রাবিতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৫৬
Thumbnail image

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। 

মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জোহা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এতে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ফেডারেশন, পাহাড়ি ছাত্র সংসদসহ বেশ কয়েকটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা অংশ নেন। 

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘আমরা আজকে যে স্বল্প খরচে পড়াশোনা করছি তা দীপালী সাহা, কাঞ্চন ও জয়নালদের অবদান। তাদের আত্মত্যাগেই শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণ স্বল্পতা পেয়েছিল। আমাদের ছাত্র সংগ্রামের যে গৌরব উজ্জ্বলের ইতিহাস সেই ইতিহাস আজকের এই দিনে রচিত হয়েছিল।’ 

রাবিতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকাতিনি আরও বলেন, ‘আজকে যে শিক্ষাকে বাণিজ্যের পণ্যে রূপান্তরিত করা হচ্ছে–এইটা স্বৈরশাসক এরশাদের আমল থেকেই শুরু হয়েছিল। সরকার শিক্ষাকে যেভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করছে এর থেকে বোঝা যায় তারা স্বৈরাচারের দিকে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।’ 

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘আজকে রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদ যেভাবে জেঁকে বসেছে, যা আমাদের ভুলতে বসিয়েছে আমাদের ইতিহাসকে। শিক্ষা যে কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়, তা আমাদের রাষ্ট্র ভুলিয়ে রাখতে চায়। রাজপথে শিক্ষার্থীদের সংগ্রামী ইতিহাস আজ চাপা পড়ে গেছে। সর্বোপরি যে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে এখানে মানুষের মৌলিক অধিকার, শিক্ষা পাওয়ার অধিকার তা খর্ব হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এই হামলায় দীপালী সাহা, কাঞ্চন ও জয়নালসহ আরও অনেকেই নিহত হন। তখন থেকে দিনটি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত