রাজশাহীর গ্রামে গ্রামে ডাকাত আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১৭: ৪৮
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ০৬

ডাকাতের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার গ্রামের মানুষ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা ও গ্রামে গ্রামে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীকে সতর্ক করে গ্রামে গ্রামে চলে মাইকিং। এরপর রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিতে শুরু করেন লোকজন। কয়েকটি স্থানে লুটপাট চালাতে গিয়ে কিছু তরুণ আটকও হয়েছেন। 

এদিকে গত সোমবার রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যেসব জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়েছিল তার কিছু কিছু ফেরত দেওয়া হচ্ছে। লোকজন স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব ফেরত দিচ্ছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে পুলিশ না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক এখনো কাজ করছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পিল্লাপাড়া বাজারে লুটপাট চালাতে যায় ছয়জন তরুণ। তাঁদের কাছে রড, হাতুড়ি ও ছোরা ছিল। লোকজন তাঁদের ধরে আটকে রাখেন। পরে কিছুটা উত্তমমাধ্যম দিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 

পবার হুজরিপাড়া এলাকায় একটি দোকান ডাকাতি করতে গিয়ে এক ব্যক্তি ধরা পড়েন। রাতভর তাঁকে বেঁধে রাখা হয়। পরে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত গিয়ে এই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি মাদকাসক্ত। নেশার ঘোরে তিনি লুট করতে এসেছিলেন। পরে তাঁকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে ডাকাতি করতে যাওয়া পাঁচ তরুণকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া হয়। গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দারা ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। ডাকাতের আতঙ্কে এলাকায় এলাকায় মসজিদে মাইকিং করে গ্রামের যুবকদের পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তরুণেরা রাতভর গ্রাম পাহারা দেন। 

এদিকে গত সোমবার লুট হওয়া বিভিন্ন মালামালের কিছু অংশ গতকাল সন্ধ্যা থেকে ফেরত আসার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা এবং আওয়ামীপন্থী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সংগঠন-আইডিইবির রাজশাহী জেলা কার্যালয় থেকে লুট হওয়া মালামালের কিছু অংশ ফেরত আসার কথা জানা গেছে। 

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘পুলিশ দ্রুত দায়িত্বে ফিরবে। নতুন সরকারও কাজ শুরু করবে। আমরা আশা করছি, কাল থেকেই রাজশাহীর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ 

পুলিশ না থাকায় মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা রাজশাহীতে পুলিশ না থাকায় আজও মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীদের ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এ দিন শহরে নতুন করে হামলা-লুটপাটের খবর পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত