Ajker Patrika

বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি
বাঘারপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ শিশুই জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে শিশুদের জন্য তেমন কোনো ওয়ার্ড বিভক্ত করা নাই। নারী ও শিশু রোগীদের জন্য যৌথভাবে ১৪ শয্যার একটি ওয়ার্ড রয়েছে। তবে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যা ৩০ জনের ওপরে। যা শয্যা সংখ্যারও দ্বিগুণ। ফলে শয্যার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতাল বারান্দা ও মেঝেতে। ফলে অতিরিক্ত রোগীর এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও সেবিকারা। 

দেখা গেছে, রোগীর এতটাই চাপ যে পুরো বারান্দা জুড়ে রোগীর লাইন রয়েছে। তা ছাড়া বারান্দার ২০ গজ দূরেই দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা। এতে করে শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এদিকে হাসপাতালের নেবুলাইজার মেশিনের কাছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে মায়েদের দীর্ঘ লাইন লেগেই আছে। 

সরেজমিনে গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। ফলে স্বাস্থ্যবিধিও বিঘ্নিত হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন শিশু রোগীদের। মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগী সংখ্যা বেশি হওয়ায় রোগী ও স্বজনেরা গাদাগাদি করে রয়েছেন। 

 ৯ মাস বয়সী শিশু ইয়াছিন গত ১২ দিন যাবৎ ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ সময় ইয়াছিনের মা তুলি খাতুন বলেন, ১২ দিন হল হাসপাতালে ভর্তি। ঠান্ডা-জ্বর লাগলে বাজারের ফার্মেসি দোকান থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ালেও পরিবর্তন না হওয়ায় এখানে ভর্তি করেছি। ছেলেটা ঠিকমতো খাচ্ছে না। 

দেড় বছর বয়সী মুক্তাছিনের মা সোনালী খাতুন বলেন, গত ৫ দিন আগে ছেলের শরীরে জ্বর জ্বর ভাব হলে গত শুক্রবার ভর্তি করেছি। কিন্তু রোগীর চাপ বেশি থাকায় বারান্দায় থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। 

ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স মারিয়া খাতুন বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরেই শিশু রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়াতে সেবা দিতে অনেকটা হিমসিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা ৭ জন সেবিকা কীভাবে এত রোগীর সেবা দিবো। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি 

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে যে পরিমাণে রোগীর চাপ বেড়েছে সেই তুলনায় আমাদের লোকবল কম। তাই এত রোগীকে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বৃষ্টি, গরম ও ঠান্ডার কারণে রোগীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত ৩ থেকে ৪ জন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে। তাই শিশুদের প্রতি পরিবারের লোকের যত্নশীল হতে হবে। তাহলে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের আশঙ্কাটা অনেকটা কমে যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত