নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী চিনিকলের প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম তুই–তোকারি করে কথা বলতেই পছন্দ করেন। দিনের পর দিন তিনি অফিসের সহকর্মী ও অধীনস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেন। আচরণও মারমুখী। চিনিকল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পর্যন্ত তিনি তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সর্বশেষ ২৪ মার্চ চিনিকল শ্রমিক–কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, রড দিয়ে শ্রমিক নেতার হাতের আঙুলও থেঁতলে দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি তদন্ত করে তাঁর কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল বাশার। আজ শুক্রবার এই চিঠি ইস্যু করা হয়।
সামিউল ইসলাম রাজশাহী চিনিকলে সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) পদে কর্মরত। গত ২৪ মার্চ চিনিকল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিটি তদন্ত শেষ করে এমডির কাছে প্রতিবেদন দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামিউল ইসলামের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
এ ছাড়া সিবিএ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছেও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। তাঁদের সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামিউলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন তিন কর্মচারী। এ জন্য তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— টারবাইন অপারেটর সোহেল রানা, খালাসি আলমগীর হোসেন ও হিসাব শাখার অফিস সহায়ক মুরাদুল ইসলাম।
সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) সামিউল ইসলামের কৈফিয়ত তলবের চিঠিতে বলা হয়েছে, চিনিকলের টারবাইন অপারেটর সোহেল রানার কোয়ার্টারে পানির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে সামিউল সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি শ্রমিক নেতাকে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন এবং শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেন। কাজের অগ্রগতির বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে না দিয়ে তিনি অপেশাদার আচরণ করেছেন। বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শ্রমিকেরা জানান, সবার সঙ্গে এমন আচরণই করে থাকেন সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম। বিভিন্ন সময় তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। বছরখানেক আগে চিনিকলসংলগ্ন হরিয়ান বাজারে কাঠ চিড়তে করতে গিয়ে এক স’মিলে চিনিকলের এমএলএসএস মনসুর আলীর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন সামিউল। সে সময় অন্য শ্রমিকেরা তাঁকে সামিউলের হাত থেকে রক্ষা করেন। মাস ছয়েক আগে চিনিকলের যান্ত্রিক প্রকৌশল প্রধান মেসবাউল ইসলামের সঙ্গেও মারমুখী আচরণ করেন তিনি। সেদিন চিনিকলে নতুনের জায়গায় পুরোনো বোরিং পাম্প ও পাইপ বসাচ্ছিলেন প্রকৌশলী সামিউল। মেসবাউল ইসলাম এই অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সামিউল তাঁর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন।
রাজশাহী চিনিকলের অধীনেই পরিচালিত হয় চিনিকল উচ্চবিদ্যালয়। প্রকৌশলী সামিউল এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম আলীর সঙ্গেও তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে আসলাম আলী বলেন, বছরখানেক আগে স্কুলে একটি কাজ চলছিল। এক সকালে প্রকৌশলী সামিউল ফোন করে বলেন, ‘এই হেড মাস্টার সাহেব আপনি কোথায়?’ আমি বলি, আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? এ সময় তিনি বলেন, ‘তোর সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে?’ তুই–তোকারি করে আরও অনেক খারাপ কথা বলেন তিনি। আমি একটি নোট দিয়ে বিষয়টি চিনিকলের এমডিকে জানাই। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সামিউলের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। সবার সঙ্গেই এ রকম আচরণ করেন।
প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম আজ শুক্রবার দুপুরে বলেন, তিনি এখনো কৈফিয়ত তলবের চিঠি পাননি। চিঠি পেলে জবাব দেবেন।
অধীনস্থদের সঙ্গে মারমুখী আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। প্রধান শিক্ষককে তুই–তোকারি করার প্রসঙ্গ তুলতেই ‘তাঁর সঙ্গে কিছুই হয়নি’ বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘সংস্কার খাতে প্রতি অর্থবছরে চিনিকলে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এগুলোর বেশির ভাগ অর্থই ভুয়া ভাউচারে নয়ছয় করেন প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম। তিনি চিনিকলের এমডিকেও তছরুপ করা অর্থের ভাগ দেন। এ জন্য এমডি সামিউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। রফিকুলকে মারধরের ঘটনায় এমডি শ্রমিক প্রতিনিধি ছাড়াই নিজেদের কর্মকর্তাদের নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। নিজেদের মতো করে তদন্ত প্রতিবেদন করে সামিউলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো “শায়েস্তা” করতে তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক রফিকুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে রড দিয়ে মেরে আঙুল ফাটিয়ে দিয়েছেন সামিউল। এ ঘটনায় এমডির কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এ অভিযোগের তদন্ত হয়নি। সামিউল উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে চিনিকলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
জানতে চাইলে চিনিকলের এমডি আবুল বাশার বলেন, ‘রফিকুল সিবিএ নেতা পরে, আগে আমার কর্মচারী। তিনি তাঁর বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ না করে সংগঠনের পক্ষ থেকে করেছেন। এ জন্য তাঁর অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি।’
সামিউলের তুই–তোকারি করে কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটা নোট দিয়েছিলেন। আমি তাঁদের মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। আর সামিউলের বদলির জন্য মৌখিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু বদলি করা হয়নি। এর মধ্যে এবার শ্রমিক নেতার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল।’ সংস্কারকাজে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব কাজ স্বচ্ছভাবেই হয়।’
২৪ মার্চ শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় তিনি রাজশাহীর কাটাখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ঘটনাটি সরকারি প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিযোগের তদন্ত করছে না পুলিশ।
ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার মহাব্যবস্থাপক (পরিদর্শন ও তদন্ত) আকুল হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—ব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) সাইফুল ইসলাম ও উপব্যবস্থাপক (পুরকৌশল) শাহিনুল ইসলাম। আজ তদন্ত কমিটির সদস্যরা চিনিকলেই অবস্থান করছিলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান আকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সময় নেব। সঠিক বিষয়টা আমরা তুলে আনতে চাই। তারপর আমরা করপোরেশনে প্রতিবেদন দেব। সে অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
রাজশাহী চিনিকলের প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম তুই–তোকারি করে কথা বলতেই পছন্দ করেন। দিনের পর দিন তিনি অফিসের সহকর্মী ও অধীনস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেন। আচরণও মারমুখী। চিনিকল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পর্যন্ত তিনি তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন। প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সর্বশেষ ২৪ মার্চ চিনিকল শ্রমিক–কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, রড দিয়ে শ্রমিক নেতার হাতের আঙুলও থেঁতলে দিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি তদন্ত করে তাঁর কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল বাশার। আজ শুক্রবার এই চিঠি ইস্যু করা হয়।
সামিউল ইসলাম রাজশাহী চিনিকলে সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) পদে কর্মরত। গত ২৪ মার্চ চিনিকল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিটি তদন্ত শেষ করে এমডির কাছে প্রতিবেদন দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামিউল ইসলামের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
এ ছাড়া সিবিএ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কাছেও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। তাঁদের সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামিউলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন তিন কর্মচারী। এ জন্য তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— টারবাইন অপারেটর সোহেল রানা, খালাসি আলমগীর হোসেন ও হিসাব শাখার অফিস সহায়ক মুরাদুল ইসলাম।
সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) সামিউল ইসলামের কৈফিয়ত তলবের চিঠিতে বলা হয়েছে, চিনিকলের টারবাইন অপারেটর সোহেল রানার কোয়ার্টারে পানির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে সামিউল সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি শ্রমিক নেতাকে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন এবং শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেন। কাজের অগ্রগতির বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে না দিয়ে তিনি অপেশাদার আচরণ করেছেন। বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
শ্রমিকেরা জানান, সবার সঙ্গে এমন আচরণই করে থাকেন সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম। বিভিন্ন সময় তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। বছরখানেক আগে চিনিকলসংলগ্ন হরিয়ান বাজারে কাঠ চিড়তে করতে গিয়ে এক স’মিলে চিনিকলের এমএলএসএস মনসুর আলীর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন সামিউল। সে সময় অন্য শ্রমিকেরা তাঁকে সামিউলের হাত থেকে রক্ষা করেন। মাস ছয়েক আগে চিনিকলের যান্ত্রিক প্রকৌশল প্রধান মেসবাউল ইসলামের সঙ্গেও মারমুখী আচরণ করেন তিনি। সেদিন চিনিকলে নতুনের জায়গায় পুরোনো বোরিং পাম্প ও পাইপ বসাচ্ছিলেন প্রকৌশলী সামিউল। মেসবাউল ইসলাম এই অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সামিউল তাঁর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন।
রাজশাহী চিনিকলের অধীনেই পরিচালিত হয় চিনিকল উচ্চবিদ্যালয়। প্রকৌশলী সামিউল এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম আলীর সঙ্গেও তুই–তোকারি করে কথা বলেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে আসলাম আলী বলেন, বছরখানেক আগে স্কুলে একটি কাজ চলছিল। এক সকালে প্রকৌশলী সামিউল ফোন করে বলেন, ‘এই হেড মাস্টার সাহেব আপনি কোথায়?’ আমি বলি, আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? এ সময় তিনি বলেন, ‘তোর সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে?’ তুই–তোকারি করে আরও অনেক খারাপ কথা বলেন তিনি। আমি একটি নোট দিয়ে বিষয়টি চিনিকলের এমডিকে জানাই। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সামিউলের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। সবার সঙ্গেই এ রকম আচরণ করেন।
প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম আজ শুক্রবার দুপুরে বলেন, তিনি এখনো কৈফিয়ত তলবের চিঠি পাননি। চিঠি পেলে জবাব দেবেন।
অধীনস্থদের সঙ্গে মারমুখী আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। প্রধান শিক্ষককে তুই–তোকারি করার প্রসঙ্গ তুলতেই ‘তাঁর সঙ্গে কিছুই হয়নি’ বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘সংস্কার খাতে প্রতি অর্থবছরে চিনিকলে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এগুলোর বেশির ভাগ অর্থই ভুয়া ভাউচারে নয়ছয় করেন প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম। তিনি চিনিকলের এমডিকেও তছরুপ করা অর্থের ভাগ দেন। এ জন্য এমডি সামিউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। রফিকুলকে মারধরের ঘটনায় এমডি শ্রমিক প্রতিনিধি ছাড়াই নিজেদের কর্মকর্তাদের নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। নিজেদের মতো করে তদন্ত প্রতিবেদন করে সামিউলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো “শায়েস্তা” করতে তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং আমি ও আমার সাধারণ সম্পাদক রফিকুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে রড দিয়ে মেরে আঙুল ফাটিয়ে দিয়েছেন সামিউল। এ ঘটনায় এমডির কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এ অভিযোগের তদন্ত হয়নি। সামিউল উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে চিনিকলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
জানতে চাইলে চিনিকলের এমডি আবুল বাশার বলেন, ‘রফিকুল সিবিএ নেতা পরে, আগে আমার কর্মচারী। তিনি তাঁর বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ না করে সংগঠনের পক্ষ থেকে করেছেন। এ জন্য তাঁর অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি।’
সামিউলের তুই–তোকারি করে কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটা নোট দিয়েছিলেন। আমি তাঁদের মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। আর সামিউলের বদলির জন্য মৌখিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু বদলি করা হয়নি। এর মধ্যে এবার শ্রমিক নেতার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল।’ সংস্কারকাজে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব কাজ স্বচ্ছভাবেই হয়।’
২৪ মার্চ শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় তিনি রাজশাহীর কাটাখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ঘটনাটি সরকারি প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিযোগের তদন্ত করছে না পুলিশ।
ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার মহাব্যবস্থাপক (পরিদর্শন ও তদন্ত) আকুল হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—ব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) সাইফুল ইসলাম ও উপব্যবস্থাপক (পুরকৌশল) শাহিনুল ইসলাম। আজ তদন্ত কমিটির সদস্যরা চিনিকলেই অবস্থান করছিলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান আকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সময় নেব। সঠিক বিষয়টা আমরা তুলে আনতে চাই। তারপর আমরা করপোরেশনে প্রতিবেদন দেব। সে অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
২ মিনিট আগেঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
১৩ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৪৪ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগে