ফুলপুর উপজেলার রূপসী বাজার থেকে বনগাঁও পর্যন্ত রাস্তাটি বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছেন পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বনগাঁও, কুড়িপাড়া, নগুয়া, বাঁশতলা, নগরবেড়া-এ পাঁচ গ্রামের মানুষের রূপসী বাজারে আসা যাওয়ার এটিই একমাত্র রাস্তা। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের কাছে দাবি তুলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

এলাকাবাসী বলছেন, রূপসী বাজার থেকে বনগাঁও পর্যন্ত এক সময় একটি বড় কাচা রাস্তা ছিল। সেটি দিনের পর দিন কেটেকুটে আইলে পরিণত করা হয়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তার এক কিলোমিটার অংশে দুপাশের জমির মালিকরা কেটেকুটে সেটি আইলে পরিণত করেছে। বর্ষা মৌসুম এলে সেই আইলটিও তলিয়ে যায়। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়ে মানুষ। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মেজবানূল হক রিজবি বলেন, অন্যান্য এলাকার মানুষ যখন পাকা রাস্তার দাবি তুলছেন, তখন আমরা দাবি তুলছি একটি কাচা রাস্তার।

কুড়িপাড়া গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, কাচা রাস্তা না থাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে খুব সমস্যায় পড়তে হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলী আসাদ মমিন বলেন, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, রিকশাতো দূরের কথা সাইকেল নিয়েই চলাচল করা কঠিন। বছরের পর বছর ধরে এমন অবস্থা চলছে। ফলে দুই কিলোমিটার হাঁটা পথের জন্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।

কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমা ঘোষ বলেন, এক সময় বনগাঁওয়ের অনেক ছাত্র-ছাত্রী কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসত। এখন আর আসেনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে।

ফুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাচা রাস্তা করার জন্য উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে উত্থাপন করেছি।

ফুলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকারিয়া আলম বলেন, ওই রাস্তাটি করার পরিকল্পনা আছে।

ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল জানান, এ রাস্তাটি করার জন্য ফুলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। আগামী শুকনা মৌসুমে রাস্তাটি তৈরি করা হতে পারে।