নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিষপান করা সাঁওতাল কৃষক মুকুল সরেন (৩৫) বলছেন, সাড়ে তিন বিঘা বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি না পেয়ে তিনি বিষপান করেছেন। তবে বিষপানের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি মনে করছে, সেচের পানির জন্য নয়। অন্য কোনো কারণে তিনি বিষপান করেছেন।
তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে মুকুল সরেনের বিষপানের দুটি কারণও উদ্ঘাটন করার দাবি করেছে। এর একটি হলো—কয়েক মাস আগে মুকুল সরেনের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে গেছেন। বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে সমস্যার মধ্যে ছিলেন মুকুল। আরেকটি হলো—গত বছর দুই কৃষকের বিষপানের পর চাকরিচ্যুত হওয়া গভীর নলকূপ অপারেটরের কোনো হাত থাকতে পারে বলেও কমিটি সন্দেহ করছে। তবে সেচের পানির জন্য যে বিষপান নয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট মতামত দিচ্ছে কমিটি।
অথচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক মুকুল সরেন সাংবাদিকদের বলেছেন, টানা ছয়-সাত দিন ধরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপে ঘুরেও তিনি সেচের পানি পাননি। তিনি বলেছেন, গভীর নলকূপের পাইপ ফুটো হয়েছে বলে অপারেটর হাসেম আলী বাবু সব কৃষকের কাছ থেকে ৮০ টাকা করে তুলছিলেন। তিনিও মঙ্গলবার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এর আগে ধান বাঁচাতে চেয়েছিলেন সেচের পানি। কিন্তু ৮০ টাকা দিতে না পারার কারণে হাসেম তাঁকে পানি দেননি। তাই অভিমানে বিষপান করেছেন।
মুকুল আরও জানান, রোববার দুপুরে অপারেটর হাসেম আলীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির পর তিনি বিষপান করেন। বিষপানের পর হাসেম আলী তাঁর জমিতে ১৫ মিনিট সেচ দিয়েছেন। মুকুলের বিষপানের খবর সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আজকের পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশ হয়। এরপর রাতেই তাঁকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। মুকুল ডিসির কাছেও একই অভিযোগ করেন। তখন ডিসি সুস্থ হওয়ার পরে মুকুলকে তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন এবং সব সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ডিসি মুকুলকে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে কোনো সমস্যা হলে কল করারও পরামর্শ দেন। ডিসি জানান, মুকুল সরেনের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন।
এরপর জেলা প্রশাসক রাতেই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তকে। আর দুই সদস্য হলেন—উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান ও দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কমিটির সদস্যরা ঈশ্বরীপুর গ্রামে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করেন। এ সময় বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ, গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামসহ বিএমডিএর অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অপারেটর হাসেম এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘মাঠে গিয়ে দেখলাম সব কৃষকের জমিতেই পানি আছে। মুকুল সরেনের জমিতেও পানি আছে এখন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন কৃষক ছাড়া কেউ বলেনি যে পানি পেতে হয়রানি হতে হয়। সেচের জন্য মুকুল বিষপান করেছে এটা মনে হচ্ছে না। এর পেছনে অন্য ইস্যু থাকতে পারে।’
ইউএনও বলেন, ‘তদন্তকালে আমরা প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি। একটি হলো—সন্তানদের রেখে মুকুলের স্ত্রী কয়েক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে গেছে। এ ছাড়া গত বছর দুই কৃষক বিষপানে মারা যাওয়ার পর চাকরিচ্যুত হওয়া অপারেটরেরও কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। ঘটনার দিন মুকুলের অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গেও কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরে আজকেই আমি জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেব।’
মুকুল সরেনের বাড়ি দেওপাড়া ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গোপাল সরেন। বর্ষাপাড়া গ্রামের পাশের গ্রামটি নিমঘটু। গত বছরের মার্চে বোরো ধানের জমিতে পানি না পেয়ে এই নিমঘটু গ্রামের কৃষক অভিনাথ মারান্ডি ও তাঁর চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি বিষপান করেন। এতে দুজনেরই মৃত্যু হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অভিনাথ ও রবি বিএমডিএর যে গভীর নলকূপের আওতায় জমি চাষ করতেন, সেই একই নলকূপের কৃষক মুকুল সরেন। অভিনাথ ও রবির মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে তৎকালীন গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই ঘটনার শুরু থেকেই বিভিন্ন পক্ষ ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষ নয়, দেশীয় মদপানে ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও তখন প্রচার চালানো হয়। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, বিষপানের কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। ওই সময় চাকরিচ্যুত হন সাখাওয়াত।
পরে নিয়োগ পান বর্তমান অপারেটর হাসেম আলী বাবু। মুকুলের বিষপানের পর হাসেম বলেছেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষকেরা মদ্যপ অবস্থায় সেচ দিতে আসেন। কমিটির সিদ্ধান্ত আছে, কেউ মদপান করে এলে তাকে পানি দেওয়া হবে না। এ জন্য মুকুলকে দুই দিন পানি দেওয়া হয়নি।’ গভীর নলকূপের কোনো কিছু নষ্ট হলে তা বিএমডিএরই নিজের টাকায় মেরামত করার কথা। তারপরও পাইপ ফুটো হওয়ায় মুকুলের কাছে ৮০ টাকা চাওয়া হয়েছিল কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসেম বলেন, ‘পানি না পেয়ে মুকুলই মনে হয় পাইপ ফুটো করেছিল।’ তবে তাঁকে কেউ পাইপ ফুটো করতে দেখেনি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, ‘এখানে সেচের জন্য বিষপান বলে মনে হচ্ছে না। এর পেছনে অন্য কারণ আছে। আমরা সেটা তদন্ত করে দেখব। অপারেটরের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মদপান করলে গভীর নলকূপ থেকে পানি দেওয়া হয় না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপারেটর আমাকেও এ কথা বলেছে। আমি তাকে বকাঝকা করেছি। বলেছি, মদপান তো আদিবাসীদের সংস্কৃতি। ওরা জন্ম থেকেই খাচ্ছে। এখন এই নিয়ম করলে তো হবে না। পানি নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আমরা অপারেটরকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি।’
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিষপান করা সাঁওতাল কৃষক মুকুল সরেন (৩৫) বলছেন, সাড়ে তিন বিঘা বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি না পেয়ে তিনি বিষপান করেছেন। তবে বিষপানের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি মনে করছে, সেচের পানির জন্য নয়। অন্য কোনো কারণে তিনি বিষপান করেছেন।
তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে মুকুল সরেনের বিষপানের দুটি কারণও উদ্ঘাটন করার দাবি করেছে। এর একটি হলো—কয়েক মাস আগে মুকুল সরেনের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে গেছেন। বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে সমস্যার মধ্যে ছিলেন মুকুল। আরেকটি হলো—গত বছর দুই কৃষকের বিষপানের পর চাকরিচ্যুত হওয়া গভীর নলকূপ অপারেটরের কোনো হাত থাকতে পারে বলেও কমিটি সন্দেহ করছে। তবে সেচের পানির জন্য যে বিষপান নয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট মতামত দিচ্ছে কমিটি।
অথচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষক মুকুল সরেন সাংবাদিকদের বলেছেন, টানা ছয়-সাত দিন ধরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপে ঘুরেও তিনি সেচের পানি পাননি। তিনি বলেছেন, গভীর নলকূপের পাইপ ফুটো হয়েছে বলে অপারেটর হাসেম আলী বাবু সব কৃষকের কাছ থেকে ৮০ টাকা করে তুলছিলেন। তিনিও মঙ্গলবার টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এর আগে ধান বাঁচাতে চেয়েছিলেন সেচের পানি। কিন্তু ৮০ টাকা দিতে না পারার কারণে হাসেম তাঁকে পানি দেননি। তাই অভিমানে বিষপান করেছেন।
মুকুল আরও জানান, রোববার দুপুরে অপারেটর হাসেম আলীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটির পর তিনি বিষপান করেন। বিষপানের পর হাসেম আলী তাঁর জমিতে ১৫ মিনিট সেচ দিয়েছেন। মুকুলের বিষপানের খবর সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আজকের পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশ হয়। এরপর রাতেই তাঁকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। মুকুল ডিসির কাছেও একই অভিযোগ করেন। তখন ডিসি সুস্থ হওয়ার পরে মুকুলকে তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন এবং সব সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ডিসি মুকুলকে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে কোনো সমস্যা হলে কল করারও পরামর্শ দেন। ডিসি জানান, মুকুল সরেনের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন।
এরপর জেলা প্রশাসক রাতেই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তকে। আর দুই সদস্য হলেন—উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান ও দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কমিটির সদস্যরা ঈশ্বরীপুর গ্রামে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত করেন। এ সময় বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ, গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামসহ বিএমডিএর অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা অপারেটর হাসেম এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘মাঠে গিয়ে দেখলাম সব কৃষকের জমিতেই পানি আছে। মুকুল সরেনের জমিতেও পানি আছে এখন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন কৃষক ছাড়া কেউ বলেনি যে পানি পেতে হয়রানি হতে হয়। সেচের জন্য মুকুল বিষপান করেছে এটা মনে হচ্ছে না। এর পেছনে অন্য ইস্যু থাকতে পারে।’
ইউএনও বলেন, ‘তদন্তকালে আমরা প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি। একটি হলো—সন্তানদের রেখে মুকুলের স্ত্রী কয়েক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে গেছে। এ ছাড়া গত বছর দুই কৃষক বিষপানে মারা যাওয়ার পর চাকরিচ্যুত হওয়া অপারেটরেরও কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। ঘটনার দিন মুকুলের অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গেও কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরে আজকেই আমি জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেব।’
মুকুল সরেনের বাড়ি দেওপাড়া ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গোপাল সরেন। বর্ষাপাড়া গ্রামের পাশের গ্রামটি নিমঘটু। গত বছরের মার্চে বোরো ধানের জমিতে পানি না পেয়ে এই নিমঘটু গ্রামের কৃষক অভিনাথ মারান্ডি ও তাঁর চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি বিষপান করেন। এতে দুজনেরই মৃত্যু হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অভিনাথ ও রবি বিএমডিএর যে গভীর নলকূপের আওতায় জমি চাষ করতেন, সেই একই নলকূপের কৃষক মুকুল সরেন। অভিনাথ ও রবির মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে তৎকালীন গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই ঘটনার শুরু থেকেই বিভিন্ন পক্ষ ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষ নয়, দেশীয় মদপানে ওই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও তখন প্রচার চালানো হয়। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, বিষপানের কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। ওই সময় চাকরিচ্যুত হন সাখাওয়াত।
পরে নিয়োগ পান বর্তমান অপারেটর হাসেম আলী বাবু। মুকুলের বিষপানের পর হাসেম বলেছেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষকেরা মদ্যপ অবস্থায় সেচ দিতে আসেন। কমিটির সিদ্ধান্ত আছে, কেউ মদপান করে এলে তাকে পানি দেওয়া হবে না। এ জন্য মুকুলকে দুই দিন পানি দেওয়া হয়নি।’ গভীর নলকূপের কোনো কিছু নষ্ট হলে তা বিএমডিএরই নিজের টাকায় মেরামত করার কথা। তারপরও পাইপ ফুটো হওয়ায় মুকুলের কাছে ৮০ টাকা চাওয়া হয়েছিল কেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসেম বলেন, ‘পানি না পেয়ে মুকুলই মনে হয় পাইপ ফুটো করেছিল।’ তবে তাঁকে কেউ পাইপ ফুটো করতে দেখেনি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, ‘এখানে সেচের জন্য বিষপান বলে মনে হচ্ছে না। এর পেছনে অন্য কারণ আছে। আমরা সেটা তদন্ত করে দেখব। অপারেটরের কোনো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মদপান করলে গভীর নলকূপ থেকে পানি দেওয়া হয় না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপারেটর আমাকেও এ কথা বলেছে। আমি তাকে বকাঝকা করেছি। বলেছি, মদপান তো আদিবাসীদের সংস্কৃতি। ওরা জন্ম থেকেই খাচ্ছে। এখন এই নিয়ম করলে তো হবে না। পানি নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আমরা অপারেটরকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে