্যভূমিটি।’ রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি তাঁরা আজও পাননি বলে জানান তিনি।
গৌরীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বলেন, ‘শালিহর গ্রামে গণহত্যার শিকার গ্রামবাসীর কথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ১৭ খণ্ডে উল্লেখ নেই, এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর স্বীকৃতির দাবি জানাই। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আজও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘শালিহর বধ্যভূমিতে যেহেতু স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে, বিষয়টি সরকারের তালিকায় আছে। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হলে নিশ্চয়ই তা লিপিবদ্ধ হবে। স্বীকৃতির জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে অনেক আগেই তালিকা পাঠানো হয়েছে।’ তবে এখনো জবাব আসেনি বলে জানান তিনি।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হলেও গৌরীপুরের শালিহর বধ্যভূমিতে গণহত্যায় নিহতদের পরিবার আজও কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ। ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে এসে গ্রামের নিরীহ মানুষদের ধরে ধরে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। গণকবর দেয় শালিহর গ্রামের কদমতলীতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের ১৭ খণ্ডের ইতিহাসে এই নির্মম ঘটনার উল্লেখ নেই কোথাও। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও কোনো স্বীকৃতি পায়নি বধ্যভূমিতে প্রাণ হারানো গ্রামবাসী। সেদিন পাকিস্তানি বাহিনী ১৪ জনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে থাকা আবুল হাশিমের বাবা ছাবেদ আলী ব্যাপারীকে ধরে নিয়ে যায়, যাঁর সন্ধান আর পাওয়া যায়নি।
বধ্যভূমিতে পাথরে খোদাই করা তালিকা থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় শালিহরে নমঃশূদ্রপাড়া, নাথপাড়া ও কায়স্থপাড়ার মানুষ। মোহিনী কর, জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর, যোগেশ চন্দ্র পণ্ডিত, নবর আলী, ক্ষিরদা সুন্দরী, শচীন্দ্র চন্দ্র দাস, তাড়িনী মোহন দাস, কৈলাশ চন্দ্র দাস, শত্রুঘ্ন দাস, রামেন্দ্র চন্দ্র দাস, কর মোহন সরকার, দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস ও কামিনী মোহন দাসসহ ১৪ জনকে হত্যা করে গণকবর দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।
প্রবীণ সাংবাদিক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু বলেন, ‘২১ আগস্ট গণহত্যার পূর্বে ১৬ মে প্রথম পাকিস্তানি বাহিনী হানা দেয় শালিহর গ্রামে। অগ্নিসংযোগের পর ব্যবসায়ী মধু সুদন ধর ও প্রতিমা (পরবর্তী সময়ে ঝলমল) সিনেমা হলের মালিক কৃষ্ণলাল সাহাকে ধরে নিয়ে যায় তারা। কিশোরগঞ্জের নীলগঞ্জ উপজেলার মুসল্লি ব্রিজের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁদের।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রথম স্থানটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির। জেলা পরিষদের অর্থায়নে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় বধ্যভূমিতে। চলতি বছর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
গণহত্যায় নিহত জ্ঞানেন্দ্র মোহন করের ছেলে শীতাংশু কর জানান, ‘২১ আগস্ট ও ১৪ ডিসেম্বর বছরে দুই দিন প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। আর সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকে বধ্যভূমিটি।’ রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি তাঁরা আজও পাননি বলে জানান তিনি।
গৌরীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বলেন, ‘শালিহর গ্রামে গণহত্যার শিকার গ্রামবাসীর কথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ১৭ খণ্ডে উল্লেখ নেই, এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর স্বীকৃতির দাবি জানাই। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আজও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, ‘শালিহর বধ্যভূমিতে যেহেতু স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে, বিষয়টি সরকারের তালিকায় আছে। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিত হলে নিশ্চয়ই তা লিপিবদ্ধ হবে। স্বীকৃতির জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে অনেক আগেই তালিকা পাঠানো হয়েছে।’ তবে এখনো জবাব আসেনি বলে জানান তিনি।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৩ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে