বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের সাতমাথা এলাকা। সংঘর্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়, বগুড়া সদর আসনের এমপি রাগেবুল আহসান রিপুর বাসভবনে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহতরা হলেন– বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৪০), অপর একজন অজ্ঞাত (৬০) ও ছিল্লুর রহমান (৪০) পরে হাসপাতালে মারা যান। তিনি গাবতলী পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি।
অপরজন কাহালু উপজেলার বীরকেদার গ্রামের মমিনুল ইসলাম (৩৪)। তিনি দুপচাঁচিয়া থানায় হামলার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান। তার লাশ দুপচাঁচিয়া উপজেলা হাসপাতালে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাতমাথা চত্বর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এরপর তা আন্দোলনকারীরা দখলে নেয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে সাতমাথা ত্যাগ করে। সাতমাথা চত্বর দখলে নেওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থাপনা এবং সড়কে থাকা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই সময় পুলিশ সার্কিট হাউস রোডে পুলিশ প্লাজার সামনে অবস্থান করে। আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় অগ্নিসংযোগ শেষে পিডিবি রোড হয়ে শহীদ খোকন পার্কের ভেতরে এবং সার্কিট হাউস রোড হয়ে ফুল মার্কেটের সামনে গিয়ে পুলিশের ওপরে ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে।
পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতমাথা থেকে তাদের হটিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। থেমে থেমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলতে থাকে। আন্দোলনকারীরা স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক ও গোহাইল রোড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে ফাঁকা গুলি অব্যাহত রাখে। বেলা পৌনে ২টার দিকে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘নিহত তিন জনের লাশ মর্গে আছে।’
এদিকে বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইএমও ডা. আওফী খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের সাতমাথা এলাকা। সংঘর্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা বগুড়া টিএনটি অফিস, আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়, বগুড়া সদর আসনের এমপি রাগেবুল আহসান রিপুর বাসভবনে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহতরা হলেন– বগুড়া শহরের চেলোপাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৪০), অপর একজন অজ্ঞাত (৬০) ও ছিল্লুর রহমান (৪০) পরে হাসপাতালে মারা যান। তিনি গাবতলী পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি।
অপরজন কাহালু উপজেলার বীরকেদার গ্রামের মমিনুল ইসলাম (৩৪)। তিনি দুপচাঁচিয়া থানায় হামলার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান। তার লাশ দুপচাঁচিয়া উপজেলা হাসপাতালে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাতমাথা চত্বর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এরপর তা আন্দোলনকারীরা দখলে নেয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে সাতমাথা ত্যাগ করে। সাতমাথা চত্বর দখলে নেওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থাপনা এবং সড়কে থাকা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই সময় পুলিশ সার্কিট হাউস রোডে পুলিশ প্লাজার সামনে অবস্থান করে। আন্দোলনকারীরা সাতমাথায় অগ্নিসংযোগ শেষে পিডিবি রোড হয়ে শহীদ খোকন পার্কের ভেতরে এবং সার্কিট হাউস রোড হয়ে ফুল মার্কেটের সামনে গিয়ে পুলিশের ওপরে ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে।
পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতমাথা থেকে তাদের হটিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সড়কের মুখে অবস্থান নেয়। থেমে থেমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলতে থাকে। আন্দোলনকারীরা স্টেশন রোড, শেরপুর রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক ও গোহাইল রোড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে ফাঁকা গুলি অব্যাহত রাখে। বেলা পৌনে ২টার দিকে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও সাতমাথা চত্বরে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘নিহত তিন জনের লাশ মর্গে আছে।’
এদিকে বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইএমও ডা. আওফী খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
১০ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
১৪ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
২৭ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৮ মিনিট আগে