দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েও ভোট দেননি রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। এখন সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গতকাল শনিবার চেয়ারম্যানের এ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেক ইউপি সদস্য গা–ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে পরাজিত প্রার্থীরা এক জোট হয়ে ইউপি সদস্যেদের তালিকা তৈরি করে টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি এবং তালিকা করার খবর চাউর হওয়ার পর ইউপি সদস্যদের অনেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন, অনেকে গা–ঢাকা দিয়েছেন।
আজ রোববার সরেজমিনে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে সদস্যেদের উপস্থিতি দু-একজন। বাকিরা হয় বাড়িতে অবস্থান করছেন, অথবা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগই করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা পরিষদ নির্বাচন কমিশন দুর্গাপুর উপজেলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ড দুর্গাপুর উপজেলা সদস্য প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। ভোটার ছিলেন ১০৬ জন। ভোটে তালা প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ ভোট পেয়ে এক প্রার্থী জয় লাভ করেছেন।
গতকাল শনিবার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের হলরুমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিবদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভোটার ইউপি সদস্যরা পরাজিত প্রার্থীদের কাছে টাকা নিলেও ভোট দেননি বলে অভিযোগ করেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে পরাজিত প্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে ইউপি সদস্যদের আলটিমেটাম দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
ইউপি সদস্যদের উদ্দেশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা টাকা নিয়ে ভোট না দিয়ে মুনাফেকি করলেন। এ নির্বাচনে জেলা পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম ৮৫ জন ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েছেন। আরেকজন প্রার্থী গোলাপ হোসেন, তিনি গরিব মানুষ; এরপরও ৭০ জন সদস্যকে টাকা দিয়েছেন। লোন নিয়ে ও নিজের মোটরসাইকেল বিক্রি করে আরেক প্রার্থী রেজাউল করিম অনেককে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আপনারা মুনাফেকি করেছেন। যে পাস করেছে তার টাকা রেখে বাকি সবার টাকা সম্মানের সহিত ফেরত দেবেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২৫ হাজার, সদস্য প্রার্থীর ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। আপনাদের একটু লজ্জা হচ্ছে না!’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, শরিফুল ইসলাম ৮৫ জন সদস্যকে টাকা দিলেও ভোট পেয়েছেন ২৪ টি, গোলাপ হোসেন ১৩ টি, শাহাদত হোসেন ২৫টি ও রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬টি ভোট।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্ধারিত ব্যয়সীমা চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং সদস্য পদে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ভোট কেনার পেছনেই অনেক প্রার্থী ব্যয়সীমা অতিক্রম করেছেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
ভোটে পরাজিত এক সদস্য পদপ্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে ৫৯ জন ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েছি। অথচ ১৫ ভোটও পাইনি। আমার মতো আরও সব পরাজিত প্রার্থীরা সর্বস্বান্ত হয়েছে। সব ইউনিয়নের ইউপি সদস্যেরা সিন্ডিকেট করে সব প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভোট দেয়নি।’
ওই প্রার্থী আরও বলেন, ‘পরাজিত সব প্রার্থীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হচ্ছে। তালিকা দেখে এক জোট হয়ে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
তবে টাকা ফেরত বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।
টাকা ফেরত দিতে আলটিমেটাম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদের নির্বাচনে একটা সদস্য পদের জন্য ৬-৭ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। সব প্রার্থীদের থেকে ইউপি সদস্যেরা টাকা নিলেও ভোট একজনকে দিয়েছেন। তাই বাকি প্রার্থীদের টাকা গোপনে ফেরত দিতে বলেছি।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েও ভোট দেননি রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। এখন সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গতকাল শনিবার চেয়ারম্যানের এ হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেক ইউপি সদস্য গা–ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে পরাজিত প্রার্থীরা এক জোট হয়ে ইউপি সদস্যেদের তালিকা তৈরি করে টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি এবং তালিকা করার খবর চাউর হওয়ার পর ইউপি সদস্যদের অনেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন, অনেকে গা–ঢাকা দিয়েছেন।
আজ রোববার সরেজমিনে উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে সদস্যেদের উপস্থিতি দু-একজন। বাকিরা হয় বাড়িতে অবস্থান করছেন, অথবা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগই করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা পরিষদ নির্বাচন কমিশন দুর্গাপুর উপজেলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ড দুর্গাপুর উপজেলা সদস্য প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। ভোটার ছিলেন ১০৬ জন। ভোটে তালা প্রতীক নিয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ ভোট পেয়ে এক প্রার্থী জয় লাভ করেছেন।
গতকাল শনিবার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম উপজেলা পরিষদের হলরুমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও সচিবদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভোটার ইউপি সদস্যরা পরাজিত প্রার্থীদের কাছে টাকা নিলেও ভোট দেননি বলে অভিযোগ করেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে পরাজিত প্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে ইউপি সদস্যদের আলটিমেটাম দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
ইউপি সদস্যদের উদ্দেশ করে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা টাকা নিয়ে ভোট না দিয়ে মুনাফেকি করলেন। এ নির্বাচনে জেলা পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম ৮৫ জন ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েছেন। আরেকজন প্রার্থী গোলাপ হোসেন, তিনি গরিব মানুষ; এরপরও ৭০ জন সদস্যকে টাকা দিয়েছেন। লোন নিয়ে ও নিজের মোটরসাইকেল বিক্রি করে আরেক প্রার্থী রেজাউল করিম অনেককে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আপনারা মুনাফেকি করেছেন। যে পাস করেছে তার টাকা রেখে বাকি সবার টাকা সম্মানের সহিত ফেরত দেবেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২৫ হাজার, সদস্য প্রার্থীর ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। আপনাদের একটু লজ্জা হচ্ছে না!’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, শরিফুল ইসলাম ৮৫ জন সদস্যকে টাকা দিলেও ভোট পেয়েছেন ২৪ টি, গোলাপ হোসেন ১৩ টি, শাহাদত হোসেন ২৫টি ও রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬টি ভোট।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্ধারিত ব্যয়সীমা চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং সদস্য পদে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ভোট কেনার পেছনেই অনেক প্রার্থী ব্যয়সীমা অতিক্রম করেছেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
ভোটে পরাজিত এক সদস্য পদপ্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে ৫৯ জন ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েছি। অথচ ১৫ ভোটও পাইনি। আমার মতো আরও সব পরাজিত প্রার্থীরা সর্বস্বান্ত হয়েছে। সব ইউনিয়নের ইউপি সদস্যেরা সিন্ডিকেট করে সব প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভোট দেয়নি।’
ওই প্রার্থী আরও বলেন, ‘পরাজিত সব প্রার্থীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হচ্ছে। তালিকা দেখে এক জোট হয়ে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
তবে টাকা ফেরত বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।
টাকা ফেরত দিতে আলটিমেটাম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পরিষদের নির্বাচনে একটা সদস্য পদের জন্য ৬-৭ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। সব প্রার্থীদের থেকে ইউপি সদস্যেরা টাকা নিলেও ভোট একজনকে দিয়েছেন। তাই বাকি প্রার্থীদের টাকা গোপনে ফেরত দিতে বলেছি।’
বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২৩ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
৩২ মিনিট আগেবাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১ ঘণ্টা আগে