রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাঁরা মারা যান। আজ বুধবার সকালে হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ও নাটোরের চারজন করে, নওগাঁর তিনজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার একজন করে মারা গেছেন। এর মধ্যে রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর একজন করে মোট চারজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। রাজশাহী ও কুষ্টিয়ার একজন করে আরও দুই রোগীর করোনা নেগেটিভ থাকলেও শারীরিক নানা জটিলতায় মারা গেছেন। অন্য আটজন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

 মৃত ১৪ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও নয়জন নারী। এদের মধ্যে ২১-৩০ বছর বয়সের মধ্যে একজন নারী, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী; ৪১-৫০ বছরের মধ্যে দুজন পুরুষ, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে একজন পুরুষ এবং ষাটোর্ধ্ব তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী।

এ নিয়ে আগস্টের চার দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৬৯ জনের মৃত্যু হলো। জুলাই মাসজুড়ে ৫৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে জুনে এখানে মারা গেছেন ৪০৫ জন। হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা ৫১৩ টি।

আজ সকালে ভর্তি ছিলেন ৪০২ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০ জন। হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৮৮ জন। উপসর্গ নিয়ে আছেন ১৩৫ জন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক নানা জটিলতায় কোভিড ইউনিটে ভর্তি ছিলেন আরও ৭৯ জন রোগী।

বুধবার সকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রাজশাহীর ১৭৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৬ জন, নাটোরের ৬১ জন, নওগাঁর ৩২ জন, পাবনার ৭৭ জন, কুষ্টিয়ার নয়জন, সিরাজগঞ্জের তিনজন, বগুড়ার দুজন এবং ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরের একজন করে রোগী ভর্তি ছিলেন। 
 
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার আরটি-পিসিআর ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলে জেলায় মোট ৮২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১৪২ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর শুধু দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে রাজশাহীর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।