Ajker Patrika

রাজশাহী আইএইচটি: সিট–বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৬ জনকে শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৬: ১৫
রাজশাহী আইএইচটি: সিট–বাণিজ্যের অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৬ জনকে শাস্তি

সিট–বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এঁদের মধ্যে আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিও রয়েছেন। এই ছয়জনের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার পাশাপাশি তাঁদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হোস্টেলে অবস্থানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নোটিশ আকারে বিষয়টি প্রকাশ করে আইএইচটি কর্তৃপক্ষ। আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন (ডেন্টাল অনুষদ ২০১৯-২০), মাসুদ পারভেজ (ডেন্টাল বি গ্যালারি ২০২৩-২৪), ফারহান হোসেন (ডেন্টাল বি গ্যালারি ২০২৩-২৪), শাহরিয়ার নাফিজ (ল্যাব এ গ্যালারি ২০২৩-২৪), পারভেজ মোশাররফ (ল্যাব এ গ্যালারি ২০২৩-২৪) ও নিলয় কুমার (রেডিওলজি এ গ্যালারি ২০২৩-২৪)। এঁদের মধ্যে আল আমিনকে এক বছরের জন্য এবং অন্যদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের (ফার্মেসি) সিফাতকে তিরস্কার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী (ফার্মেসি) হাসানকে প্রশাসনকে না জানিয়ে হোস্টেলের সিটের জন্য অন্যদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের জন্য তিরস্কারের পাশাপাশি সতর্ক করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আল আমিন (ছাত্রলীগের সভাপতি) প্রথম বর্ষের ছাত্র হাসানের কাছ থেকে হোস্টেলের সিট দেওয়ার নামে অর্থ গ্রহণ করেন। অপর পাঁচ শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ কর্মী) হাসানকে মারধর করেন। এরপর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ৬ জুন একাডেমিক সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আদেশ কার্যকর হয়েছে ১ জুলাই থেকে। 

জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন জানান, আইচটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে তিনি নোটিশ দেখেছেন। তবে তিনি এখনো ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান করছেন। শাস্তির কোনো চিঠি পাননি। 

জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল আইএইচটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসানকে মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় ১ মে থেকে আইএইচটি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

অভিযোগ ছিল, হাসান নামের ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলের সিটের জন্য আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিনকে ১৬ হাজার টাকা দেন। তবু তিনি সিট পাননি। ঘটনার দুই দিন আগে তিনি সভাপতির কাছে টাকা ফেরত চান। টাকা না দিয়ে সভাপতি তাঁকে উল্টো হুমকি দেন। সবশেষ ২৯ এপ্রিল হাসান প্রথম গ্যালারিতে ক্লাস করছিলেন। ক্লাস শেষে হলে পাঁচ-সাতজন ছেলে এসে তাঁকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পেটায়। হাসানের মতো আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী তখন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে একাডেমিক কাউন্সিল সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। শাস্তিপ্রাপ্তরা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত