নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আজকের পত্রিকার অনলাইনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘নিয়োগের ৫ দিনেও যোগ দিতে পারেননি রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে কলেজটির শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। ওই সংবাদে শিক্ষার্থীদের কারও বক্তব্য প্রচার না করার কারণে তাঁরা ‘কষ্ট পেয়েছেন’ এবং প্রকাশিত সংবাদটিকে তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন।
এই সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। আজ রোববার রাতে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক আব্দুর রহিম। ওই সংবাদে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. আনারুল হক প্রামাণিক যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তিনি তাঁর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে যখন অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটা জারি হয়, দেখা যায়, আনারুল হক প্রামাণিককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে চুরি ধরা পড়ে, চুরির টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। দুদকের কাছে মামলা রয়েছে কোটি টাকার, মামলা এখনো চলমান। এ রকম একজন ব্যক্তিকে রাজশাহী কলেজের মতো জায়গায় পদায়ন এবং সে মেয়র লিটন (সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন), যার পা চেটে তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন দুই বছরের মতো শাস্তি ভোগ করে।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় এবং প্রিন্সিপাল হিসেবে কলেজে যান। তিনি স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) আগে পর্যন্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে কথা বলেছেন; এটা স্পষ্ট, এটা সবাই বলছে। এ রকম একজন নীতি–নৈতিকতা বিবর্জিত ব্যক্তিকে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না বা মেনে নিতে পারবে না। সে জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান।’
আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, যে ব্যক্তি একজন চোর; যে ব্যক্তি চুরি করতে পারেন, সে রকম ব্যক্তি রাজশাহী কলেজের শিক্ষক হতে পারেন না। অন্য আর যাই হোক, তিনি শিক্ষক হতে পারেন না। তিনি আসলে কী শেখাবেন শিক্ষার্থীদের! চুরি শেখাবেন? চোরের বিরুদ্ধে মূলত শিক্ষার্থীদের অবস্থান। চোর প্রিন্সিপালকে যত দিন না সরানো হচ্ছে, তত দিন তাঁকে জয়েন করতে দেওয়া হবে না এবং শিক্ষার্থীরা অবস্থান করবেন। রাজশাহী কলেজের আলী রায়হানের মতো শিক্ষার্থী ৫ তারিখে জীবন দিয়েছেন, এই কলেজে স্বৈরাচারের দোসরকে আমরা কী করে বসতে দেই! আমরা শহীদ আলী রায়হানের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না।’
ড. আনারুল হক প্রামাণিকের আত্মসম্মানবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আব্দুর রহিম বলেন, ‘তিনি যে অসৎ ব্যক্তি তা বোঝা যাচ্ছে, তিনি বিভিন্ন ছল–চাতুরী করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মানুষকে ম্যানেজ করা; তাঁর যদি আত্মসম্মানবোধ থাকত, তাহলে তিনি রিজাইন দিয়ে চলে যেতেন বা অন্য কোথাও পদায়ন নিতেন। বিভিন্নভাবে তিনি একপেশে নিউজ করানোর চেষ্টা করেছেন।’
আজকের পত্রিকার বক্তব্য
ড. আনারুল হক প্রামাণিককে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা যে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছেন তা প্রকাশিত সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যে তাঁকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলছেন সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য চাইলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে দায় চাপান কলেজের উপাধ্যক্ষের ওপর।
এ কারণে স্বাভাবিকভাবে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলীর বক্তব্য নেওয়া হয় এবং সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে সংবাদটিতে আজকের পত্রিকার নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। ড. আনারুল হক প্রামাণিক ও ড. ইব্রাহিম আলী যেসব কথা বলেছেন সেগুলোই উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে প্রতিবাদকারী কোনো শিক্ষার্থীর বক্তব্য যুক্ত না করাটা আজকের পত্রিকার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। কারও বক্তব্য না নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন, এর জন্য আজকের পত্রিকা দুঃখ প্রকাশ করছে।
আজকের পত্রিকার অনলাইনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘নিয়োগের ৫ দিনেও যোগ দিতে পারেননি রাজশাহী কলেজের নতুন অধ্যক্ষ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে কলেজটির শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। ওই সংবাদে শিক্ষার্থীদের কারও বক্তব্য প্রচার না করার কারণে তাঁরা ‘কষ্ট পেয়েছেন’ এবং প্রকাশিত সংবাদটিকে তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন।
এই সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। আজ রোববার রাতে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক আব্দুর রহিম। ওই সংবাদে কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. আনারুল হক প্রামাণিক যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তিনি তাঁর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে যখন অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটা জারি হয়, দেখা যায়, আনারুল হক প্রামাণিককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে চুরি ধরা পড়ে, চুরির টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। দুদকের কাছে মামলা রয়েছে কোটি টাকার, মামলা এখনো চলমান। এ রকম একজন ব্যক্তিকে রাজশাহী কলেজের মতো জায়গায় পদায়ন এবং সে মেয়র লিটন (সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন), যার পা চেটে তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন দুই বছরের মতো শাস্তি ভোগ করে।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় এবং প্রিন্সিপাল হিসেবে কলেজে যান। তিনি স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) আগে পর্যন্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে কথা বলেছেন; এটা স্পষ্ট, এটা সবাই বলছে। এ রকম একজন নীতি–নৈতিকতা বিবর্জিত ব্যক্তিকে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না বা মেনে নিতে পারবে না। সে জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান।’
আব্দুর রহিম আরও বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, যে ব্যক্তি একজন চোর; যে ব্যক্তি চুরি করতে পারেন, সে রকম ব্যক্তি রাজশাহী কলেজের শিক্ষক হতে পারেন না। অন্য আর যাই হোক, তিনি শিক্ষক হতে পারেন না। তিনি আসলে কী শেখাবেন শিক্ষার্থীদের! চুরি শেখাবেন? চোরের বিরুদ্ধে মূলত শিক্ষার্থীদের অবস্থান। চোর প্রিন্সিপালকে যত দিন না সরানো হচ্ছে, তত দিন তাঁকে জয়েন করতে দেওয়া হবে না এবং শিক্ষার্থীরা অবস্থান করবেন। রাজশাহী কলেজের আলী রায়হানের মতো শিক্ষার্থী ৫ তারিখে জীবন দিয়েছেন, এই কলেজে স্বৈরাচারের দোসরকে আমরা কী করে বসতে দেই! আমরা শহীদ আলী রায়হানের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না।’
ড. আনারুল হক প্রামাণিকের আত্মসম্মানবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আব্দুর রহিম বলেন, ‘তিনি যে অসৎ ব্যক্তি তা বোঝা যাচ্ছে, তিনি বিভিন্ন ছল–চাতুরী করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মানুষকে ম্যানেজ করা; তাঁর যদি আত্মসম্মানবোধ থাকত, তাহলে তিনি রিজাইন দিয়ে চলে যেতেন বা অন্য কোথাও পদায়ন নিতেন। বিভিন্নভাবে তিনি একপেশে নিউজ করানোর চেষ্টা করেছেন।’
আজকের পত্রিকার বক্তব্য
ড. আনারুল হক প্রামাণিককে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা যে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছেন তা প্রকাশিত সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যে তাঁকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলছেন সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য চাইলে ড. আনারুল হক প্রামাণিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে দায় চাপান কলেজের উপাধ্যক্ষের ওপর।
এ কারণে স্বাভাবিকভাবে উপাধ্যক্ষ ড. ইব্রাহিম আলীর বক্তব্য নেওয়া হয় এবং সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে সংবাদটিতে আজকের পত্রিকার নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। ড. আনারুল হক প্রামাণিক ও ড. ইব্রাহিম আলী যেসব কথা বলেছেন সেগুলোই উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে প্রতিবাদকারী কোনো শিক্ষার্থীর বক্তব্য যুক্ত না করাটা আজকের পত্রিকার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। কারও বক্তব্য না নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন, এর জন্য আজকের পত্রিকা দুঃখ প্রকাশ করছে।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৩ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে