বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘার সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনের পরিচালক শামসুদ্দিন সমেস ডাক্তার আর নেই। আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়ি উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রামে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনের পরিচালক ছিলেন শামসুদ্দিন সমেস ডাক্তার। তিনি ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর গড়গড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে সরেরহাট গ্রামে চলে এসে বসবাস করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে দাদপুর-গড়গড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে কালিদাসখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
পরে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি পাশ করেন। শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজে বিএ ভর্তি হলেও অর্থাভাবে লেখাপড়া আর হয়নি। এরপর একই গ্রামের মেহেরুন্নেছার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আগে দেশে যুদ্ধের সময়ে অনেক শিশু বাবা-মা হারিয়ে এতিম হয়ে যায় এবং অসহায়ভাবে ঘুরতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। এতিম শিশুদের কীভাবে প্রতিপালন করা যায়— এই চিন্তা তাঁর মনে দানা বাঁধতে থাকে। ১৯৮৪ সালে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাবার কাছে থেকে পাওয়া নিজের জমি বিক্রি করে একটি এতিমখানা স্থাপন করেন।
প্রথমে এতিমখানার নাম রাখা হয় সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন। পরে সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতন রাখা হয়। এতিমখানা পরিচালনা করতে গিয়ে নিজের জমির পাশাপাশি স্ত্রীর ১৭ বিঘা জমি বিক্রয় করতে হয়। এখানে ২১১ জন এতিম ছেলে-মেয়েসহ বৃদ্ধ বৃদ্ধা রয়েছে। বর্তমানে সাবরিন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন তাঁর অর্থায়নে এতিম ছেলে-মেয়েসহ বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের নিরাপদ আবাসন জন্য ২৫০ জন বসবাসের উপযোগী তিনতলা ভবন নির্মাণ করে দেন। কল্যাণী শিশু সদন ছেলে-মেয়ে নিয়ে ১৯৮৩-৮৪ সালে বেকায়দায় পড়লে কারিতাস এনজিও পাশে দাঁড়ায়।
শামসুদ্দিনের এমন অসামান্য অবদান বিবেচনায় ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইউনিলিভার তাঁকে নিয়ে একদিনের কর্মশালা করে। পরে ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে সাদা মনের মানুষ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার, স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট, শেরওয়ানি, সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
এরপর ২০০৭ সালে পান্নাপাড়া হাইস্কুল, বাঘা সমিতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘নির্মোহ মানব সেবক’ উপাধি দেয়। ২০০৮ সালে রাজশাহী জেলা সমিতি ঢাকা, রোটারি ক্লাব অব মতিঝিল ঢাকা ও এসো বাংলাদেশ গড়ি সম্মাননা দেন। ২০১১ সালে বইমেলা, মণিগ্রাম মানব কল্যাণ সংগঠন, ২০১৩ সালে জাতীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ স্যাফার ল্যাড স্কুল আহমদপুর ‘২০১৩ বাঘা উপজেলা সম্মাননা’ দেন।
আজ শনিবার বাদ মাগরিব দাদপুর-গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে রাত সাড়ে ৮টায় বাঘা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এই মহান মানুষকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনের সাধারণ তত্ত্বাবধায়ক শাহদৌলা আল মুনসুর।
তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করে মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রাজশাহীর বাঘার সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনের পরিচালক শামসুদ্দিন সমেস ডাক্তার আর নেই। আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়ি উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রামে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনের পরিচালক ছিলেন শামসুদ্দিন সমেস ডাক্তার। তিনি ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর গড়গড়ি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে সরেরহাট গ্রামে চলে এসে বসবাস করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে দাদপুর-গড়গড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ করেন। ১৯৬৫ সালে কালিদাসখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
পরে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭২-৭৩ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি পাশ করেন। শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজে বিএ ভর্তি হলেও অর্থাভাবে লেখাপড়া আর হয়নি। এরপর একই গ্রামের মেহেরুন্নেছার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আগে দেশে যুদ্ধের সময়ে অনেক শিশু বাবা-মা হারিয়ে এতিম হয়ে যায় এবং অসহায়ভাবে ঘুরতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। এতিম শিশুদের কীভাবে প্রতিপালন করা যায়— এই চিন্তা তাঁর মনে দানা বাঁধতে থাকে। ১৯৮৪ সালে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাবার কাছে থেকে পাওয়া নিজের জমি বিক্রি করে একটি এতিমখানা স্থাপন করেন।
প্রথমে এতিমখানার নাম রাখা হয় সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন। পরে সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতন রাখা হয়। এতিমখানা পরিচালনা করতে গিয়ে নিজের জমির পাশাপাশি স্ত্রীর ১৭ বিঘা জমি বিক্রয় করতে হয়। এখানে ২১১ জন এতিম ছেলে-মেয়েসহ বৃদ্ধ বৃদ্ধা রয়েছে। বর্তমানে সাবরিন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন তাঁর অর্থায়নে এতিম ছেলে-মেয়েসহ বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের নিরাপদ আবাসন জন্য ২৫০ জন বসবাসের উপযোগী তিনতলা ভবন নির্মাণ করে দেন। কল্যাণী শিশু সদন ছেলে-মেয়ে নিয়ে ১৯৮৩-৮৪ সালে বেকায়দায় পড়লে কারিতাস এনজিও পাশে দাঁড়ায়।
শামসুদ্দিনের এমন অসামান্য অবদান বিবেচনায় ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইউনিলিভার তাঁকে নিয়ে একদিনের কর্মশালা করে। পরে ২০০৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে সাদা মনের মানুষ হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এতে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার, স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট, শেরওয়ানি, সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
এরপর ২০০৭ সালে পান্নাপাড়া হাইস্কুল, বাঘা সমিতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘নির্মোহ মানব সেবক’ উপাধি দেয়। ২০০৮ সালে রাজশাহী জেলা সমিতি ঢাকা, রোটারি ক্লাব অব মতিঝিল ঢাকা ও এসো বাংলাদেশ গড়ি সম্মাননা দেন। ২০১১ সালে বইমেলা, মণিগ্রাম মানব কল্যাণ সংগঠন, ২০১৩ সালে জাতীয় সমাজসেবা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ স্যাফার ল্যাড স্কুল আহমদপুর ‘২০১৩ বাঘা উপজেলা সম্মাননা’ দেন।
আজ শনিবার বাদ মাগরিব দাদপুর-গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে রাত সাড়ে ৮টায় বাঘা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এই মহান মানুষকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন ও মমতাজ-আজিজ বৃদ্ধা নিকেতনের সাধারণ তত্ত্বাবধায়ক শাহদৌলা আল মুনসুর।
তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করে মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. আবদুস শহীদকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিকেলে আবদুস শহীদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
৪ মিনিট আগেসাবেক সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন এক নারী। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা এলাকার গোলাম মোস্তফার স্ত্রী ইসরাত জাহান (৪০) শেরপুর থানায় এ লিখিত অভিযোগ করেন।
৫ মিনিট আগেনিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে ১৭ দিন অভিযান চালিয়ে ৫১৭ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৪ লাখ এক হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৮ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরা থেকে আটকের সময় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের বাসা থেকে বিদেশি মুদ্রাসহ ৩ কোটির বেশি টাকা ও প্রায় ৮৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে। ডিএমপির উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে আজ বুধবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৭ মিনিট আগে