নাটোর প্রতিনিধি
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সাড়া জাগানো নাটক 'কোথাও কেউ নেই' আজও জনপ্রিয়। এই নাটকের প্রধান চরিত্র বাকের ভাই, বদি ও মজনুর হাস্যরসাত্মক অভিনয়-নৈপুণ্য এখনো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। জনপ্রিয় সেই নাটকেরই যেন খণ্ডিত বাস্তব দৃশ্য দেখা গেল নাটোরের বাগাতিপাড়ার ভোটের মাঠে।
কোথাও কেউ নেই নাটকের প্রধান খল চরিত্রের নাম মতি। নাটকের নায়িকা মুনার বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে নিত্য আড্ডা দিতেন বাকের, বদি ও মজনু। নাটকের একটি পর্বে দেখা যায়, সম্মান না দিয়ে সামনে দিয়ে চলে যাওয়ার অপরাধে নাজেহাল হতে হয় খল চরিত্র মতিকে। মতিকে একপর্যায়ে বাকেরের পা ছুঁয়ে সালাম করে ওই স্থান ত্যাগ করতে হয়। সালাম করার পর বাকের কিছুটা নরম হয়ে মতিকে একটা কলা খেতে দেন। কলা খেতে না চাইলে ধমকে জোর করে মতিকে কলা খাওয়ানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজারে নাটকীয় সেই দৃশ্য বাস্তবে দেখা যায়। ওই দিন সকালে জামনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুসের নির্বাচনী প্রচারে বাগাতিপাড়ায় যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনসহ কয়েকজন। এ সময় জামনগর বাজারে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক শাহ আলমের প্রচার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তার দুই কর্মী মাহাবুর রহমান ও আহম্মদ আলী। তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে কয়েকজন মাহাবুর রহমানকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ধরে আনেন। এরপর সভাপতি তাঁকে থাপ্পড় মেরে হাতে থাকা কলা জোর করে মাহাবুরের মুখে গুঁজে দেন এবং নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করতে বাধ্য করেন।
পুরো ঘটনার কিছুটা ধরা পড়ে ওই বাজারের একটি দোকানে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। ৩৪ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নৌকার এক কর্মী মোটরসাইকেল থেকে জোর করে মাহাবুরকে নামিয়ে মারতে মারতে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে আসেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে কয়েকজন কর্মী নিয়ে কলা হাতে মাহাবুরের সামনে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন। তাঁদের কথোপকথন শোনা না গেলেও দেখা যায় আবুল হোসেন মাহাবুরকে কলা খেতে বলেই হাত তুলে চড় মারতে উদ্যত হন। এ সময় মাহাবুর পেছন দিকে সরে গেলে তাঁকে টেনে আনা নৌকার ওই কর্মীও চড় মারতে উদ্যত হয়ে সভাপতির হাতে থাকা কলার দিকে ইশারা করে কলাটি খেতে বলেন। এ সময় হাতে থাকা কলাটি ছিলে জোর করে মাহাবুরের মুখে ঢুকিয়ে দেন আবুল হোসেন।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমানতালে ভীতি ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন এই ঘটনাকে ভীতিকর আবার অনেকটা নাটকীয় হওয়ায় হাস্যরসাত্মক বলছেন অনেকে।
তবে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহ আলম অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর কর্মীদের হয়রানি করেছেন। একজন উপজেলা সভাপতি যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে এসে এমন অশোভন আচরণ করেন, তখন কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁর এই আচরণ ভোটে প্রভাব ফেলবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, `আমি সঙ্গে থাকা কর্মীদের নিয়ে ওই বাজারে প্রচারণা শেষে কলা খেতে খেতে হাঁটছিলাম। সিসিটিভি ক্যামেরা যেখানে ছিল, তার অনেক আগে থেকেই কলা হাতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওই কর্মীকে ডাকছিলাম কলা খাওয়ার জন্য। সেদিকে ক্যামেরা না থাকায় ডাকার দৃশ্যটা ওঠেনি। কাছে যেতেই যখন কলা খেতে বললাম, তখন সে অশোভন আচরণ করে আমার সঙ্গে। তাই ঠাট্টার ছলে চড় মারতে উদ্যত হই, কিন্তু মারিনি। তবে একটা কলা ছিলে ওর মুখে পুড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু না।'
এ বিষয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বাগাতিপাড়ায় স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনার কথা তিনি জানতেন না। বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে শুনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সাড়া জাগানো নাটক 'কোথাও কেউ নেই' আজও জনপ্রিয়। এই নাটকের প্রধান চরিত্র বাকের ভাই, বদি ও মজনুর হাস্যরসাত্মক অভিনয়-নৈপুণ্য এখনো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। জনপ্রিয় সেই নাটকেরই যেন খণ্ডিত বাস্তব দৃশ্য দেখা গেল নাটোরের বাগাতিপাড়ার ভোটের মাঠে।
কোথাও কেউ নেই নাটকের প্রধান খল চরিত্রের নাম মতি। নাটকের নায়িকা মুনার বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে নিত্য আড্ডা দিতেন বাকের, বদি ও মজনু। নাটকের একটি পর্বে দেখা যায়, সম্মান না দিয়ে সামনে দিয়ে চলে যাওয়ার অপরাধে নাজেহাল হতে হয় খল চরিত্র মতিকে। মতিকে একপর্যায়ে বাকেরের পা ছুঁয়ে সালাম করে ওই স্থান ত্যাগ করতে হয়। সালাম করার পর বাকের কিছুটা নরম হয়ে মতিকে একটা কলা খেতে দেন। কলা খেতে না চাইলে ধমকে জোর করে মতিকে কলা খাওয়ানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজারে নাটকীয় সেই দৃশ্য বাস্তবে দেখা যায়। ওই দিন সকালে জামনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুসের নির্বাচনী প্রচারে বাগাতিপাড়ায় যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনসহ কয়েকজন। এ সময় জামনগর বাজারে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক শাহ আলমের প্রচার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তার দুই কর্মী মাহাবুর রহমান ও আহম্মদ আলী। তখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেনের উপস্থিতিতে কয়েকজন মাহাবুর রহমানকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ধরে আনেন। এরপর সভাপতি তাঁকে থাপ্পড় মেরে হাতে থাকা কলা জোর করে মাহাবুরের মুখে গুঁজে দেন এবং নৌকা প্রতীকের লিফলেট বিতরণ করতে বাধ্য করেন।
পুরো ঘটনার কিছুটা ধরা পড়ে ওই বাজারের একটি দোকানে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। ৩৪ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নৌকার এক কর্মী মোটরসাইকেল থেকে জোর করে মাহাবুরকে নামিয়ে মারতে মারতে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে আসেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে কয়েকজন কর্মী নিয়ে কলা হাতে মাহাবুরের সামনে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন। তাঁদের কথোপকথন শোনা না গেলেও দেখা যায় আবুল হোসেন মাহাবুরকে কলা খেতে বলেই হাত তুলে চড় মারতে উদ্যত হন। এ সময় মাহাবুর পেছন দিকে সরে গেলে তাঁকে টেনে আনা নৌকার ওই কর্মীও চড় মারতে উদ্যত হয়ে সভাপতির হাতে থাকা কলার দিকে ইশারা করে কলাটি খেতে বলেন। এ সময় হাতে থাকা কলাটি ছিলে জোর করে মাহাবুরের মুখে ঢুকিয়ে দেন আবুল হোসেন।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমানতালে ভীতি ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন এই ঘটনাকে ভীতিকর আবার অনেকটা নাটকীয় হওয়ায় হাস্যরসাত্মক বলছেন অনেকে।
তবে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহ আলম অভিযোগ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর কর্মীদের হয়রানি করেছেন। একজন উপজেলা সভাপতি যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে এসে এমন অশোভন আচরণ করেন, তখন কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁর এই আচরণ ভোটে প্রভাব ফেলবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, `আমি সঙ্গে থাকা কর্মীদের নিয়ে ওই বাজারে প্রচারণা শেষে কলা খেতে খেতে হাঁটছিলাম। সিসিটিভি ক্যামেরা যেখানে ছিল, তার অনেক আগে থেকেই কলা হাতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওই কর্মীকে ডাকছিলাম কলা খাওয়ার জন্য। সেদিকে ক্যামেরা না থাকায় ডাকার দৃশ্যটা ওঠেনি। কাছে যেতেই যখন কলা খেতে বললাম, তখন সে অশোভন আচরণ করে আমার সঙ্গে। তাই ঠাট্টার ছলে চড় মারতে উদ্যত হই, কিন্তু মারিনি। তবে একটা কলা ছিলে ওর মুখে পুড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু না।'
এ বিষয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বাগাতিপাড়ায় স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনার কথা তিনি জানতেন না। বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে শুনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ নভেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৫ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৬ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৭ ঘণ্টা আগে