আ.লীগের সাবেক এমপির পিএস ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪, ২১: ৪৬
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৪, ২২: ১৩

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের (৪৪) বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়।

আজ বুধবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দুটি করেন।

এর আগে ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল, তাঁর স্ত্রী মোরশেদা মরিয়ম ও সন্তানদের ব্যাংকের হিসাব চেয়ে দুদক থেকে চিঠি পাঠানো হয়।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল তাঁর দাখিলকৃত সম্পত্তি বিবরণীতে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ১ কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য দাখিল করেন। তবে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তাঁর নামে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ১ কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি তাঁর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের সম্পত্তির তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

এ ছাড়া মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পত্তি অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্যদিকে একই তারিখে দাখিলকৃত তাঁর স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের সম্পত্তি বিবরণীতে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানকালে তাঁর নামে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৮১৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। এতে তিনি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ টাকা মূল্যের সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন।

এ ছাড়া অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, মোরশেদা মরিয়ম ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন।

এ বিষয়ে মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বিষয়টি আমি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।’

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক জানান, তাঁরা উভয়ই জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত