রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও কোনো ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
রাণীনগর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, আমন মৌসুমে এই উপজেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে ৭৬০ টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৩৮৩ টন সেদ্ধ চাল ও ৪৩ টাকা কেজি দরে ৩৬ টন আতপ চাল ক্রয় বরাদ্দ পাওয়া যায়। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ করলেও কৃষকেরা কোনো ধান দেননি। ফলে ধান ক্রয়ে শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
এদিকে আত্রাই উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৩০ টাকা কেজি দরে ২৯৭ টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ২৬৬ টন চাল সংগ্রহে ক্রয় বরাদ্দ পাওয়া যায়। এই সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ করলেও খাদ্যগুদামে কোনো ধান দেননি কৃষক। ফলে এই উপজেলায়ও ধান ক্রয়ে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা শূন্য।
রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাট বাজারের ধান-চাল আড়তদার হেলাল উদ্দীন হেলু মণ্ডল, আত্রাই উপজেলার পতিসর বাজারের ধান-আড়তদার সাইফুল ইসলাম টুটুল ও নওদুলি বাজারের আড়তদার তুষার আহম্মেদ বলেন, চলমান বাজার অনুযায়ী জিরাশাইল ধান প্রতিমণ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫২০-৩০ টাকা, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান প্রতিমণ সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ব্রি-৯০ জাতের প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৪০০ টাকা ও চিনি আতপ প্রতিমণ ধান সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের আমদানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান, গোনা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক শরিফ উদ্দীন, বড়সাওতা গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম, নওদুলি বিশা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দীন হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে ধানের আর্দ্রতা ও রকম যাচাই-বাছাই করা হয়। এ ছাড়া গুদামে বিক্রীত ধানের টাকা নিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা নিতে হয়। তাতে অনেক ঝামেলা হয়। তা ছাড়া সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে প্রতি মণ ধানে ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দেননি।
রাণীনগর উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে তাবাসসুম বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকেরা গুদামে ধান দেননি।
তবে আত্রাই উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, এমনিতেই এ উপজেলায় আমন ধানের চাষ কম হয়। এর মধ্যে বন্যায় শত শত বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তা ছাড়া সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দেননি।
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও কোনো ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।
রাণীনগর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, আমন মৌসুমে এই উপজেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে ৭৬০ টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৩৮৩ টন সেদ্ধ চাল ও ৪৩ টাকা কেজি দরে ৩৬ টন আতপ চাল ক্রয় বরাদ্দ পাওয়া যায়। গত বছরের ২৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ের মধ্যে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ করলেও কৃষকেরা কোনো ধান দেননি। ফলে ধান ক্রয়ে শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
এদিকে আত্রাই উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ৩০ টাকা কেজি দরে ২৯৭ টন ধান এবং ৪৪ টাকা কেজি দরে ২৬৬ টন চাল সংগ্রহে ক্রয় বরাদ্দ পাওয়া যায়। এই সময়ের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা চাল সরবরাহ করলেও খাদ্যগুদামে কোনো ধান দেননি কৃষক। ফলে এই উপজেলায়ও ধান ক্রয়ে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা শূন্য।
রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাট বাজারের ধান-চাল আড়তদার হেলাল উদ্দীন হেলু মণ্ডল, আত্রাই উপজেলার পতিসর বাজারের ধান-আড়তদার সাইফুল ইসলাম টুটুল ও নওদুলি বাজারের আড়তদার তুষার আহম্মেদ বলেন, চলমান বাজার অনুযায়ী জিরাশাইল ধান প্রতিমণ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫২০-৩০ টাকা, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান প্রতিমণ সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ব্রি-৯০ জাতের প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৪০০ টাকা ও চিনি আতপ প্রতিমণ ধান সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের আমদানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান, গোনা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, আত্রাই উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক শরিফ উদ্দীন, বড়সাওতা গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম, নওদুলি বিশা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দীন হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে ধানের আর্দ্রতা ও রকম যাচাই-বাছাই করা হয়। এ ছাড়া গুদামে বিক্রীত ধানের টাকা নিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা নিতে হয়। তাতে অনেক ঝামেলা হয়। তা ছাড়া সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে প্রতি মণ ধানে ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই তাঁরা খাদ্যগুদামে ধান দেননি।
রাণীনগর উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে তাবাসসুম বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকেরা গুদামে ধান দেননি।
তবে আত্রাই উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, এমনিতেই এ উপজেলায় আমন ধানের চাষ কম হয়। এর মধ্যে বন্যায় শত শত বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। তা ছাড়া সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান দেননি।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে