পাবনা প্রতিনিধি
গৃহবধূকে অ্যাসিড দিয়ে দগ্ধ করে হত্যার অভিযোগের ১৩ দিন পার হলেও পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি। এমন অভিযোগ করেছেন নিহত গৃহবধূর বোন রোজিনা খাতুন। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোরও অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নিহত গৃহবধূ আরজিনা বেগমের (৫০) বোন রোজিনা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে রোজিনার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ভাবি দিলশাদ আরা বেগম।
নিহত আরজিনা বেগম পাবনা সদর উপজেলার দিয়ার রাজাপুর গ্রামের সেকের মোল্লার মেয়ে এবং একই উপজেলার চর শিবরামপুরের ঝুটপট্টি এলাকার আসলাম হোসেনের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, নিহত আরজিনা বেগম দীর্ঘ ৩০-৩২ বছর তাঁর স্বামী আসলাম হোসেনের সঙ্গে সংসার করে আসছিলেন। তাদের ঘরে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে, সন্তানদেরও বিয়ে হয়েছে। আসলাম একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
প্রতিবাদ করায় আরজিনাকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতেন আসলাম। এরই জেরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতের কোনো এক সময় আরজিনাকে অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ নিজ ঘরের ডাবের সঙ্গে ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে আসলাম ও তার পরিবার। পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক আসলাম।
লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করে রোজিনা খাতুন বলেন, ‘আমার বোনকে যে অ্যাসিড দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার আলামত দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। তাঁর গায়ের বিভিন্ন অংশ পুড়ে ঝলসে গেছে, মুখ পুড়ে কালো হয়ে গেছে। গলায় ছিদ্র হয়ে গেছে। হাত-পায়ের রগগুলোও পুড়ে গেছে। শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন রয়েছে, অথচ বলা হচ্ছে সে গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে! যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
রোজিনা খাতুন জানান, আরজিনার শরীরে এসব ক্ষতচিহ্নের ছবি, ভিডিও থাকলেও পুলিশ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। ঘটনাস্থলেই পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে থানায় ডেকে নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগে বাদী হিসেবে রোজিনা খাতুনের স্বাক্ষর নিয়ে বিদায় করা হয়েছে। অথচ অভিযোগের কোনো কপি পরিবারকে দেয়নি পুলিশ।
রোজিনা খাতুন বলেন, ‘আজ ১৩ দিন হতে চলল, এখনো পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি এবং আসামির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মামলা গ্রহণের বিষয়ে থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কথা বলে কালক্ষেপণ করছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাদী রোজিনা খাতুন বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৌরভ আমাদের নানা ধরনের হুমকিমূলক কথাও বলেছে। তিনি আমাদের কোনো ধরনের পাত্তাই দিচ্ছেন না। ময়নাতদন্তের পর আমরা লাশ চাইলে এসআই লাশ দিতে অস্বীকার করেন এবং লাশ টুকরো টুকরো করে দেওয়ারও হুমকি দেন। আমরা একাধিকবার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে এসআই সৌরভ বাধা দেন এবং কঠোরভাবে নিষেধ করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বোন রোজিনা খাতুন, চাচাতো ভাই আলম হোসেন, নজরুল ইসলাম, ভাবি দিলশাদ আরা বেগম, ননদ রাবেয়া আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আরজিনা খাতুন মৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আমি শুনিনি। আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে, এই বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগের প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ইউডি মামলা হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি, রিপোর্ট পেলেই আমরা বিষয়টি দেখব।’
গৃহবধূকে অ্যাসিড দিয়ে দগ্ধ করে হত্যার অভিযোগের ১৩ দিন পার হলেও পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি। এমন অভিযোগ করেছেন নিহত গৃহবধূর বোন রোজিনা খাতুন। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোরও অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নিহত গৃহবধূ আরজিনা বেগমের (৫০) বোন রোজিনা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে রোজিনার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ভাবি দিলশাদ আরা বেগম।
নিহত আরজিনা বেগম পাবনা সদর উপজেলার দিয়ার রাজাপুর গ্রামের সেকের মোল্লার মেয়ে এবং একই উপজেলার চর শিবরামপুরের ঝুটপট্টি এলাকার আসলাম হোসেনের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, নিহত আরজিনা বেগম দীর্ঘ ৩০-৩২ বছর তাঁর স্বামী আসলাম হোসেনের সঙ্গে সংসার করে আসছিলেন। তাদের ঘরে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে, সন্তানদেরও বিয়ে হয়েছে। আসলাম একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
প্রতিবাদ করায় আরজিনাকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতেন আসলাম। এরই জেরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতের কোনো এক সময় আরজিনাকে অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ নিজ ঘরের ডাবের সঙ্গে ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে আসলাম ও তার পরিবার। পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক আসলাম।
লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করে রোজিনা খাতুন বলেন, ‘আমার বোনকে যে অ্যাসিড দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার আলামত দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়। তাঁর গায়ের বিভিন্ন অংশ পুড়ে ঝলসে গেছে, মুখ পুড়ে কালো হয়ে গেছে। গলায় ছিদ্র হয়ে গেছে। হাত-পায়ের রগগুলোও পুড়ে গেছে। শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন রয়েছে, অথচ বলা হচ্ছে সে গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে! যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
রোজিনা খাতুন জানান, আরজিনার শরীরে এসব ক্ষতচিহ্নের ছবি, ভিডিও থাকলেও পুলিশ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। ঘটনাস্থলেই পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে থানায় ডেকে নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগে বাদী হিসেবে রোজিনা খাতুনের স্বাক্ষর নিয়ে বিদায় করা হয়েছে। অথচ অভিযোগের কোনো কপি পরিবারকে দেয়নি পুলিশ।
রোজিনা খাতুন বলেন, ‘আজ ১৩ দিন হতে চলল, এখনো পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি এবং আসামির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মামলা গ্রহণের বিষয়ে থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কথা বলে কালক্ষেপণ করছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাদী রোজিনা খাতুন বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৌরভ আমাদের নানা ধরনের হুমকিমূলক কথাও বলেছে। তিনি আমাদের কোনো ধরনের পাত্তাই দিচ্ছেন না। ময়নাতদন্তের পর আমরা লাশ চাইলে এসআই লাশ দিতে অস্বীকার করেন এবং লাশ টুকরো টুকরো করে দেওয়ারও হুমকি দেন। আমরা একাধিকবার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে এসআই সৌরভ বাধা দেন এবং কঠোরভাবে নিষেধ করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বোন রোজিনা খাতুন, চাচাতো ভাই আলম হোসেন, নজরুল ইসলাম, ভাবি দিলশাদ আরা বেগম, ননদ রাবেয়া আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে আরজিনা খাতুন মৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আমি শুনিনি। আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে, এই বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগের প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ইউডি মামলা হয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি, রিপোর্ট পেলেই আমরা বিষয়টি দেখব।’
রোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
৪১ মিনিট আগেরিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
১ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
১ ঘণ্টা আগে