রাজশাহী প্রতিনিধি
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি। রেকর্ড সৃষ্টি করেছে সংক্রমণের হার। এ অবস্থায় আগামীকাল শনিবার থেকে রাজশাহী শহরে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শহরে এ সংক্রান্ত মাইকিংও হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল শুক্রবার রাত ৯টায় বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটির সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সংক্রমণ অনেক বেশি হওয়ায় সেই সভাতেই রাত ৮টার পর দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আগামীকাল শনিবার এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ওই দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে।’
উল্লেখ্য, রাজশাহীর ঘরে ঘরে এখন করোনা রোগী। সবশেষ শুক্রবারের তথ্যমতে, এ দিন দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ২৮০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের গড় হার ৬৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
আজ শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১৮৬টি নমুনার মধ্যে ১২০ টিতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়। এখানে সংক্রমণের হার ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ৯৪টি নমুনার মধ্যে ৫৭ টিতে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখানে সংক্রমণের হার হয়েছে ৬০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের দিন বৃহস্পতিবার জেলায় গড় সংক্রমণ হয় ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রাজশাহীতে এখন সংক্রমণের যে হার, তা দেশের আর কোথাও নেই। রাজশাহীতে অতীতে কখনো এত বেশি সংক্রমণ হয়নি।
রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম দিনও রাজশাহীতে সংক্রমণের হার হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ১০ তারিখের পর সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। ১৬ জানুয়ারি সংক্রমণ ৩০ শতাংশ ছাড়া। ৪০ শতাংশ সংক্রমণ ছাড়া ২২ জানুয়ারি। পরদিনই সংক্রমণের হার হয় ৫৯ শতাংশ। ২৫ জানুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ৬৭ শতাংশ। ২৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৫ শতাংশে। রাজশাহীতে বর্তমানে করোনা পজিটিভ থাকা ২ হাজার ১৩১ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯৬৪ জনই শহরের বাসিন্দা। জেলার ৯ উপজেলায় রোগী মাত্র ১৬৪ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘গ্রামের মানুষ করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে না। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি ধরে নিয়েই তারা বসে থাকছে। শহরের মানুষ পরীক্ষা করাচ্ছে বলে পজিটিভ হচ্ছে। ৭৫ শতাংশ সংক্রমণ মানে কি? মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ করোনামুক্ত। তার অর্থ হলো এখন রাজশাহীর ঘরে ঘরে করোনা রোগী। যার পরীক্ষা করানো হবে, তারই রিপোর্ট পজিটিভ আসবে।’
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, ‘করোনার ডেলটা ধরনের সময়ও কিন্তু রাজশাহীতে সংক্রমণ বেড়েছিল, তবে এতটা নয়। সে সময় আবার মৃত্যুহার ছিল অনেক বেশি। এই সময়ের মধ্যে আমরা টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পেরেছি। ফলে মৃত্যুহার কমেছে। করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণেও আমরা টিকা কার্যক্রমকেই জোর দিচ্ছি।’
রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণের হার ভয়াবহ হলেও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ৪৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের বাড়ি পাবনা, অন্যজনের কুষ্টিয়া। পাবনার রোগী করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। তবে কুষ্টিয়ার রোগী ছিলেন করোনা পজিটিভ।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালটিতে ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। রাজশাহী জেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ অবস্থায় ৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দু’বছরে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৮২ জন রোগী। এদের মধ্যে ২৮ হাজার ৪২৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি। রেকর্ড সৃষ্টি করেছে সংক্রমণের হার। এ অবস্থায় আগামীকাল শনিবার থেকে রাজশাহী শহরে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শহরে এ সংক্রান্ত মাইকিংও হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল শুক্রবার রাত ৯টায় বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটির সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর সংক্রমণ অনেক বেশি হওয়ায় সেই সভাতেই রাত ৮টার পর দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আগামীকাল শনিবার এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ওই দিন থেকেই এটি কার্যকর হবে।’
উল্লেখ্য, রাজশাহীর ঘরে ঘরে এখন করোনা রোগী। সবশেষ শুক্রবারের তথ্যমতে, এ দিন দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ২৮০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের গড় হার ৬৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
আজ শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১৮৬টি নমুনার মধ্যে ১২০ টিতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হয়। এখানে সংক্রমণের হার ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ৯৪টি নমুনার মধ্যে ৫৭ টিতে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখানে সংক্রমণের হার হয়েছে ৬০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের দিন বৃহস্পতিবার জেলায় গড় সংক্রমণ হয় ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রাজশাহীতে এখন সংক্রমণের যে হার, তা দেশের আর কোথাও নেই। রাজশাহীতে অতীতে কখনো এত বেশি সংক্রমণ হয়নি।
রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম দিনও রাজশাহীতে সংক্রমণের হার হয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ১০ তারিখের পর সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। ১৬ জানুয়ারি সংক্রমণ ৩০ শতাংশ ছাড়া। ৪০ শতাংশ সংক্রমণ ছাড়া ২২ জানুয়ারি। পরদিনই সংক্রমণের হার হয় ৫৯ শতাংশ। ২৫ জানুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ৬৭ শতাংশ। ২৭ জানুয়ারি সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৫ শতাংশে। রাজশাহীতে বর্তমানে করোনা পজিটিভ থাকা ২ হাজার ১৩১ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯৬৪ জনই শহরের বাসিন্দা। জেলার ৯ উপজেলায় রোগী মাত্র ১৬৪ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘গ্রামের মানুষ করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে না। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি ধরে নিয়েই তারা বসে থাকছে। শহরের মানুষ পরীক্ষা করাচ্ছে বলে পজিটিভ হচ্ছে। ৭৫ শতাংশ সংক্রমণ মানে কি? মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ করোনামুক্ত। তার অর্থ হলো এখন রাজশাহীর ঘরে ঘরে করোনা রোগী। যার পরীক্ষা করানো হবে, তারই রিপোর্ট পজিটিভ আসবে।’
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, ‘করোনার ডেলটা ধরনের সময়ও কিন্তু রাজশাহীতে সংক্রমণ বেড়েছিল, তবে এতটা নয়। সে সময় আবার মৃত্যুহার ছিল অনেক বেশি। এই সময়ের মধ্যে আমরা টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পেরেছি। ফলে মৃত্যুহার কমেছে। করোনার এমন ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণেও আমরা টিকা কার্যক্রমকেই জোর দিচ্ছি।’
রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণের হার ভয়াবহ হলেও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ৪৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের বাড়ি পাবনা, অন্যজনের কুষ্টিয়া। পাবনার রোগী করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। তবে কুষ্টিয়ার রোগী ছিলেন করোনা পজিটিভ।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালটিতে ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। রাজশাহী জেলায় প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ অবস্থায় ৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দু’বছরে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৮২ জন রোগী। এদের মধ্যে ২৮ হাজার ৪২৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানায় থাকা এক প্লটের ২৮ একর জমি মিলেমিশে দখলে রেখেছে ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এদিকে বিমানবন্দরের মালিকানাধীন তিনটি ক্যানটিনের ভাড়া পরিশোধ না করে ১৭-১৮ বছর দখলে রেখেছে একটি মহল। তা ছাড়া বিজয়নগর আবাসিক এলাকায় বিমানবন্দরেরই সরকারি জায়গা দখল
৭ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন খালের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে এসব খাল হয়েই নগরীর পানিনিষ্কাশন হয় পাশের নদীতে। খালগুলো খননে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ও হয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এ খননেও কাজ হচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীর অধিকাংশ এলাকায় হাঁটুপানি জমে
৭ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে
৭ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের কালকিনির ভাটবালী আব্দুর রহমান মোল্লা বিদ্যাপীঠ নামের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শতাধিক কলাগাছ রোপণের অভিযোগ উঠেছে। ঈদুল ফিতরের ছুটির মধ্যে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে এই গাছগুলো লাগানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কালকিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগে