নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আবারও রাজশাহী পাটকল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ রোববার সকালে পাটকলের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাটাখালী বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ করেন তাঁরা। রাজশাহী জুট মিলস শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী এলাকায় ১৯৫৫ সালে এই পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদন চলত। ২০২০ সালে দেশের ২৫টি পাটকলকেই ইজারা দিয়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কথা ছিল, আধুনিকায়নের পর তিন মাসের মধ্যে পাটকলে আবার উৎপাদন শুরু হবে। কিন্তু চার বছর পার হলেও রাষ্ট্রীয় মালিকানার রাজশাহী পাটকল ইজারা দেওয়া হয়নি। পাটকলটি আর চালুও হয়নি। তাতে পাটকলের প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। নিদারুণ আর্থিক কষ্টে আছেন তাঁরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ফরমান আলী বলেন, ‘২০২০ সালে সরকার আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল, তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী দেশের ২৫টি পাটকলের শ্রমিকদের পথে বসিয়ে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী শ্রমিকবান্ধব। আমাদের প্রত্যাশা, তিনি এই পাটকল আবার চালু করবেন। খেটে-খাওয়া শ্রমিকদের দুই বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।’
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, ‘২০২০ সালে যখন পাটকল বন্ধ করা হয়, তখন বলা হয়েছিল, ইজারা দিয়ে পাটকলগুলো আবার চালু করা হবে। তারপর কয়েকটা পাটকল ইজারা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলো চলছে না। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবেই এই পাটকল চালু করতে হবে। এই পাটকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। কিন্তু কর্ম হারিয়ে অনাহারে থাকছেন শ্রমিকেরা। কর্মহীন অনেক শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। আমরা গায়ে খেটে পারিশ্রমিক নিতে চাই।’
শামীম হোসেন আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে তেমন ভারী শিল্প নেই। যে দু-একটি আছে, সেগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। আমার বয়স হয়েছে। আর হয়তো কাজ করতে পারব না। কিন্তু নতুনরা কাজের সুযোগ পাক, আমরা এটাই চাই। নতুন মন্ত্রী যদি পাটকল চালু করে দেন, শ্রমিকেরা দুই হাত তুলে দোয়া করবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, পাটকলের মৃত শ্রমিক ও বদলি শ্রমিকদের অনেকের পাওনা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। ১ হাজার ৭০০ শ্রমিক বেকার থাকলেও ৫৭ জন কর্মকর্তা ও ১৫০ জন কর্মচারী বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। তাঁদের কোনো কাজ নেই। মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় সই করে বেতন নিয়ে চলে যান। তাঁরা বসে বসে বেতন নিলেও যদি লোকসান না হয়, তাহলে শ্রমিকেরা উৎপাদন করে মজুরি নিলেও লোকসান হবে না। সরকারকে বিষয়টি বুঝতে হবে।’
পাটকল চালু করতে রাজশাহীর জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাড়ি-গাড়ি চাই না। আমরা কাজের পরিবেশ চাই। কাজ করে পয়সা নিতে চাই। অচিরেই যদি পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালু করা না হয়, তাহলে আমরা দেশের ২৫টি পাটকলের শ্রমিকদের সঙ্গেই বসব। সবাই মিলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব। প্রয়োজনে আমরণ অনশন করব। তার পরও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এভাবে ধ্বংস হতে দেব না।’
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। এ সময় আরও অনেকে বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে শ্রমিকেরা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। চার বছর ধরে পাটকল বন্ধ পড়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে পাটকলের প্রকল্প প্রধান শরিফুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন শুনেছি। পাটকল লিজ হয়ে যাবে। এটা নিয়ে কাজ চলছে। বেসরকারি উদ্যোগেই চলবে।’
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আবারও রাজশাহী পাটকল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ রোববার সকালে পাটকলের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাটাখালী বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ করেন তাঁরা। রাজশাহী জুট মিলস শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী এলাকায় ১৯৫৫ সালে এই পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় এখানে উৎপাদন চলত। ২০২০ সালে দেশের ২৫টি পাটকলকেই ইজারা দিয়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কথা ছিল, আধুনিকায়নের পর তিন মাসের মধ্যে পাটকলে আবার উৎপাদন শুরু হবে। কিন্তু চার বছর পার হলেও রাষ্ট্রীয় মালিকানার রাজশাহী পাটকল ইজারা দেওয়া হয়নি। পাটকলটি আর চালুও হয়নি। তাতে পাটকলের প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। নিদারুণ আর্থিক কষ্টে আছেন তাঁরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ফরমান আলী বলেন, ‘২০২০ সালে সরকার আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল, তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী দেশের ২৫টি পাটকলের শ্রমিকদের পথে বসিয়ে মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী শ্রমিকবান্ধব। আমাদের প্রত্যাশা, তিনি এই পাটকল আবার চালু করবেন। খেটে-খাওয়া শ্রমিকদের দুই বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।’
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, ‘২০২০ সালে যখন পাটকল বন্ধ করা হয়, তখন বলা হয়েছিল, ইজারা দিয়ে পাটকলগুলো আবার চালু করা হবে। তারপর কয়েকটা পাটকল ইজারা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলো চলছে না। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবেই এই পাটকল চালু করতে হবে। এই পাটকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। কিন্তু কর্ম হারিয়ে অনাহারে থাকছেন শ্রমিকেরা। কর্মহীন অনেক শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। এ অবস্থা চলতে পারে না। আমরা গায়ে খেটে পারিশ্রমিক নিতে চাই।’
শামীম হোসেন আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে তেমন ভারী শিল্প নেই। যে দু-একটি আছে, সেগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে। আমার বয়স হয়েছে। আর হয়তো কাজ করতে পারব না। কিন্তু নতুনরা কাজের সুযোগ পাক, আমরা এটাই চাই। নতুন মন্ত্রী যদি পাটকল চালু করে দেন, শ্রমিকেরা দুই হাত তুলে দোয়া করবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, পাটকলের মৃত শ্রমিক ও বদলি শ্রমিকদের অনেকের পাওনা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। ১ হাজার ৭০০ শ্রমিক বেকার থাকলেও ৫৭ জন কর্মকর্তা ও ১৫০ জন কর্মচারী বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। তাঁদের কোনো কাজ নেই। মাসে একদিন এসে হাজিরা খাতায় সই করে বেতন নিয়ে চলে যান। তাঁরা বসে বসে বেতন নিলেও যদি লোকসান না হয়, তাহলে শ্রমিকেরা উৎপাদন করে মজুরি নিলেও লোকসান হবে না। সরকারকে বিষয়টি বুঝতে হবে।’
পাটকল চালু করতে রাজশাহীর জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাড়ি-গাড়ি চাই না। আমরা কাজের পরিবেশ চাই। কাজ করে পয়সা নিতে চাই। অচিরেই যদি পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালু করা না হয়, তাহলে আমরা দেশের ২৫টি পাটকলের শ্রমিকদের সঙ্গেই বসব। সবাই মিলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব। প্রয়োজনে আমরণ অনশন করব। তার পরও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এভাবে ধ্বংস হতে দেব না।’
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। এ সময় আরও অনেকে বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে শ্রমিকেরা বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। চার বছর ধরে পাটকল বন্ধ পড়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে পাটকলের প্রকল্প প্রধান শরিফুল কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন শুনেছি। পাটকল লিজ হয়ে যাবে। এটা নিয়ে কাজ চলছে। বেসরকারি উদ্যোগেই চলবে।’
রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন ভাইগদিয়া এলাকায় মো. নয়ন আহম্মেদ ওরফে রমজান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রমজানের এক সহযোগীকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের খোলা স্পটে বর্জ্য অপসারণের সময় বোমা বিস্ফোরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন মো. আলমগীর হোসেন (৩৬), মো. ইয়াছিন (৪০), আসাদ মিয়া (৫৮) ও সাইফুল ইসলাম (৪৭)। আহত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনশ্রীতে লেগুনা স্ট্যান্ডের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে মো. হাসান হাওলাদার (১৯) হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে রামপুরা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করে ওই স্কুল মাঠে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুরের জনসভা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
৩ ঘণ্টা আগে