নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বাসিন্দা রাজশাহী শহরে একটি বাড়ি কিনে মহাবিপদে পড়েছেন। বাড়ি কেনার পরই স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে দিতে হয়েছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা। কিন্তু আরও টাকা দাবি করে আসছেন ওই নেতা। টাকা না দেওয়ায় বাড়িটিই দখলে নিয়েছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী মামলা করলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বাড়ি দখলের সত্যতা মিলেছে।
ভুক্তভোগী হারুন-অর-রশিদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘি গ্রামে। ২০১৬ সালে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার মিয়াপাড়ায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে এই টিনশেড বাড়ি কেনেন তিনি। কিন্তু বাড়িটিতে তিনি একদিনও বসবাস করতে পারেননি। আহসান হাবিব ওরফে হাসান (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা বাড়িটি দখলে রেখেছেন। হাসান ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
হারুনের দাবি, হাসান কয়েক দফায় ৫ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা নিয়েছেন বাড়ির দখল ছেড়ে দেবেন বলে। কিন্তু হাসানের দাবি আরও ৫ লাখ টাকা। বাড়িটির বর্তমান মূল্য প্রায় কোটি টাকা। অভিযুক্ত হাসান রানীবাজার মিয়াপাড়ার বাসিন্দা। হাসান ছাড়াও বাড়িটি দখলের নেপথ্যে রয়েছেন লাভলু নামের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা। তাঁর বাড়িও মিয়াপাড়ায়। বাড়িটিতে বর্তমানে তালা দিয়ে রেখেছেন হাসান ও লাভলু।
জানা গেছে, হারুন অর রশিদ সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। বাড়ি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। নগরীর বোয়ালিয়া থানা থেকে মাত্র কয়েক শ গজ দূরে সেই বাড়ি। মালিক বোয়ালিয়া থানায় কয়েক দফা অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ দখলদার হাসান ও লাভলুকে ডেকেও থানায় হাজির করতে পারেনি। শেষে ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বাড়ির মালিক। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই।
গত ৬ মে বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজির মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন পিবিআইয়ের রাজশাহীর পুলিশ পরিদর্শক আবু সাঈদ। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, হারুন ২০১৬ সালের ১ জুন পৌনে দুই কাঠা জায়গার ওপর থাকা টিনশেড বাড়িটি ৩০ লাখ টাকায় কেনেন আসাদুজ্জামান সরকার নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর বোয়ালিয়া ভূমি অফিস থেকে নামজারি করে ভূমি কর পরিশোধ করেন। বাড়ির মালিক হারুনের কাছ থেকে চাহিদামাফিক চাঁদা না পেয়ে বাড়িটিতে এখনো তালা দিয়ে রেখেছেন হাসান ও তাঁর সহযোগী লাভলু।
পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়িটির সকল বৈধ কাগজপত্র হারুনের নামে রয়েছে। এ কারণে তিনিই বাড়িটির বৈধ মালিক। কাগজপত্রের কোথাও কোনো সমস্যা নেই। তবে হাসান শুধু চাঁদাবাজির জন্যই হারুনকে বাড়ির দখল না দিয়ে হয়রানি করছেন। বাড়িটিতে কয়েকবার তালা দিয়ে মালিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার পর আরও চাঁদার দাবিতে বাড়ি দখলে রাখার বিষয়ে হাসান ও লাভলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী হারুন বলেন, কেনার পর বাড়িটি সংস্কার করে সেখানে মেস হিসেবে ভাড়া দেন। বাড়িটি কেনার পর খবর পেয়ে হাসান বাড়ি মালিক হারুনকে ফোন করে তার সঙ্গে দ্রুত দেখা করতে বলেন। হারুন তার সঙ্গে দেখা করলে হাসান তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাড়ির দখলে পাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে হাসান ও তার সহযোগীরা মেসের ছাত্রদের তাড়িয়ে দিয়ে নিজেরা বাড়িটিতে তালা মেরে দেন। এ সময় হারুন প্রথম দফায় হাসানকে ১ লাখ টাকা দেন। টাকা পেয়ে হাসান চক্র বাড়ির তালা খুলে দেন।
হারুন বলেন, ‘হাসান গং কয়েকবার বাড়িটিতে তালা মারেন আবার টাকা নিয়ে খুলেও দেন। হাসান ও চক্রের কয়েকজনকে সাতবারে ৫ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছি। কিন্তু তারা আবারও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। এবার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাড়ির দখল দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। হাসান আবার তালা মারেন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবীব ওরফে হাসান বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। তাঁর দাবি, বাড়ির কিছু অংশ তাঁর ভাগনে লাভলু কিনেছেন। তাই তিনি বাড়িটিতে তালা দিয়েছিলেন। এখন তাঁর ভাগনে লাভলুর দখলে বাড়িটি আছে। হাসান বলেন, তাঁদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে।
তবে হারুন অর রশিদ বলেন, হাসান পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলেছেন। কোনো ধরনের কাগজ থাকলে তা দেখাতে বলা হলেও তাঁরা কখনোই কাগজ নিয়ে হাজির হননি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বাসিন্দা রাজশাহী শহরে একটি বাড়ি কিনে মহাবিপদে পড়েছেন। বাড়ি কেনার পরই স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে দিতে হয়েছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা। কিন্তু আরও টাকা দাবি করে আসছেন ওই নেতা। টাকা না দেওয়ায় বাড়িটিই দখলে নিয়েছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী মামলা করলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বাড়ি দখলের সত্যতা মিলেছে।
ভুক্তভোগী হারুন-অর-রশিদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বালিয়াদিঘি গ্রামে। ২০১৬ সালে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার মিয়াপাড়ায় ৩০ লাখ টাকা দিয়ে এই টিনশেড বাড়ি কেনেন তিনি। কিন্তু বাড়িটিতে তিনি একদিনও বসবাস করতে পারেননি। আহসান হাবিব ওরফে হাসান (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা বাড়িটি দখলে রেখেছেন। হাসান ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
হারুনের দাবি, হাসান কয়েক দফায় ৫ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা নিয়েছেন বাড়ির দখল ছেড়ে দেবেন বলে। কিন্তু হাসানের দাবি আরও ৫ লাখ টাকা। বাড়িটির বর্তমান মূল্য প্রায় কোটি টাকা। অভিযুক্ত হাসান রানীবাজার মিয়াপাড়ার বাসিন্দা। হাসান ছাড়াও বাড়িটি দখলের নেপথ্যে রয়েছেন লাভলু নামের আরেক আওয়ামী লীগ নেতা। তাঁর বাড়িও মিয়াপাড়ায়। বাড়িটিতে বর্তমানে তালা দিয়ে রেখেছেন হাসান ও লাভলু।
জানা গেছে, হারুন অর রশিদ সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। বাড়ি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। নগরীর বোয়ালিয়া থানা থেকে মাত্র কয়েক শ গজ দূরে সেই বাড়ি। মালিক বোয়ালিয়া থানায় কয়েক দফা অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ দখলদার হাসান ও লাভলুকে ডেকেও থানায় হাজির করতে পারেনি। শেষে ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বাড়ির মালিক। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই।
গত ৬ মে বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজির মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন পিবিআইয়ের রাজশাহীর পুলিশ পরিদর্শক আবু সাঈদ। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বাড়ি দখল ও চাঁদাবাজির সত্যতা পেয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, হারুন ২০১৬ সালের ১ জুন পৌনে দুই কাঠা জায়গার ওপর থাকা টিনশেড বাড়িটি ৩০ লাখ টাকায় কেনেন আসাদুজ্জামান সরকার নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর বোয়ালিয়া ভূমি অফিস থেকে নামজারি করে ভূমি কর পরিশোধ করেন। বাড়ির মালিক হারুনের কাছ থেকে চাহিদামাফিক চাঁদা না পেয়ে বাড়িটিতে এখনো তালা দিয়ে রেখেছেন হাসান ও তাঁর সহযোগী লাভলু।
পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়িটির সকল বৈধ কাগজপত্র হারুনের নামে রয়েছে। এ কারণে তিনিই বাড়িটির বৈধ মালিক। কাগজপত্রের কোথাও কোনো সমস্যা নেই। তবে হাসান শুধু চাঁদাবাজির জন্যই হারুনকে বাড়ির দখল না দিয়ে হয়রানি করছেন। বাড়িটিতে কয়েকবার তালা দিয়ে মালিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার পর আরও চাঁদার দাবিতে বাড়ি দখলে রাখার বিষয়ে হাসান ও লাভলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী হারুন বলেন, কেনার পর বাড়িটি সংস্কার করে সেখানে মেস হিসেবে ভাড়া দেন। বাড়িটি কেনার পর খবর পেয়ে হাসান বাড়ি মালিক হারুনকে ফোন করে তার সঙ্গে দ্রুত দেখা করতে বলেন। হারুন তার সঙ্গে দেখা করলে হাসান তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাড়ির দখলে পাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে হাসান ও তার সহযোগীরা মেসের ছাত্রদের তাড়িয়ে দিয়ে নিজেরা বাড়িটিতে তালা মেরে দেন। এ সময় হারুন প্রথম দফায় হাসানকে ১ লাখ টাকা দেন। টাকা পেয়ে হাসান চক্র বাড়ির তালা খুলে দেন।
হারুন বলেন, ‘হাসান গং কয়েকবার বাড়িটিতে তালা মারেন আবার টাকা নিয়ে খুলেও দেন। হাসান ও চক্রের কয়েকজনকে সাতবারে ৫ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছি। কিন্তু তারা আবারও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। এবার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাড়ির দখল দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। হাসান আবার তালা মারেন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান হাবীব ওরফে হাসান বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। তাঁর দাবি, বাড়ির কিছু অংশ তাঁর ভাগনে লাভলু কিনেছেন। তাই তিনি বাড়িটিতে তালা দিয়েছিলেন। এখন তাঁর ভাগনে লাভলুর দখলে বাড়িটি আছে। হাসান বলেন, তাঁদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে।
তবে হারুন অর রশিদ বলেন, হাসান পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলেছেন। কোনো ধরনের কাগজ থাকলে তা দেখাতে বলা হলেও তাঁরা কখনোই কাগজ নিয়ে হাজির হননি।
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
৭ মিনিট আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
১ ঘণ্টা আগে