রাজশাহীতে এক বছরে ৩ হাজার ৬৪১ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ২৫
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ৩৭

রাজশাহী জেলায় এক বছরে ৩ হাজার ৬৪১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী মহানগরীতে ১ হাজার ৪৩৬ জন। আর জেলার ৯ উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২০৫ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত এসব রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

আজ রোববার বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) জেলা শাখার এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত নগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলনকক্ষে রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় জানানো হয়, ১ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করলে এখন গড়ে ২২১ জনের যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত হচ্ছে। দেশে প্রতিবছর ৩ লাখ ৬০ হাজার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। প্রতিবছর এ রোগে আক্রান্ত ৪৪ হাজার রোগী মারা যায়। মৃত্যুর এই হিসাব করোনার মৃত্যুর চেয়েও বেশি। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ছয় মাস নিয়ম করে ওষুধ খেলেই যক্ষ্মা ভালো হয়। 

সভায় আরও জানানো হয়, একজন যক্ষ্মা রোগী আরও ১০ জনকে আক্রান্ত করতে পারে। তাই যক্ষ্মা হলে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। এখন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বিনা মূল্যে যক্ষ্মা পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে। সরকারি হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসাও পাওয়া যায় বিনা পয়সায়। তাই দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি হলে যক্ষ্মা পরীক্ষা করাতে হবে। যক্ষ্মা রোগের ব্যাপারেও সবাইকে সচেতন হতে হবে। 

সভায় জানানো হয়, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যক্ষ্মার সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে যাদের পরীক্ষা করা হয়, এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের যক্ষ্মা শনাক্ত হয়। এখন কারা হাসপাতালে আটজন যক্ষ্মা রোগী আছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ১ লাখ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে যক্ষ্মা পজিটিভ রোগী ২২ জনে নামানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বছরে যক্ষ্মা রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও মাত্র ২১৪ জনে নামানোর চেষ্টা চলছে। 

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বিভাগের অন্য জেলার চেয়ে ভালো চলছে। যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা থেকে চিকিৎসা পর্যন্ত সবই বিনা পয়সায় করা হয়। রোগী গরিব হলে তাঁর যাতায়াতের ভাড়াটাও দেওয়া হয়। তাই দুই সপ্তাহের বেশি সময় কাশি, ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যহানি ঘটা কিংবা বিকেল থেকে জ্বর এসে রাতে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে যক্ষ্মার পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার আবদুর রব সিদ্দিকী ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রোগ্রাম অফিসার রফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন নাটাবের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহানুল হক মুন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত