নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
উপজেলা নির্বাচনে এবার দলীয় প্রার্থী দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সে সিদ্ধান্ত না মেনে সভা ডেকে বাগমারা উপজেলায় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি একক সিদ্ধান্তে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত তাঁরা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত এ নির্দেশনা ভঙ্গের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে প্রার্থী ঘোষণা করে, তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর পক্ষে প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাগমারার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তিনি নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে আসছেন। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়েও করেছেন আপত্তিকর মন্তব্য। তাই এমপি নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কারণ দর্শানোর চিঠিও পেয়েছেন তিনি। এরপর তিনি জবাব দিলেও কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। এর মধ্যেই উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলেন এমপি আবুল কালাম আজাদ।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে গত সোমবার বাগমারার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা ডাকা হয়। সে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন এমপি আবুল কালাম আজাদ। সেখানে তিনি উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টুর নাম চূড়ান্ত করেন। ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এনামুল হককেও ডাকা হয়নি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এমপি কালামের এমন একক সিদ্ধান্ত ঘিরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার আবুল। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী নির্বাচন কারও একার সিদ্ধান্ত না। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে একক প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
অন্যদিকে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক সরকার বাবু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমপি আবুল কালাম আজাদ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি কাউকে প্রার্থী করতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হককে বাদ দিয়ে তিনি গায়ের জোরে এটা করেছেন। কেন্দ্র যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রার্থী দেবে না, সেখানে এমপির এই সিদ্ধান্ত বাড়াবাড়ি।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাউকেই মানেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তও মানেন না। নিজের খেয়ালখুশি মতো একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার তাঁর নেই। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা আমরা মানি না। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
বাগমারা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এবার নির্বাচন করছেন না। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে এমপির পক্ষ থেকে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তিনিও। অনিল কুমার বলেন, ‘এমপির একক সিদ্ধান্তে দল চলতে পারে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই অমান্য করার সুযোগ নেই। তিনি কীভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করেন, সে বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয়ে জানতে আজ বুধবার সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তফসিল অনুযায়ী, বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচনে এবার দলীয় প্রার্থী দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। সে সিদ্ধান্ত না মেনে সভা ডেকে বাগমারা উপজেলায় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি একক সিদ্ধান্তে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত তাঁরা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সোমবার নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত এ নির্দেশনা ভঙ্গের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে প্রার্থী ঘোষণা করে, তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর পক্ষে প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাগমারার তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তিনি নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে আসছেন। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়েও করেছেন আপত্তিকর মন্তব্য। তাই এমপি নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কারণ দর্শানোর চিঠিও পেয়েছেন তিনি। এরপর তিনি জবাব দিলেও কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। এর মধ্যেই উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলেন এমপি আবুল কালাম আজাদ।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে গত সোমবার বাগমারার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা ডাকা হয়। সে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন এমপি আবুল কালাম আজাদ। সেখানে তিনি উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টুর নাম চূড়ান্ত করেন। ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এনামুল হককেও ডাকা হয়নি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এমপি কালামের এমন একক সিদ্ধান্ত ঘিরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার আবুল। তিনি বলেন, ‘প্রার্থী নির্বাচন কারও একার সিদ্ধান্ত না। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে একক প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
অন্যদিকে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক সরকার বাবু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমপি আবুল কালাম আজাদ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কেউ নন। তিনি তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি কাউকে প্রার্থী করতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হককে বাদ দিয়ে তিনি গায়ের জোরে এটা করেছেন। কেন্দ্র যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রার্থী দেবে না, সেখানে এমপির এই সিদ্ধান্ত বাড়াবাড়ি।’
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কাউকেই মানেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তও মানেন না। নিজের খেয়ালখুশি মতো একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার তাঁর নেই। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা আমরা মানি না। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
বাগমারা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এবার নির্বাচন করছেন না। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে এমপির পক্ষ থেকে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তিনিও। অনিল কুমার বলেন, ‘এমপির একক সিদ্ধান্তে দল চলতে পারে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই অমান্য করার সুযোগ নেই। তিনি কীভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা করেন, সে বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব।’
এ বিষয়ে জানতে আজ বুধবার সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তফসিল অনুযায়ী, বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
২৬ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৩৫ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৩৭ মিনিট আগে