ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ। গত বছর জেলায় দৈনিক গড়ে বিয়ে হয়েছে ৫৭টি, আর বিচ্ছেদ ঘটেছে ২০টি করে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো, অল্প বয়সে বিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অবাধ যোগাযোগের সুযোগ, স্বামীর দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা ইত্যাদি বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্রবণতা রোধে পারিবারিক মূল্যবোধ ও বন্ধন দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা।
২৩৬ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ জেলায় প্রায় ৬০ লাখ লোকের বসবাস। জেলা সাব-রেজিস্ট্রারের তথ্য বলছে, এ জেলায় ২০২৩ সালে বিয়ে হয়েছে ২০ হাজার ৮০৫টি। এর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে ৭ হাজার ৩০০টি। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ৫৭ বিয়ে এবং ২০টির মতো বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। সে হিসাবে বিচ্ছেদের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ।
এর আগের বছর ২০২২ সালে ২০ হাজার ২১৩টি বিয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে ৬ হাজার ৩৯০টি। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ৫৬ বিয়ে এবং ১৮টির মতো বিচ্ছেদ ঘটেছে।
২০২১ সালে ১৯ হাজার ৯৩৩টি বিয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ৫ হাজার ৯১১টি। ২০২০ সালে ২১ হাজার ৮টি বিয়ের বিপরীতে বিচ্ছেদ ঘটে ৫ হাজার ৫৩২টি।
এই জেলায় বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জজ আদালতের আইনজীবী নাহরিন সুলতানা নীলা বলেন, ‘আমি ১৪ বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত। এর মধ্যে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) হয়ে কাজ করেছি নারীদের নিয়ে। বিবাহবিচ্ছেদে আমরা অনেকগুলো কারণ লক্ষ করতে পেরেছি। এর মধ্যে: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহ ও সমন্বয়হীনতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া, অল্প বয়সে বিয়ে, বহুবিবাহের কারণে মূলত বিবাহবিচ্ছেদ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
তাঁর মতে, সুনির্দিষ্ট আইন থাকলেও সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় কোনোভাবেই এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে বলে তাঁর পরামর্শ।
জেলায় বছরে গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি বিবাহবিচ্ছেদের অভিযোগ আসে বলে জানিয়ে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘এগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ মানুষের মানসিকতা। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব আর বহুবিবাহ।’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে প্রতিনিয়ত বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে। মানুষ ইচ্ছে করলেই একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। পরিচয় থেকে তা প্রণয়ে পরিণত হয়। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েই দায়ী। এখনো নারীকে সমাজে অবহেলার চোখে দেখা হয়; পুরুষশাসিত সমাজ মনে করে, নারীকে ভরণ-পোষণ দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ। তারা সংসারের কোনো কিছু করতে চায় না; সবকিছু নারীকে করতে হয়। যা নিয়ে অনেক সময় মনোমালিন্য হয়, এটি পরবর্তী সময় বিচ্ছেদে রূপ নেয়। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় না করলে বিবাহবিচ্ছেদ কোনোভাবেই কমবে না।’
বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে প্রবাস জীবনসহ বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী মনে করেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। তিনি বলেন, ‘জেলার অধিকাংশ মানুষ কর্মের সন্ধানে প্রবাসে বসবাস করেন; যার কারণে এর প্রভাব পড়ে স্ত্রীর ওপর। সেই সুযোগ ও একাকিত্ব দূর করার জন্য স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়ান। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে মানুষ পরকীয়ায় জড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে এ থেকে সচেতন করতে বিট পুলিশিং জোরদার করা হচ্ছে।’ বিবাহবিচ্ছেদ কমিয়ে আনতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ। গত বছর জেলায় দৈনিক গড়ে বিয়ে হয়েছে ৫৭টি, আর বিচ্ছেদ ঘটেছে ২০টি করে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো, অল্প বয়সে বিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অবাধ যোগাযোগের সুযোগ, স্বামীর দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা ইত্যাদি বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্রবণতা রোধে পারিবারিক মূল্যবোধ ও বন্ধন দৃঢ় করার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা।
২৩৬ বছরের পুরোনো ময়মনসিংহ জেলায় প্রায় ৬০ লাখ লোকের বসবাস। জেলা সাব-রেজিস্ট্রারের তথ্য বলছে, এ জেলায় ২০২৩ সালে বিয়ে হয়েছে ২০ হাজার ৮০৫টি। এর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে ৭ হাজার ৩০০টি। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ৫৭ বিয়ে এবং ২০টির মতো বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। সে হিসাবে বিচ্ছেদের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ।
এর আগের বছর ২০২২ সালে ২০ হাজার ২১৩টি বিয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটেছে ৬ হাজার ৩৯০টি। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ৫৬ বিয়ে এবং ১৮টির মতো বিচ্ছেদ ঘটেছে।
২০২১ সালে ১৯ হাজার ৯৩৩টি বিয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ৫ হাজার ৯১১টি। ২০২০ সালে ২১ হাজার ৮টি বিয়ের বিপরীতে বিচ্ছেদ ঘটে ৫ হাজার ৫৩২টি।
এই জেলায় বিবাহবিচ্ছেদ বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জজ আদালতের আইনজীবী নাহরিন সুলতানা নীলা বলেন, ‘আমি ১৪ বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত। এর মধ্যে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) হয়ে কাজ করেছি নারীদের নিয়ে। বিবাহবিচ্ছেদে আমরা অনেকগুলো কারণ লক্ষ করতে পেরেছি। এর মধ্যে: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহ ও সমন্বয়হীনতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া, অল্প বয়সে বিয়ে, বহুবিবাহের কারণে মূলত বিবাহবিচ্ছেদ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
তাঁর মতে, সুনির্দিষ্ট আইন থাকলেও সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় কোনোভাবেই এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে বলে তাঁর পরামর্শ।
জেলায় বছরে গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি বিবাহবিচ্ছেদের অভিযোগ আসে বলে জানিয়ে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘এগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিবাহবিচ্ছেদের অন্যতম কারণ মানুষের মানসিকতা। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব আর বহুবিবাহ।’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে প্রতিনিয়ত বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে। মানুষ ইচ্ছে করলেই একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে। পরিচয় থেকে তা প্রণয়ে পরিণত হয়। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েই দায়ী। এখনো নারীকে সমাজে অবহেলার চোখে দেখা হয়; পুরুষশাসিত সমাজ মনে করে, নারীকে ভরণ-পোষণ দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ। তারা সংসারের কোনো কিছু করতে চায় না; সবকিছু নারীকে করতে হয়। যা নিয়ে অনেক সময় মনোমালিন্য হয়, এটি পরবর্তী সময় বিচ্ছেদে রূপ নেয়। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় না করলে বিবাহবিচ্ছেদ কোনোভাবেই কমবে না।’
বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে প্রবাস জীবনসহ বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী মনে করেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। তিনি বলেন, ‘জেলার অধিকাংশ মানুষ কর্মের সন্ধানে প্রবাসে বসবাস করেন; যার কারণে এর প্রভাব পড়ে স্ত্রীর ওপর। সেই সুযোগ ও একাকিত্ব দূর করার জন্য স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়ান। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে মানুষ পরকীয়ায় জড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে এ থেকে সচেতন করতে বিট পুলিশিং জোরদার করা হচ্ছে।’ বিবাহবিচ্ছেদ কমিয়ে আনতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৯ ঘণ্টা আগে