বন্যায় ভেসে আসা ৩ ভারতীয় নাগরিকের লাশ ফেরত

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ৫৯
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ২৫

ভারতের সিকিম রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত ও চুংথাং বাঁধ ধসে সৃষ্ট অস্বাভাবিক বন্যায় ওই রাজ্যের বহু বাড়িঘর ও লোকজন ভেসে যায়। এতে লালমনিরহাট জেলা দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী বাংলাদেশ অংশের অভ্যন্তরে বন্যার পানিতে ভেসে আসে তিন ভারতীয় নাগরিকের লাশ। 

গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার বিকেলে সেসব লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর ছালাপাক নামক স্থান থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (২৮) লাশ উদ্ধার করে। একই দিন সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরখোদ্দা নামক তিস্তা শাখা নদী থেকে অজ্ঞাত এক নারীর (৫২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পরদিন গতকাল লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্ধুর্ণা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের (৫০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 
 
বিজিবি বলছে, রংপুর ব্যাটালিয়নের (৫১ বিজিবি) পানবাড়ী সীমান্ত এলাকার প্রধান পিলার ৮১২ ও উপপিলার ১ এর শূন্য রেখার তিনবিঘা করিডর স্থান দিয়ে দুই ভারতীয় নাগরিকের লাশ বিএসএফ এবং ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় ভারতের মেখলিগঞ্জ তিনবিঘা করিডরের বিএসএফ কোম্পানির সহকারী (অ্যাসিস্ট্যান্ট) কমান্ডার প্রাণভীর ও বাংলাদেশের পানবাড়ী বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সলেমান আলী, ভারতের কুচলিবাড়ি থানার ওসি কাজল দাস, বাংলাদেশের পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন। 

অপর দিকে রংপুর তিস্তা ব্যাটালিয়নের (৬১ বিজিবি) সীমান্ত এলাকার বুড়িমারী স্থলবন্দর ও ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা শূন্য রেখা দিয়ে আজ সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ভারতীয় নাগরিক অজ্ঞাত পুরুষের (৫০) লাশ হস্তান্তর করা হয়। আগের দিন গতকাল হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীর চর থেকে এ লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ভারতের মেখলিগঞ্জ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনীল সীমান্ত, চ্যাংড়াবান্ধা বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার বার্টু লাল মিনা, মেখলিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাহুল তালুকদার ও বাংলাদেশের বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হাফিজুর রহমান, হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম, পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন। 

এ বিষয়ে পানবাড়ী বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সলেমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যায় তিস্তা নদী হয়ে এসব ভারতীয় লাশ ভেসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসে। ভারতের বিএসএফের পক্ষ থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়, লাশগুলো ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা লাশ ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করে। তবে, লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিয়ম মেনে লাশগুলো ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত