রাসিক
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
টেন্ডার কিংবা কোটেশনের কিছুই হয়নি। তবু স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে দিয়ে সংস্কারকাজ করাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। সংস্কারকাজে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মোট প্রায় ২২ কোটি টাকার কাজ করাতে চায় নগর সংস্থা। কর্তৃপক্ষের দাবি, টেন্ডার কিংবা কোটেশন না হলেও ক্রয় নীতিমালা মেনেই কাজ করানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিকেলে রাজশাহীর নগর ভবনে তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় ভবনের চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করা হয়। ১০ তলা ভবনটির প্রথম থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন এসবেরই সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের ওই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২১ কোটি ১১ লাখ টাকার বেশি।
এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক সিটি করপোরেশনের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প থেকে অর্থ ব্যয় করতে চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব নাকচ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এ চিঠি পাওয়ার পর সম্প্রতি নগর ভবনের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। তবে কোনো টেন্ডার হয়নি। এমনকি কোটেশন প্রক্রিয়ায় গত রোববার পর্যন্ত ঠিকাদারও নির্বাচিত হয়নি খাতা-কলমে। তবে কাজ চলছে।
গত রোববার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, নগর ভবনের সামনের অংশ ইতিমধ্যে রং করা হয়েছে। মুছে গেছে আগুনের ক্ষতচিহ্ন। কয়েকজন শ্রমিক ভবনে গ্লাস লাগানোর কাজ করছেন। থাই মিস্ত্রি মো. সুমন জানান, তাঁকে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি কাজে নিয়ে এসেছেন। আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নগরের দড়িখড়বোনা এলাকার বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া মিলু এই কাজের ঠিকাদার।
ভবনের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, মেয়রের দপ্তরে নতুন টাইলস বসানো হচ্ছে। সেখানে কাউসার নামের এক মিস্ত্রি জানান, রেজাউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁকে কাজে এনেছেন। যোগাযোগ করা হলে রেজাউল জানান, তিনি কাজটি সাবকন্ট্রাক্ট নিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন বলছে, এখনো কোটেশন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাই কাজটি কোন ঠিকাদার করছেন, তা এখনই বলা যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে হাতের কাছে যাকে পাওয়া গেছে, তাকে দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে।
এদিকে টেন্ডার কিংবা কোটেশনের আগেই কাজ শুরু করার ব্যাপারে কথা বলতে বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া মিলুর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কল করা হয়। তবে তিনি ধরেননি।
টেন্ডার কিংবা কোটেশনের আগেই কাজ শুরু করা নিয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিতে চাই। জনগণের যেন কোনো সন্দেহ না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকা উচিত। আমরা আইনের ফাঁক দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলি। তাই নিয়মের মধ্যেই সব হওয়া উচিত।’
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন বলেন, ‘ঠিকাদার কে, তা এখনই বলতে পারছি না। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জানাতে পারব।’ তাহলে কাজ করছেন কে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে হাতের কাছে যাকে পেয়েছি, তাকে দিয়েই করাচ্ছি।’ তিনি জানান, ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে গ্লাস লাগানো হয়েছে। মেয়রের দপ্তরে বসবেন প্রশাসক। সেই দপ্তরটির আংশিক তাঁরা সংস্কার করবেন। এতেই ব্যয় হবে ৫০ লাখ টাকা। রং করতে কত খরচ হয়েছে, তা জানাতে পারেননি সিটি করপোরেশনের এই প্রকৌশলী।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অল্প কিছু বিল দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’ টেন্ডার কিংবা কোটেশনের কোনোটির প্রক্রিয়া শেষ না করেই কাজ শুরু করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অফিসপ্রধান একটা অনুমোদন দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই ক্রয় নীতিমালা মেনে কাজ করা হচ্ছে। তবে একসঙ্গে নিজস্ব অর্থে এত কাজ করা সম্ভব না বলে কোটেশন আকারেই ছোট ছোট কাজ দেখাতে হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কোটেশনের কাগজপত্র রেডি হয়ে যাবে। তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কে কাজটা করল তা বলা যাবে।’
টেন্ডার কিংবা কোটেশনের কিছুই হয়নি। তবু স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে দিয়ে সংস্কারকাজ করাচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। সংস্কারকাজে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। মোট প্রায় ২২ কোটি টাকার কাজ করাতে চায় নগর সংস্থা। কর্তৃপক্ষের দাবি, টেন্ডার কিংবা কোটেশন না হলেও ক্রয় নীতিমালা মেনেই কাজ করানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিকেলে রাজশাহীর নগর ভবনে তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় ভবনের চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করা হয়। ১০ তলা ভবনটির প্রথম থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন এসবেরই সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের ওই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২১ কোটি ১১ লাখ টাকার বেশি।
এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক সিটি করপোরেশনের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প থেকে অর্থ ব্যয় করতে চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব নাকচ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এ চিঠি পাওয়ার পর সম্প্রতি নগর ভবনের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। তবে কোনো টেন্ডার হয়নি। এমনকি কোটেশন প্রক্রিয়ায় গত রোববার পর্যন্ত ঠিকাদারও নির্বাচিত হয়নি খাতা-কলমে। তবে কাজ চলছে।
গত রোববার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, নগর ভবনের সামনের অংশ ইতিমধ্যে রং করা হয়েছে। মুছে গেছে আগুনের ক্ষতচিহ্ন। কয়েকজন শ্রমিক ভবনে গ্লাস লাগানোর কাজ করছেন। থাই মিস্ত্রি মো. সুমন জানান, তাঁকে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি কাজে নিয়ে এসেছেন। আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও নগরের দড়িখড়বোনা এলাকার বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া মিলু এই কাজের ঠিকাদার।
ভবনের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, মেয়রের দপ্তরে নতুন টাইলস বসানো হচ্ছে। সেখানে কাউসার নামের এক মিস্ত্রি জানান, রেজাউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁকে কাজে এনেছেন। যোগাযোগ করা হলে রেজাউল জানান, তিনি কাজটি সাবকন্ট্রাক্ট নিয়েছেন।
সিটি করপোরেশন বলছে, এখনো কোটেশন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাই কাজটি কোন ঠিকাদার করছেন, তা এখনই বলা যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে হাতের কাছে যাকে পাওয়া গেছে, তাকে দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে।
এদিকে টেন্ডার কিংবা কোটেশনের আগেই কাজ শুরু করার ব্যাপারে কথা বলতে বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া মিলুর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কল করা হয়। তবে তিনি ধরেননি।
টেন্ডার কিংবা কোটেশনের আগেই কাজ শুরু করা নিয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলার সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা অতীত থেকে শিক্ষা নিতে চাই। জনগণের যেন কোনো সন্দেহ না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকা উচিত। আমরা আইনের ফাঁক দিয়ে অনেক কিছু করে ফেলি। তাই নিয়মের মধ্যেই সব হওয়া উচিত।’
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন বলেন, ‘ঠিকাদার কে, তা এখনই বলতে পারছি না। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জানাতে পারব।’ তাহলে কাজ করছেন কে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে হাতের কাছে যাকে পেয়েছি, তাকে দিয়েই করাচ্ছি।’ তিনি জানান, ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে গ্লাস লাগানো হয়েছে। মেয়রের দপ্তরে বসবেন প্রশাসক। সেই দপ্তরটির আংশিক তাঁরা সংস্কার করবেন। এতেই ব্যয় হবে ৫০ লাখ টাকা। রং করতে কত খরচ হয়েছে, তা জানাতে পারেননি সিটি করপোরেশনের এই প্রকৌশলী।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অল্প কিছু বিল দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’ টেন্ডার কিংবা কোটেশনের কোনোটির প্রক্রিয়া শেষ না করেই কাজ শুরু করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘অফিসপ্রধান একটা অনুমোদন দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই ক্রয় নীতিমালা মেনে কাজ করা হচ্ছে। তবে একসঙ্গে নিজস্ব অর্থে এত কাজ করা সম্ভব না বলে কোটেশন আকারেই ছোট ছোট কাজ দেখাতে হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কোটেশনের কাগজপত্র রেডি হয়ে যাবে। তখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কে কাজটা করল তা বলা যাবে।’
রাজশাহী পুনর্বাসন কেন্দ্রে দুই মাস পরিচর্যার পরে উড়তে শেখা লক্ষ্মীপ্যাঁচার তিনটি ছানাকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের আকাশে উড়িয়ে দেন বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ্।
৪ মিনিট আগেনেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় সানোয়ার হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
১২ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক জরুরি সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। , রাবি,
১৭ মিনিট আগেশর্ত ভঙ্গ করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মো. মোবারক হোসাইনকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রভাষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ডাকা নিয়ে সমালোচনা চলছে। এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই দফা দাবি জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ...
২০ মিনিট আগে