জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করার ঘটনায় শোকজের জবাব না দেওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে মারুফা আক্তার পপিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ ডিসেম্বর পপিকে পাঠানো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত চিঠিটি গতকাল রোববার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া মারুফা আক্তার পপি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন।
মারুফা আক্তার পপিকে বহিষ্কার করা প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বলেন, ‘মারুফা আক্তার পপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, তাঁর মরহুম পিতা ও পরিবার সম্পর্কে স্ট্যাটাস দেন। এ নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর মারুফা আক্তার পপিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সেই বক্তব্য ও ফেসবুকে স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সেই চিঠির কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি। তাই তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মারুফা আক্তার পপি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখনো কোনো চিঠি পাইনি। আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য। তৃণমূলে কাজ করতেই পারি। এই চিঠিতে আমার দলীয় কাজে কোনো ব্যাঘাত হবে না।’
মারুফা আক্তার পপিকে অব্যাহতি দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন। ২০ নভেম্বর মো. আবুল কালাম আজাদকে মির্জা আজমের মাধ্যমে জামালপুর-৫ (সদর) আসনের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য পাঠান দলীয় প্রধান। সকাল ১০টায় স্থানীয় মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বেলা ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়। আপনি (মারুফা) সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা চলার একপর্যায়ে মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে কর্মীদের সারিতে বসেন। বারবার মঞ্চে এসে বসার অনুরোধ করা হলেও কর্মীদের সারিতেই বসে থাকেন। পরে সকলের পীড়াপীড়িতে মঞ্চে এসে মির্জা আজমের পাশের চেয়ারে আসন গ্রহণ করেন।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ আপনি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে উচ্চ স্বরে মতবিনিময়ের সুযোগ চাইতে থাকেন। আপনার (মারুফা) আকস্মিক এহেন আচরণে মঞ্চে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ হতবাক হয়ে যান। এ সময় মির্জা আজম আপনাকে (মারুফা) নিবৃত্ত করতে বারবার চেয়ারে বসতে বলেন, তদুপরি আপনি নিবৃত্ত না হলে একপর্যায়ে মির্জা আজম আপনাকে (মারুফা) ছোট বোন বিবেচনায় একটু উচ্চ স্বরে বসতে বলায় আপনি উচ্চ স্বরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একপর্যায়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘অতীব দুঃখের বিষয় যে, আপনি (মারুফা) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মির্জা আজম, তাঁর মরহুম পিতা ও পরিবার নিয়ে অসত্য, কুরুচিপূর্ণ, অশালীন বক্তব্য ভাইরাল করেন। যার ফলে জামালপুর আওয়ামী লীগ পরিবারের প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জামালপুর জেলা শাখা সার্বিক বিষয় অনুধাবন করে, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আপনার (মারুফা) এহেন আচরণ এবং অসত্য, অশালীন বক্তব্যের জন নিন্দা প্রস্তাবের পাশাপাশি আপনাকে সাত কার্যদিবস সময় দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে আপনার (মারুফা) দাখিলকৃত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আপনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জামালপুর জেলা শাখার সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করার ঘটনায় শোকজের জবাব না দেওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে মারুফা আক্তার পপিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ ডিসেম্বর পপিকে পাঠানো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত চিঠিটি গতকাল রোববার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া মারুফা আক্তার পপি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন।
মারুফা আক্তার পপিকে বহিষ্কার করা প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বলেন, ‘মারুফা আক্তার পপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, তাঁর মরহুম পিতা ও পরিবার সম্পর্কে স্ট্যাটাস দেন। এ নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর মারুফা আক্তার পপিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সেই বক্তব্য ও ফেসবুকে স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সেই চিঠির কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি। তাই তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মারুফা আক্তার পপি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখনো কোনো চিঠি পাইনি। আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য। তৃণমূলে কাজ করতেই পারি। এই চিঠিতে আমার দলীয় কাজে কোনো ব্যাঘাত হবে না।’
মারুফা আক্তার পপিকে অব্যাহতি দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থী ছিলেন। ২০ নভেম্বর মো. আবুল কালাম আজাদকে মির্জা আজমের মাধ্যমে জামালপুর-৫ (সদর) আসনের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য পাঠান দলীয় প্রধান। সকাল ১০টায় স্থানীয় মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বেলা ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়। আপনি (মারুফা) সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা চলার একপর্যায়ে মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে কর্মীদের সারিতে বসেন। বারবার মঞ্চে এসে বসার অনুরোধ করা হলেও কর্মীদের সারিতেই বসে থাকেন। পরে সকলের পীড়াপীড়িতে মঞ্চে এসে মির্জা আজমের পাশের চেয়ারে আসন গ্রহণ করেন।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ আপনি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে উচ্চ স্বরে মতবিনিময়ের সুযোগ চাইতে থাকেন। আপনার (মারুফা) আকস্মিক এহেন আচরণে মঞ্চে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ হতবাক হয়ে যান। এ সময় মির্জা আজম আপনাকে (মারুফা) নিবৃত্ত করতে বারবার চেয়ারে বসতে বলেন, তদুপরি আপনি নিবৃত্ত না হলে একপর্যায়ে মির্জা আজম আপনাকে (মারুফা) ছোট বোন বিবেচনায় একটু উচ্চ স্বরে বসতে বলায় আপনি উচ্চ স্বরে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একপর্যায়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘অতীব দুঃখের বিষয় যে, আপনি (মারুফা) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মির্জা আজম, তাঁর মরহুম পিতা ও পরিবার নিয়ে অসত্য, কুরুচিপূর্ণ, অশালীন বক্তব্য ভাইরাল করেন। যার ফলে জামালপুর আওয়ামী লীগ পরিবারের প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জামালপুর জেলা শাখা সার্বিক বিষয় অনুধাবন করে, গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আপনার (মারুফা) এহেন আচরণ এবং অসত্য, অশালীন বক্তব্যের জন নিন্দা প্রস্তাবের পাশাপাশি আপনাকে সাত কার্যদিবস সময় দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে আপনার (মারুফা) দাখিলকৃত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আপনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জামালপুর জেলা শাখার সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৬ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
৩০ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৩৮ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৪০ মিনিট আগে