প্রতিনিধি, রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাখি হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
সেদিন এই মামলার বিষয়টি কেউ স্বীকার করেননি। তবে শুক্রবার দুপুরে মামলার বাদী বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও কোন আদেশ দেননি। আগামী রোববার আদেশ হতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনার কাছে মামলার বিষয়ে প্রথম শুনলাম। এটি আমার জানা নেই।’
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, রামেক হাসপাতালে ৮০টি বন্যপাখি হত্যা ও আবাসস্থল ধ্বংসে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা। আর পাখিগুলো হত্যায় পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে আরও দুই কোটি টাকার। মামলায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে। তবে কারও নাম উল্লেখ নেই।
আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, বাদী গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খবর পান যে, রামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনের গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত পাখির বাসা কে বা কারা নষ্ট করছে এবং পাখির ছানা হত্যা করছে। খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে যান। তিনি ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা গাছের গুড়ি এবং ড্রেন নির্মাণের কাজ দেখতে পান। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, গাছ কাটার ফলে পাখির বাচ্চাগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় লোকজন, শ্রমিক এবং রোগীর দর্শনার্থীরা আনুমানিক ৬০ থেকে ৮০টি পাখির বাচ্চা জবাই করে বাড়ি নিয়ে যান।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাখি হত্যার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হয়। বন্যপাখি হত্যা করা, মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করা, শিকার ও এ জাতীয় অপরাধ সংগঠনের সহায়তা করা, প্ররোচণা প্রদান ইত্যাদি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাখির বাসস্থান ধ্বংস ও পাখিছানা হত্যা করে প্রচলিত ওই আইন অনুসারে অপরাধ করেছে। পাশাপাশি অন্যদেরকে এই অপরাধ করতে উৎসাহিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওই আইনের ৬,৩৮ (১), (২) ও ৪১ লঙ্ঘন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এঁদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে এই পিওআর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
শত শত শামুকখোল পাখি ২০১৫-১৬ সালের দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশের বিভিন্ন গাছে থাকত। ওই সময় গাছ কেটে নির্মাণ কাজ করার কারণে পাখিগুলো বাসস্থান হারায়। এরপর পাখিগুলো রামেক হাসপাতালের আশপাশের গাছে গাছে আশ্রয় নেয়। পাখি বিষ্ঠায় পরিবেশ নষ্টের কথা বলে গতবছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু গাছের ডালপালা কেটে ফেলে। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ করলে গাছের ডাল কাটা বন্ধ হয়।
কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ড্রেন নির্মাণের জন্য একটি অর্জুন গাছ কাটা হলে উড়তে না শেখা শতাধিক পাখির বাচ্চা মাটিতে পড়ে যায়। এতে কিছু পাখি সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। আর কিছু পাখির বাচ্চা জবাই করে নিয়ে যান শ্রমিক ও রোগীর স্বজনরা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁয় পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাখি হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
সেদিন এই মামলার বিষয়টি কেউ স্বীকার করেননি। তবে শুক্রবার দুপুরে মামলার বাদী বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করলেও কোন আদেশ দেননি। আগামী রোববার আদেশ হতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনার কাছে মামলার বিষয়ে প্রথম শুনলাম। এটি আমার জানা নেই।’
মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, রামেক হাসপাতালে ৮০টি বন্যপাখি হত্যা ও আবাসস্থল ধ্বংসে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা। আর পাখিগুলো হত্যায় পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে আরও দুই কোটি টাকার। মামলায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে। তবে কারও নাম উল্লেখ নেই।
আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, বাদী গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খবর পান যে, রামেক হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনের গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত পাখির বাসা কে বা কারা নষ্ট করছে এবং পাখির ছানা হত্যা করছে। খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে যান। তিনি ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা গাছের গুড়ি এবং ড্রেন নির্মাণের কাজ দেখতে পান। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, গাছ কাটার ফলে পাখির বাচ্চাগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় লোকজন, শ্রমিক এবং রোগীর দর্শনার্থীরা আনুমানিক ৬০ থেকে ৮০টি পাখির বাচ্চা জবাই করে বাড়ি নিয়ে যান।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাখি হত্যার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ হয়। বন্যপাখি হত্যা করা, মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করা, শিকার ও এ জাতীয় অপরাধ সংগঠনের সহায়তা করা, প্ররোচণা প্রদান ইত্যাদি বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাখির বাসস্থান ধ্বংস ও পাখিছানা হত্যা করে প্রচলিত ওই আইন অনুসারে অপরাধ করেছে। পাশাপাশি অন্যদেরকে এই অপরাধ করতে উৎসাহিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ওই আইনের ৬,৩৮ (১), (২) ও ৪১ লঙ্ঘন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এঁদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে এই পিওআর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
শত শত শামুকখোল পাখি ২০১৫-১৬ সালের দিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশের বিভিন্ন গাছে থাকত। ওই সময় গাছ কেটে নির্মাণ কাজ করার কারণে পাখিগুলো বাসস্থান হারায়। এরপর পাখিগুলো রামেক হাসপাতালের আশপাশের গাছে গাছে আশ্রয় নেয়। পাখি বিষ্ঠায় পরিবেশ নষ্টের কথা বলে গতবছর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু গাছের ডালপালা কেটে ফেলে। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ করলে গাছের ডাল কাটা বন্ধ হয়।
কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ড্রেন নির্মাণের জন্য একটি অর্জুন গাছ কাটা হলে উড়তে না শেখা শতাধিক পাখির বাচ্চা মাটিতে পড়ে যায়। এতে কিছু পাখি সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। আর কিছু পাখির বাচ্চা জবাই করে নিয়ে যান শ্রমিক ও রোগীর স্বজনরা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁয় পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে এসে নীলফামারীতে গ্রেপ্তার হলেন চার রোহিঙ্গা যুবক। আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
১১ মিনিট আগেমাগুরা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর পাড়ায় নবগঙ্গা নদীর ওপরে নির্মিত ২ কোটি টাকার আরসিসি গার্ডার সেতুটি কাজে আসছে না। সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণের স্থান নির্বাচন সঠিক স্থানেও হয়নি। কবে সেতুর এই সম
১২ মিনিট আগেযুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘সকল সেক্টরে সংস্কারের পর আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। গণ-অভ্যুত্থানে মানুষের যেই আকাঙ্ক্ষা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পর এই সংস্কারের সুযোগ এসেছে। সুযোগটা আমরা কাজে লাগাতে চাই।’
২০ মিনিট আগেবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় ২০২৩ সালের মার্চে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বুস্টার যন্ত্রটিও বন্ধ হয়। দুই দফা মেরামত ও দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত মে মাসে ফের উৎপাদনে আসে ১০০ মেগাওয়াটের গ্য
১ ঘণ্টা আগে