রাবিক হাসান, (জামালপুর) মেলান্দহ
বিদ্যালয়টিতে ছয়টি শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৯। সহকারী শিক্ষকের চার পদই শূন্য। সবশেষ সহকারী শিক্ষক বদলি হওয়ায় এক বছর ধরে একাই রয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সেই থেকে বিদ্যালয়ের সব কাজ একাই সামলাচ্ছেন তিনি।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নে ৫ নম্বর চর উওর উস্তম আলী মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ও আরেকজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সহকারী শিক্ষক বদলি হয়ে চলে যান। তারপর বিদ্যালয়ে আর কোনো সহকারী শিক্ষক আসেননি।
বর্তমানে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়ে খাতা-কলমে ছয়টি শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৬৯। এদের মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিকে ১০ জন শিক্ষার্থী, প্রথম শ্রেণিতে ১০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২, তৃতীয় শ্রেণিতে ১২, চতুর্থ শ্রেণিতে ১৩ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, নীরব-নিস্তব্ধ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ও দুটি শ্রেণির কক্ষ তালাবদ্ধ, তবে একটি শ্রেণিকক্ষ খোলা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের ভেতর ঢুকতেই দেখা যায় ১০ জন শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষককে।
শ্রেণিকক্ষে তৃতীয় শ্রেণির চারজন, চতুর্থ শ্রেণির দুজন শিক্ষার্থী ও পঞ্চম শ্রেণির চারজন শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে পাঠদান দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল। এ তিন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এক শ্রেণিকক্ষে পাশাপাশি বসে ক্লাস করছে।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ছাড়া কেউ নেই। প্রধান শিক্ষক একাই স্কুলের সব কাজ করেন। এই স্কুলটি চর এলাকায়। স্কুলে আসার রাস্তাঘাট একদমই খারাপ। একে তো এখানে কাঁচা রাস্তা, অন্যদিকে বর্ষার সময় হেঁটেও চলাচল করা যায় না। তাই কোনো শিক্ষকও এই স্কুলে চাকরি করতে চান না।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলে, ‘আমাদের স্যার একজন আছে, আর স্যার কেউ নাই। একাই আমাদের সব ক্লাস নেন। আগে ছাত্রছাত্রী বেশি ছিল, স্যার নাই দেইখা অন্য স্কুলে চলে গেছে।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. বোরহান বলে, ‘আমাদের ক্লাসে আমরা দুজন ছাত্রছাত্রী আজ স্কুল আইছি। ক্লাস থ্রি, ফোর, ফাইভ—সবার একসঙ্গে ক্লাস নেন স্যারে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার আগে শিক্ষকেরা আগেই এসে স্কুল দেখেন, পরে আসতে চান না। কারণ, স্কুলে আসার রাস্তাঘাট খারাপ এবং চরাঞ্চলে হওয়ায় কোনো শিক্ষক এই স্কুলে আসতে চান না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ জামাল বলেন, ‘খুব কষ্টে রয়েছি, বিদ্যালয়ে আমি ছাড়া আর কেউ নাই। আমার একাই সব কাজ করতে হয়। ২০১৭ সালের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে দুজন শিক্ষক ছিলাম। ২০২২ সালের শেষের দিকে একজন শিক্ষক বদলি হয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তার পর থেকে আমি একাই রয়েছি। প্রতিদিন আমার একাই ক্লাস নিতে হয়। এদিকে শিক্ষক না থাকাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘শিক্ষকেরা স্কুলে আসতে চান না মূল কারণ হচ্ছে, বিদ্যালয়ে আসার রাস্তাঘাট খুবই খারাপ, এ বিদ্যালয়টি চরাঞ্চল এলাকায়। বর্ষার সময় দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। এ সময় মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো রকম আসা যায়। এ ছাড়া কোনো গাড়ি-ঘোড়া চলে না। বর্তমানে রাস্তার দুপাশেই ভুট্টাখেত দিয়ে একা আসাও ভীতিকর পরিবেশ।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী চকদার বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, পরে বিষয়টি জেনেছি। দু-এক দিনের মধ্যেই ডেপুটেশনে শিক্ষক আমরা দিয়ে দিব ওই বিদ্যালয়ে।’
জামালপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে আমি না জেনে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে হবে।’
বিদ্যালয়টিতে ছয়টি শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৯। সহকারী শিক্ষকের চার পদই শূন্য। সবশেষ সহকারী শিক্ষক বদলি হওয়ায় এক বছর ধরে একাই রয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সেই থেকে বিদ্যালয়ের সব কাজ একাই সামলাচ্ছেন তিনি।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নে ৫ নম্বর চর উওর উস্তম আলী মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ও আরেকজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সহকারী শিক্ষক বদলি হয়ে চলে যান। তারপর বিদ্যালয়ে আর কোনো সহকারী শিক্ষক আসেননি।
বর্তমানে চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়ে খাতা-কলমে ছয়টি শ্রেণিতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৬৯। এদের মধ্যে প্রাক্-প্রাথমিকে ১০ জন শিক্ষার্থী, প্রথম শ্রেণিতে ১০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২, তৃতীয় শ্রেণিতে ১২, চতুর্থ শ্রেণিতে ১৩ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, নীরব-নিস্তব্ধ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ও দুটি শ্রেণির কক্ষ তালাবদ্ধ, তবে একটি শ্রেণিকক্ষ খোলা রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের ভেতর ঢুকতেই দেখা যায় ১০ জন শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষককে।
শ্রেণিকক্ষে তৃতীয় শ্রেণির চারজন, চতুর্থ শ্রেণির দুজন শিক্ষার্থী ও পঞ্চম শ্রেণির চারজন শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে পাঠদান দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল। এ তিন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এক শ্রেণিকক্ষে পাশাপাশি বসে ক্লাস করছে।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর ধরে প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল ছাড়া কেউ নেই। প্রধান শিক্ষক একাই স্কুলের সব কাজ করেন। এই স্কুলটি চর এলাকায়। স্কুলে আসার রাস্তাঘাট একদমই খারাপ। একে তো এখানে কাঁচা রাস্তা, অন্যদিকে বর্ষার সময় হেঁটেও চলাচল করা যায় না। তাই কোনো শিক্ষকও এই স্কুলে চাকরি করতে চান না।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার বলে, ‘আমাদের স্যার একজন আছে, আর স্যার কেউ নাই। একাই আমাদের সব ক্লাস নেন। আগে ছাত্রছাত্রী বেশি ছিল, স্যার নাই দেইখা অন্য স্কুলে চলে গেছে।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. বোরহান বলে, ‘আমাদের ক্লাসে আমরা দুজন ছাত্রছাত্রী আজ স্কুল আইছি। ক্লাস থ্রি, ফোর, ফাইভ—সবার একসঙ্গে ক্লাস নেন স্যারে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার আগে শিক্ষকেরা আগেই এসে স্কুল দেখেন, পরে আসতে চান না। কারণ, স্কুলে আসার রাস্তাঘাট খারাপ এবং চরাঞ্চলে হওয়ায় কোনো শিক্ষক এই স্কুলে আসতে চান না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ জামাল বলেন, ‘খুব কষ্টে রয়েছি, বিদ্যালয়ে আমি ছাড়া আর কেউ নাই। আমার একাই সব কাজ করতে হয়। ২০১৭ সালের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে দুজন শিক্ষক ছিলাম। ২০২২ সালের শেষের দিকে একজন শিক্ষক বদলি হয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তার পর থেকে আমি একাই রয়েছি। প্রতিদিন আমার একাই ক্লাস নিতে হয়। এদিকে শিক্ষক না থাকাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে।’
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘শিক্ষকেরা স্কুলে আসতে চান না মূল কারণ হচ্ছে, বিদ্যালয়ে আসার রাস্তাঘাট খুবই খারাপ, এ বিদ্যালয়টি চরাঞ্চল এলাকায়। বর্ষার সময় দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। এ সময় মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো রকম আসা যায়। এ ছাড়া কোনো গাড়ি-ঘোড়া চলে না। বর্তমানে রাস্তার দুপাশেই ভুট্টাখেত দিয়ে একা আসাও ভীতিকর পরিবেশ।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী চকদার বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, পরে বিষয়টি জেনেছি। দু-এক দিনের মধ্যেই ডেপুটেশনে শিক্ষক আমরা দিয়ে দিব ওই বিদ্যালয়ে।’
জামালপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে আমি না জেনে কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
২৬ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে