নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে কুপিয়ে আহত, আ.লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৩: ১৯
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৩: ৩৯

নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে এই হামলায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের আলাইপুরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত নেতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নাটোর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক চপল সাব্বির ও জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপি নেতাদের ওপর যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের কেউ নন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন অভিযোগ করেন, আজ বুধবার সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য বিএনপির কর্মীরা জেলা কার্যালয়ের সামনে সমবেত হচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ক্যাডার রাশেদুল ইসলাম কোয়েল, গোলাম কিবরিয়া সেলিম, সজীবসহ ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ প্রথমে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর বিএনপি কার্যালয়ের অদূরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করে। পরে শহরের কানাইখালী পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক চপল সাব্বিরের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এসব ঘটনায় পূর্বঘোষিত সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, হামলাকারীরা জেলার একজন শীর্ষ সরকারদলীয় জনপ্রতিনিধির মদদপুষ্ট। তাঁদের ওই জনপ্রতিনিধির চারপাশে দেখা যায়। তাঁদের সবাই চেনে।

এ ঘটনায় বক্তব্য জানতে রাশেদুল ইসলাম কোয়েলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘বিএনপির ডাকা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কোনো লাভ নেই। তাই আল্লাহ ও জনগণের কাছে বিচার দিলাম।’

তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান দাবি করেন, বিএনপি নেতাদের ওপর যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের কেউ নন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেননি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত