বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া গাবতলী উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হওয়া পাঁচজনের পরিবারকে ১ লাখ করে মোট ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ করতোয়া অডিটোরিয়ামে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে এক লাখ করে দেন ডিসি মো. জিয়াউল হক। নিহতের মধ্যে চারজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং অন্যজন প্রতিপক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন, আব্দুর রশিদ (৫০), খোরশেদ (৫৫), আলমগীর (৩৫) ও কুলসুম (৪০)। এ চারজনই গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত অন্যজন হলেন-৩৫ বছর বয়সী জাকির হোসেন। তিনি গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি গ্রামের মৃত লয়া মিয়ার ছেলে।
গত ৫ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে ভোট চলাকালীন গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর জাইগুলি গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন জাকির। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা ও ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস আলী ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ চারজন নিহত হন।
জানা গেছে, গাবতলী উপজেলায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসিফ আহমেদ। ভোট গ্রহণ শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করেই ব্যালট বাক্স উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় নৌকার প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস আলী ফকিরের কর্মী-সমর্থকেরা (নারী-পুরুষ) কেন্দ্রেই ভোট গণনা করতে বলেন। একপর্যায়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হন।
বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত ইউনুস আলী ফকির জানান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ ভোট গ্রহণ শেষে গণনা ও ঘোষণা করেনই ব্যালট বাক্স উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে চান। ওই সময় তার কর্মী-সমর্থকেরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে তাঁর চার কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
পরদিন ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে গাবতলী মডেল থানায় মামলা করেন প্রিসাইডিং অফিসার জাকির হোসেন। তিনি জাকির গাবতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তার করা মামলায় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া ওই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের করা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের পরিবার থেকেও কোনো মামলা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম ধাপে গাবতলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৫ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে।
বগুড়া গাবতলী উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হওয়া পাঁচজনের পরিবারকে ১ লাখ করে মোট ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ করতোয়া অডিটোরিয়ামে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে এক লাখ করে দেন ডিসি মো. জিয়াউল হক। নিহতের মধ্যে চারজন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং অন্যজন প্রতিপক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন, আব্দুর রশিদ (৫০), খোরশেদ (৫৫), আলমগীর (৩৫) ও কুলসুম (৪০)। এ চারজনই গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত অন্যজন হলেন-৩৫ বছর বয়সী জাকির হোসেন। তিনি গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি গ্রামের মৃত লয়া মিয়ার ছেলে।
গত ৫ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে ভোট চলাকালীন গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর জাইগুলি গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন জাকির। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা ও ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস আলী ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ চারজন নিহত হন।
জানা গেছে, গাবতলী উপজেলায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসিফ আহমেদ। ভোট গ্রহণ শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা না করেই ব্যালট বাক্স উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় নৌকার প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস আলী ফকিরের কর্মী-সমর্থকেরা (নারী-পুরুষ) কেন্দ্রেই ভোট গণনা করতে বলেন। একপর্যায়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হন।
বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত ইউনুস আলী ফকির জানান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদ ভোট গ্রহণ শেষে গণনা ও ঘোষণা করেনই ব্যালট বাক্স উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে চান। ওই সময় তার কর্মী-সমর্থকেরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে তাঁর চার কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছেন।
উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
পরদিন ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট কেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে গাবতলী মডেল থানায় মামলা করেন প্রিসাইডিং অফিসার জাকির হোসেন। তিনি জাকির গাবতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তার করা মামলায় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া ওই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।
গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের করা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের পরিবার থেকেও কোনো মামলা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম ধাপে গাবতলী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৫ জানুয়ারি (বুধবার) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে